খেজুরে বাড়ে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা
খেজুর - সংগৃহীত
'করোনাভাইরাস', এই একটি নাম সারা দুনিয়ার মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। কমে যাওয়া তে দূর অস্ত, বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্ত প্রায় ৭১ লাখ।
তাই, এই মুহুর্তে সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি পাওয়ার যত বেশি হবে, তার এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও তত বেশি হবে। আর এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রোজ খান চার থেকে পাঁচটি খেজুর। ফ্রুক্টোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ খেজুর আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারি একটি ফল, যা খেলে অনায়াসেই আপনার ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়িয়ে তুলতে পারবেন।
পুষ্টিবিদদের মতে, খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। এতে থাকা প্রয়োজনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এ, বি, সি, সালফার, প্রোটিন, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, আয়রন, ইত্যাদি উপাদান সমূহ। পাশাপাশি খেজুরে ফ্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, কোবাল্ট, বোরন, সেলেনিয়াম এবং জিঙ্কের মতো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান থাকে, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। এই সময়ে আপনার ইমিউনিটি পাওয়ারকে বাড়াতে এটি ওতপ্রোতভাবে সাহায্য করবে।
কাদের কতটা খাওয়া উচিত
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রতিদিন এক থেকে দুটি করে খেজুর খাওয়া উচিত। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে রোজ ৩-৫ টি করে খেজুর খাওয়া প্রয়োজন।
কীভাবে খাবেন
১) সকালে উঠে খালি পেটে চার থেকে পাঁচটি খেজুর চিবিয়ে খেতে পারেন।
২) দুধের সঙ্গে ফুটিয়ে খেতে পারেন। এতে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কারণ, খেজুর দুধের সঙ্গে ফুটিয়ে খেলে শরীরে ঘাটতি থাকা আয়রন সহজেই পূরণ হয়।
৩) খেজুর সারারাত পানিতে ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে সেই পানি পান করুন, এতে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে। পাশাপাশি ভিজিয়ে রাখা খেজুর খান, এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
খেজুরের অন্যান্য স্বাস্থ্য উপকারিতা
১) খেজুর লো ব্লাড প্রেসারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
২) খেজুরে থাকা ভিটামিন বি (B1,B2,B3,B5), ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৩) খেজুরে থাকা ভিটামিন বি৬ আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৪) শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি দূর করতে খেজুর অত্যন্ত উপকারি।
৫) খেজুরে থাকা সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম ও কপার হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে ও হাড়কে শক্তপোক্ত করতে সাহায্য করে। অস্টিয়োপোরোসিস নামক হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
৬) খেজুরে উপস্থিত সালফার কম্পাউন্ড অ্যালার্জির মতো রোগ থেকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৭) খেজুর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে হৃদ স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।
৮) হজম শক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
সূত্র : বোল্ডস্কাই