সীমান্তের ট্যাঙ্ক মোতায়েন ভারতের

দেভ মাকিচুক | Jun 16, 2020 07:54 am
ভারতের ট্যাঙ্ক

ভারতের ট্যাঙ্ক - প্রতীকী ছবি

 

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং রোববার কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন যে ভারত আর ‘দুর্বল’ দশ না হওয়ায় দেশটি আর কখনো ‘জাতীয় গর্বের’ সাথে আপস করবে না। এদিকে সামরিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে ভারত ভঅরত তার মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক (এমবিটি) চীন সীমান্তের কাছে পাঠিয়েছে।
ভারতের ক্রমবর্ধমান সামরিক সক্ষমতার ব্যাপারে সোচ্চার রাজনাথ সিং বিরোধী দলকে আরো আশ্বস্ত করেন যে চীনের সাথে সীমান্ত অচলাবস্থা নিরসনে আলোচনা চলছে এবং কাউকেই অন্ধকারে রাখা হবে না। ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস পত্রিকা এ খবর প্রকাশ করেছে।

জম্মু ও কাশ্মিরে এক ভার্চুয়াল সভায় বক্তৃতাকালে রাজনাথ বলেন, আমি আশ্বস্ত করতে চাই যে কোনো অবস্থাতেই আমরা জাতীয় গর্বের সাথে আমরা আপস করব না। ভারত আর দুর্বল নয়। জাতীয় নিরাপত্তায় আমাদের শক্তি বেড়েছে। তবে এই শক্তি কাউকে ভয় দেখানোর জন্য নয়, বরং আমাদের দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য।
সামরিক আলোচনা অব্যাহত থাকার কথা বলে রাজনাথ বলেন, চীন আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে এবং আমাদের প্রয়াস হবে সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বের করা।

তিনি বলেন, আমরা কাউকে অন্ধকারে রাখব না। আমরা পার্লামেন্টে যথাযথ সময়ে সবকিছু সবার কাছে বলব।
এদিকে গত মাসে ফাঁস হওয়া এক সামরিক তথ্যে বলা হয়েছে, চীনা ও ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যে লাদাখের কাছে পানগঙ তসু লেক সীমান্ত সঙ্ঘর্ষে কয়েকজন সৈন্য সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
ওই সঙ্ঘর্ষের পর ভারতীয় সেনাবাহিনী চীনা সীমান্তের আরো কাছে আরো বেশি ট্যাঙ্ক মোতায়েন করেছে।
সূত্র জানায়, উভয় দেশ সীমান্তে হাজার হাজার সৈন্য, সাজোয়া যান, জঙ্গিবিমান জড়ো করেছে। ভারত ও চীনের মধ্যকার এলএসি নামে পরিচিত অঘোষিত সীমান্তে টি-৯০এমএস ও টি-৭২ এম১ ট্যঙ্ক মোতায়েন করা হয়েছে।
চীনের পিএলএ বড় ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করে হাজার হাজার প্যারাট্রুপার ও সাজোয়া যান মোতায়েন করেছে ওই এলাকায়।

এই দুই আঞ্চলিক শক্তির মধ্যে ৩,৫০০ কিলোমিটার (২,২০০ মাইল) সীমান্তে প্রায়ই উত্তেজনা দেখা দেয়।
তবে সূত্র ও ভারতীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়, সরকারি পর্যায়ে আলোচনা চললেও ভারত সম্ভবত সাম্প্রতিক সময়ে চীনের দখল করা এলাকাগুলো কার্যত ছেড়ে দিয়েছৈ। বিশেষ করে উত্তরের পানগঙ তসো লোক ও গালওয়ান রিভার উপত্যকার কিছু কৌশলগগত অংশ চীনের হাতেই থাকছে।

ওই এলাকায় মোতায়েন ভারতের এক সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, পানগঙ ও গালওয়ান উপত্যকায় চীন তাদের সাম্প্রতিক দখল করা অবস্থানগুলো থেকে সরে যেতে অস্বীকার করেছে। তারা নতুন অবস্থান জোরদার করছে।
বিবিসির একটি সূত্র জানায়, চীনা বাহিনী তাঁবু ফেলেছে, পরিখা খনন করেছে এবং বেশ কয়েক কিলোমিটার এলাকায় ভারী সরঞ্জাম সমবেত করেছে।
ভারত ওই এলাকায় একটি দীর্ঘ রাস্তা নির্মাণেল পর চীন এই পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
কাকে দোষ দেয়া যায়? মনে হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক কৌশলগত লক্ষ্যই এজন্য দায়ী এবং উভয় পক্ষই একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।
দীর্ঘ দিন ধরে গালওয়ান রিভার উপত্যকা শান্তিপূর্ণ ছিল। এটিই এখন হটস্পটে পরিণত হয়েছে। এর কারণ হলো, এখানে ভারত নতুন একটি রাস্তা নির্মাণ করেছে।

ভারতের অবকাঠামো জোরদার করার পরিকল্পনায় চীন ক্ষুব্ধ হয়েছে। এই রাস্তাটির ফলে ভারত এখন অনেক সহজে সৈন্য ও সামরিক সম্ভার সীমান্তে পাঠাতে পারবে।
এদিকে দৃশ্যত গোয়েন্দা ব্যথতার কারণেই ভারত আবার সমস্যায় পড়েছিল। ভারতের মিডিয়ার ভাষ্যানুযায়ী, চীনারা একটি সামরিক মহড়ার সদস্যদের দ্রুততার সাথে সীমান্তে জড়ো করলে ভারতীয়রা কোণঠাসা হয়ে পড়ে।
এতে করে দিল্লি সতর্ক হয়ে যায়। ভারতের পক্ষে কিছু করার সুযোগ থাকে কম। এখন ভারতকে যা করতে হবে তা হলো চীনকে বুঝিয়ে সুজিয়ে তার সৈন্যদের প্রত্যাহারে রাজি করানো বা শক্তি প্রয়োগ করে তা করা। কিন্তু দুটি কাজের কোনোটিই সহজ হবে না।

এশিয়া টাইমস

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us