পরমাণু অস্ত্রে চীন-পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে ভারত

অন্য এক দিগন্ত ডেস্ক | Jun 16, 2020 08:14 am
পরমাণু অস্ত্রে চীন-পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে ভারত

পরমাণু অস্ত্রে চীন-পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে ভারত - প্রতীকী ছবি

 

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউ (সিপরি) ইয়ারবুক ২০২০ জানিয়েছে, ২০১৯ সালে সার্বিক পরমাণু যুদ্ধাস্ত্রের সংখ্যা হ্রাস পেলেও পরমাণু অস্ত্রধারী সব দেশই তাদের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার আধুনিকায়ন করা অব্যাহত রেখেছে।

একই পরমাণু প্রতিযোগিতায় জড়িত ভারত ধীরে ধীরে তার পরমাণু শক্তির আকার ও বৈচিত্র্যতা বাড়াচ্ছে। তবে পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যার দিক থেকে চীন ও ভারতের চেয়ে পিছিয়ে আছে ভারত।
সিপরির পরমাণু শক্তির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে চীনের চিল ২৯০টি পরমাণু বোমা, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ৩২০টি। আর ভারতের ১৩০-১৪০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫০টি। তবে ভারতের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারটি পাকিস্তানের চেয়ে ছেঅট। পাকিস্তানের ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ছিল ১৫০-১৬০টি অস্ত্র, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তা হয়েছে ১৬০।

প্রায় এক মাস ধরে ভারতের সাথে সীমান্ত উত্তেজনায় থাকা চীন তার পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার আধুনিকায়ন করার মাঝামাঝি অবস্থায় রয়েছে। দেশটি প্রথমবারের মতো তথাকথিত পরমাণু ট্রায়াড তৈরী করছে। অর্থাৎ নতুন স্থল, ও সাগরভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু-সক্ষমতাপূর্ণ বিমান বহর গঠন করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন অব্যাহতভাবে সাগরভিত্তিক পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডর নির্মাণের কৌশলগত লক্ষ্য পূরণের জন্য কাজ করছে।
এদিকে আরো বলা হচ্ছে যে ২০১৯ সালে ভারত প্রথমে ব্যবহার নয়- পরমাণু নীতি থেকে সরে এসেছে। ১৯৯৮ সাল থেকে তারা ওই নীতি অনুসরণ করছিল। কিন্তু এখন তারা আরো আগ্রাসী পরমাণু নীতি অনসুরণ করবে বলে জল্পনা রয়েছে।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রথমে তাদের পরমাণু নীতি থেকে সরে আসার কথা বলেছিলেন। এরপর ভারতের বেশ কয়েকজন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা একই ধরনের বক্তব্য দেন।

স্পুটনিক

নেপালের নতুন মানচিত্র পাসে ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি
ভারতের দখলে থাকা কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরা নিজেদের দাবি করে আসছে কাঠমান্ডু
এনডিটিভি ও আলজাজিরা

ভারতের দখলে থাকা ভূখণ্ড নিজেদের দাবি করে নতুন মানচিত্র সংশোধনী বিল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে পাস করেছে নেপাল। গত শনিবার সর্বসম্মতিক্রমে বিলটি পাস হয়। তবে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের সীমান্ত বিরোধ আরো উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পৌঁছল।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেপাল সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছে, কাঠমান্ডুর দাবির কোনো ঐতিহাসিক ভিত্তি নেই। বিল পাসের প্রসঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘ভারতীয় ভূখণ্ডকে অন্তর্ভুক্ত করে নেপালের পরিবর্তিত মানচিত্র গ্রহণযোগ্য নয়। নেপালের সাথে সীমান্ত সমঝোতা এই ঘটনায় বিঘিœত হবে।’

চীনের প্ররোচনাতেই নেপাল এমন পদক্ষেপ নিয়েছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান জানানো উচিত নেপালের। আশা রাখবো সীমান্ত ইস্যু সমাধানে নেপালের নেতৃত্ব কূটনৈতিক স্তরে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করবে।’

মূলত ভারত ও নেপালের সীমান্তবর্তী কালি নদীর উত্তর-পূর্ব এলাকা বিতর্কিত। ভারতের দাবি- ওই এলাকার লিপুলেখ পাস উত্তরাখণ্ডের। পাশাপাশি লিম্পিয়াধুরা আর কালাপানি এলাকা ১৯৬২ সাল থেকে ভারতের সীমানার অংশ। এই এলাকাগুলোই নিজের বলে দাবি করছে নেপাল। এ জন্য গত মে মাসে কাঠমান্ডু ভারতকে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে বৈঠকের আহ্বান জানালেও তাতে কানো দেয়নি দিল্লি।
ভারতের ‘দখলে থাকা’ কালাপানি, লিপুলেখ ও লিম্পিয়াধুরা অঞ্চলকে বরাবরই নিজেদের দাবি করে আসছে নেপাল। গত মে মাসে অঞ্চল তিনটিকে ফেরানোর দাবি জানিয়ে পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পেশ করে দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি। তারই পথ ধরে গত শনিবার নতুন মানচিত্র সংশোধনী বিল উঠে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি সভায়।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us