ভারতীয় ভূমি যেভাবে দখল করছে চীন!

ভারতীয় ভূমি যেভাবে দখল করছে চীন! - সংগৃহীত
‘লাদাখে চীন কি ভারতের ভূখণ্ড দখল করে নিয়েছে?’ কয়েক দিন ধরে বারবার খোঁচাটা দিয়ে চলেছেন ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার অমিত শাহর অনলাইন প্রচারসভার আগে টুইটারে খোঁচাটা দেন তৃণমূল এমপি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শাসকদলের কোনো নেতামন্ত্রীর তরফে থেকেই জবাব আসেনি। প্রধানমন্ত্রী মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন সকলেই। এবার জবাব দিলেন লাদাখেরই বিজেপি এমপি জেমিয়াং শেরিং নামগিয়াল। আঙুল তুললেন কংগ্রেসের দিকে।
রাহুলের টুইটের জবাবে লিখলেন, ‘হ্যাঁ, চীন ভারত ভূখণ্ড দখল করেছে’। তার পর দেখালেন, অতীতে কংগ্রেসের শাসনকালে কীভাবে ভারতীয় ভূখণ্ড বেদখল হয়েছে। স্বপক্ষে পরিসংখ্যানও তুলে ধরলেন জেমিয়াং শেরিং নামগিয়াল। খোঁচা দিয়ে টুইটারে লিখলেন, ‘বাস্তবের ওপর ভিত্তি করে যে উত্তর দিলাম, আশা করি রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস তার সঙ্গে সহমত হবেন। আর বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে না’।
অতীতে কোন কোন এলাকা চীন দখল করে নিয়েছে, তার একটি তালিকা ওই টুইটের সঙ্গে জুডে় দিয়েছেন নামগিয়াল। ইউপিএ আমলে হওয়া সেই সব ঘটনার কথা আলাদা করে উল্লেখ করেছেন।
* ১৯৬২ সালে আকসাই চিন দখল হয়েছে কংগ্রেসের জমানায়
* টিয়া প্যাংনাক এবং চাবজি উপত্যকা দখল হয়েছে ইউপিএ আমলে ২০০৮ সালে
* ডেমজোক এলাকায় জোরাওয়ার দুর্গ ভেঙে দিয়েছিল চীন সেনা পিপলস লিবারেশন আর্মি। ২০০৮ সালে। ২০১২ সালে সেখানে পর্যবেক্ষণ ঘাঁটি তৈরি করেছে চীন। তার পরে সেখানে ১৩টি পাকা বাড়ি তৈরি করে কলোনি বসিয়েছে চীন। সেই কলোনির নাম নিউ ডেমজোক। এর পুরোটাই হয়েছে ইউপিএ-র শাসনকালে।
* আবার ২০০৮-০৯ সালে ইউপিএ আমলে ডুঙ্গটি ও জেমজোকের মাঝে প্রাচীন বাণিজ্যকেন্দ্র ‘ডুম চেলে’ হারিয়েছে ভারত।
এই তথ্যের পাশাপাশি একটি মানচিত্র শেয়ার করেছেন নামগেল, যাতে এই সব জায়গা চিহ্নিত করা রয়েছে।
এদিকে পূর্ব লাদাখের কিছু অংশ থেকে ভারত এবং চীন, দুদেশই সমঝোতাপূর্বকভাবে সামরিক বাহিনী সরানো শুরু করেছে। মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করা হয়েছে ভারতীয় সরকারি সূত্রে।
এদিকে, বুধবার ফের পূর্ব লাদাখের হট স্প্রিং এলাকায় দুদেশের শীর্ষ সেনা অফিসারদের বৈঠক রয়েছে। সূত্রের দাবি, তার আগেই পাংগং সো–র কিছু অঞ্চল ছাড়া চীন সেনার একটা বড় অংশ প্রায় তিন কিলোমিটার সরে গিয়েছে লাদাখ থেকে। পাংগং সো ছাড়াও এই সপ্তাহের মধ্যেই গালওয়ান অঞ্চলের ১৪ নম্বর এবং ১৫ নম্বর প্যাট্রোলিং পয়েন্টেও আলোচনা রয়েছে দুদেশের সেনা কর্তাদের। পরপর আলোচনার কারণেই সেনা সরিয়েছে চীন বলে দাবি করা হয়েছে ওই ভারতীয় সরকারি সূত্রে।
আর চীন সেনা সরিয়েছে বলেই ভারতীয় সেনাও তাদের বাহিনীর একাংশ পূর্ব লাদাখ থেকে সরিয়ে নিয়েছে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার নিরিখে।
উল্লেখ্য, চুশুল মোল্ডো পয়েন্টে হওয়া বৈঠক শেষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ আবহাওয়াতেই সীমান্ত সমস্যার সমাধান করবে ভারত এবং চীন।
সূত্র : আজকাল