কালাপানি লিপুলেখ সঙ্কট এবং ভারতের সমস্যা

মো: বজলুর রশীদ | Jun 06, 2020 06:14 am
কালাপানি লিপুলেখ সঙ্কট এবং ভারতের সমস্যা

কালাপানি লিপুলেখ সঙ্কট এবং ভারতের সমস্যা - সংগৃহীত

 

কালাপানি সমস্যা’ নেপাল-ভারত কূটনৈতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করছে এমন নাজুক সময়ে ১৩ মে, ভারত লিপুলেখ পর্যন্ত লিংক রোডের উদ্বোধন করায় নেপাল জোরালো প্রতিবাদ জানায়। কাঠমান্ডুর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘পিথোরাগড় জেলায় রাস্তার কাজের যে উদ্বোধন করা হয়েছে সেটি উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত ও ভারতের এলাকা।’

ছোট দেশ নেপাল ভারত ও চীনের মাঝখানে, ছোট একফালি ভূমি ‘শিলিগুড়ি করিডোর’ বাংলাদেশ ও নেপালকে পৃথক করেছে। অনুরূপভাবে সিকিম স্টেট নেপালকে ভুটান থেকে পৃথক করেছে। নেপালে তিন প্রকার ভূখণ্ড রয়েছে, হিমালয় এলাকা, পার্বত্য এলাকা এবং ‘তেরাজ’ এলাকা। নেপালের তেরাজ এলাকায় বেশ উর্বর, নিচু ও কিছু জলাভূমি রয়েছে। এটা ৩১ মিলিয়ন জনগণের ৯০ শতাংশ মানুষকে সাপোর্ট দেয়। ৭০ শতাংশ মানুষ কৃষির সাথে জড়িত। কৃষি নেপালের বড় অর্থনৈতিক সেক্টর, যা জিডিপির ৩৮ শতাংশ জোগান দেয়।

১৮১৪ সালে ভারতশাসক ব্রিটিশের সেনাবাহিনী নেপাল অধিকার করার চেষ্টা চালায়। এতে নেপালি গুর্খা সেনারা প্রচণ্ড প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ব্রিটিশরা পরাজিত হয়ে একপর্যায়ে গুর্খা এলিট সেনাদের সাথে হাত মিলায়। এভাবে ব্রিটিশরা উপমহাদেশে প্রভাব প্রতিপত্তি বজায় রাখার কৌশল গ্রহণ করে।

নেপাল বিশ্বের একটি দরিদ্রতম দেশ। সিভিল ওয়ারের ধকল সামলানোর জন্য চেষ্টা করছে। নেপালি কমিউনিস্ট পার্টি ‘গণমানুষের যুদ্ধ’ শুরু করে যার লক্ষ্য হলো রাজতন্ত্রকে বিদায় জানানো, জাতিভেদমূলক বৈষম্য দূর করা, রাজকীয় সংসদীয় ব্যবস্থার পরিবর্তে ‘পিপলস রিপাবলিক’ চালু করা। এর ফলে সরকার একটি বড় ভূখণ্ডের ওপর আইনগত কর্তৃত্ব হারায়, তাই সেনাবাহিনী সেখানে শাসন করতে থাকে। ২০০৬ সালে বিদ্রোহীদের পতন ঘটে। এসব কারণ নেপালের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ব্যাহত করে, পর্যটনও হয় ক্ষতিগ্রস্ত। রাজনৈতিক দুর্যোগের পরপর ২০০৭ সালে সংবিধান তৈরি এবং সংসদ গঠিত হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণ রাজতন্ত্রের পরিবর্তে গণপ্রজাতন্ত্রকে ভোট দেয়। তবে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জন্য শান্তি প্রক্রিয়া দারুণভাবে ব্যাহত হয়। ফেডারেল ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক পাঁচ বছরেই ছয়জন প্রধানমন্ত্রীকে রাজনীতির মঞ্চে নিয়ে আসে। এ দিকে তেরাজ অঞ্চলে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। মাওবাদী ও অন্যান্য দল বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ চালাতে থাকে। ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট রাম বরন যাদব নতুন সংবিধানের ঘোষণা দেন। গত ৬৭ বছরে এটি নেপালের সপ্তম সংবিধান। কাঠমান্ডুর রাস্তাঘাট বিক্ষোভে উত্তাল হতে থাকে। এসব কারণে তেরাজ অঞ্চল আরো অশান্ত হতে থাকে।

