ভারত সীমান্তে চীনের অত্যাধুনিক হাউটজার!
ভারত সীমান্তে চীনের অত্যাধুনিক হাউটজার! - সংগৃহীত
ভারত সীমান্ত সংলগ্ন স্থানে মোতায়েন চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ৭৫তম গ্রুপ আর্মি সম্প্রতি চীনের সবচেয়ে আধুনিক যান-চালিত হাউটজার পিসিএল-১৮১সহ নতুন অস্ত্রশস্ত্র লাভ করেছে। ভারতের সাথে চীনের সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই সৈন্যদের মহড়া চলাকালে এসব অস্ত্র প্রদর্শন করেছে চীনা সামরিক উৎসাহীরা।
পিএলএ ৭৫তম গ্রুপ আর্মির একটি ব্রিগেড সম্প্রতি চনের মরু এলাকা নাজিয়াঙ হাওজিয়াওয়ে ফিল্ড মহড়াকালে নতুন অস্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করে। মঙ্গলবার ৭৫তম গ্রুপ আর্মির অফিসিয়াল উইচ্যাট পাবলিক অ্যাকাউন্টে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
এতে সংযুক্ত ছবিতে বেশ কয়েকটি পিসিএল-১৮১ যান-চালিত হাউটজার স্পষ্টভাবেই শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
গত ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর বেইজিংয়ের ন্যাশনাল ডে মিলিটারি প্যারেডে নতুন উদ্ভাবিত অস্ত্র হিসেবে ১৫৫ মিলিমিটার ক্যালিবার যান-চালিত হাউটজার প্রথমবারের মতো প্রদর্শন করা হয়।
এর ওজন মাত্র ২৫ টন। ফলে এটি অনেক হালকা ও দ্রুতগামী। তাছাড়া এটি তার আগের সংস্করণর স্বচালিত হাউটজারে চেয়ে অনেক বেশি টেকসই। আগেরগুলোর ওজন ছিল ৪০ টনের বেশি।
হালকা ওজনের কারণে এই অস্ত্র পার্বত্য এলাকায় নিয়ে যাওয়া সহজ। সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি সহজেই চলাচল করতে পারে বলে অনেক বেশি কার্যকর অস্ত্র।
হাউটজার ক্যাবে ডিজিটাল নিয়ন্ত্রিত প্যানেলও দেখা যায়। এটি পুরোপুরি ডিজিটাল করা ব্যবস্থা। ফলে অস্ত্রটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হতে খুবই কম সময় লাগে। আর এতে করে আর্টিলারি হয় আরো শক্তিশালী।
হাউটজারের মতো আর্টিলারি অস্ত্র পার্বত্য এলাকায় খুবই কার্যকরি। কারণ এখানে পর্বতগুলো এড়িয়ে প্যারাবোলিক পথে গোলা বর্ষণ করতে হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে দোকলাম অচলাবস্থার সময় পিএলএ ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডে পিসিএল-১৮১এস পাঠানো হয়েছিল। এগুলো সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে বেশ কার্যকর হয়েছিল।
চীন ও ভারত বর্তমান নতুন করে সীমান্ত উত্তেজনায় জড়িত রয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনিয়িং বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, উভয় পক্ষ আগের সমঝোতা অনুযায়ী সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমন করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
গত শনিবার চীন ও ভারতের মধ্যে ইতিবাচক সীমান্ত আলোচনার আগেই সম্ভবত এসব পিসিএল-১৮১এস সীমান্তে পাঠানো হয়েছিল বলে চীনা ও ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
সিসিটিভি এপ্রিলে জানিয়েছিল, পিএলএ ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড সম্প্রতি পিসিএল-১৮১ গ্রহণ করেছে।
গ্লোবাল টাইমস
সাবমেরিন রেসকিউ সিস্টেমের জন্য কমপ্লেক্স উদ্বোধন ভারতীয় নৌবাহিনীর
রাহুল বেদি
ভারতীয় নৌবাহিনী ১০ জুন তার উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর বিশাখাপতনামের নৌঘাঁটিতে দুটি সাবমেরিন রেসকিউ সিস্টেমের একটি রাখার ব্যবস্থা উদ্বোধন করেছে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাবসি ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভিস প্রদানকারী জেএফডির কাছ থেকে সিস্টেম দুটি সংগ্রহ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
একই দিন প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয় যে কমপ্লেক্সটি ডিএসআরভি [ডিপ সাবমারজেন্স রেসকিউ ভেহিক্যাল] এসেট রাখার অত্যাধুনিক ব্যবস্থা হিসেবে অভিহিত করা হয়।
প্রতিটি সিস্টেমে একটি ডিএসএআর-৬৫০এল ফ্রি সুইমিং ডিএসআরভি, একটি লঞ্চ ও রিকভারি সিস্টেম (এলএআরএস), একটি ট্রান্সফার আন্ডার প্রেসার (টিইউপি) ইউনিট, একটি এসএমডি অ্যাটম ইনটারভেনশন রিমোটলি অপারেটেড ভেহিক্যাল, একটি এজটেক ৪২০০ সিরিজ টাউয়াড সাইডস্ক্যান সোনার রয়েছে।
এসব রেসকিউ সিস্টেমের প্রথমটি সার্ভিসে আসে ২০১৮ সালের শেষ দিকে। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলের মুম্বাইতে ভারতীয় নৌবাহিনীর সাবমেরিন রেসকিউ ইউনিটটি যুক্ত হয়। উভয় সিস্টেমের অর্ডার দেয়া হয়েছিল ২০১৬ সালের মার্চে ১৯৩ জিবি মিলিয়ন (২৪৪ মার্কিন ডলার) চুক্তির আওতায়।
ভারতীয় নৌবাহিনীর আরেকটি ঘোষণা সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। তা হলো দুটি ডাইভিং সাপোর্ট ভেসেল নির্মাণ। সাবমেরিন সাপোর্ট সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান হিন্দুস্তান শিপিয়ার্ড লিমিটেড এগুলো নির্মাণ করবে।