নেপাল স্বাধীন ও সার্বভৌম থাকতে চায়। নেপালের চার পাশে যেসব দেশ রয়েছে নেপাল সেসব দেশের প্রভাব প্রতিপত্তি থেকে মুক্ত থাকতে চায়। এশিয়ার দু’টি বৃহৎ দেশ নেপালে প্রভাব বিস্তারের জন্য লড়ছে। ভারতের বন্দর ও তিব্বতের ওপর চীনের প্রভাব নেপালকে জটিলতায় ফেলেছে। নেপাল কার্পেট, কাপড়, চামড়ার তৈরি সামগ্রী, পাট ও শস্য দানা রফতানি করে। ভারত আমদানি করে ৬০ শতাংশ। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ ও জার্মানি। তেলের প্রোডাক্ট, স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক, ওষুধপত্র আমদানি করে জার্মানি। বৈদেশিক বাণিজ্যের বড় অংশ ভারতের হাতে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ ভারতের পরিবর্তে চীনকে নেপালের কাছে নিয়ে এসেছে।

চীন নেপালে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। চীনের লাখ লাখ পর্যটক ফিবছর নেপাল ভ্রমণ করে। এর মধ্যে নেপাল অয়েল করপোরেশন ও চায়না ন্যাশনাল ইউনাইটেড অয়েল ২০১৫ সালে যে চুক্তি করেছে সেটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। চুক্তি মতে, চীন নেপালে আন্তর্জাতিক রেটে তেল সরবরাহ করবে। এই দর ভারতের দরের চেয়ে কম। সহযোগী আরেক চুক্তির মাধ্যমে চীন গ্যাসোলিন, ডিজেল ও রান্নার গ্যাস অনুদান হিসেবে নেপালকে দিচ্ছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, এর ফলে নেপালের ব্যবসায়ীরা এসব জিনিস আরো প্রয়োজনে চীন থেকে আমদানি করবেন। ফলে ভারতের প্রতি অতিমাত্রার নির্ভরতা বন্ধ হবে।

নয়াদিল্লি নেপালের নতুন সংবিধানের সমালোচনা করেছে। বলেছে নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সাথে বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করা হয়েছে বিশেষ করে মাধেসিদের সাথে। ভারতের এই পদক্ষেপে নেপালে দাঙ্গা লেগে যায়, দাঙ্গায় ৪০ জন মৃত্যুবরণ করেছে।

ভূখণ্ড কুক্ষিগতকরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন, সংখ্যালঘু নির্যাতন, উগ্র জাতীয়তাবাদ, বিদেশাতঙ্ক, ইসলামোফোবিয়া, বৈষম্যমূলক নাগরিকত্ব, ডিটেনশন ক্যাম্প এসব শুধু নাৎসি বা ফ্যাসিস্টদের চরিত্রই নয়; সাম্প্রদায়িক আরএসএস ও বিজেপির নেতা-নেত্রীদের মাঝেও সংক্রমিত হয়েছে। অধিকৃত কাশ্মিরকে ‘গেরুয়া’করণের পর নেপাল কি এখন নতুন শিকার? ২০১৯ সালে ভারত তার ম্যাপ পরিবর্তন করেছে, সেখানে নেপালের দাবি করা কালাপানিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ভারতের উত্তরাখণ্ডের ধরচুলা-কালাপানি-লিপুলেখ রাস্তার জন্য ‘নেপালের ভূখণ্ডে’ কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের কৈলাশ মানসসরোবর-যাত্রার সময় অনেক দিন কমে যাবে। সর্বোপরি সামরিক গুরুত্ব তো রয়েছেই। নেপালের মতে এটি ‘আগ্রাসন’।

ভূখণ্ড আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নেপালে ব্যাপক বিক্ষোভ-আন্দোলন শুরু হয়, লিপুলেখ নেপালের দাবি করে স্লোগান দেয়া হতে থাকে। নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ১৮১৬ সালের চুক্তি মতে কালাপানি, লিম্পিয়াধুরা ও লিপুলেখসহ মহাকালী নদীর পূর্বের ভূভাগ নেপালের।

কয়েক সপ্তাহ ধরে নেপাল ছাড়াও চীনের সাথে ভারতের টেনশন অব্যাহত রয়েছে। পূর্ব লাদাখে ভারতীয় বাহিনী যেখানে নিয়মিত টহল দিত, চীন সে রকম ৬০ বর্গকিলোমিটারের বেশি এলাকা দখল করেছে। চীনা অনুপ্রবেশের কারণে কৌশলগত দারবুক-শায়ক-দৌলত বেগ ওলদি হাইওয়ের ওপর চীনের পিএলএ সেনাদের নজরদারি জোরালো হয়েছে এবং কারাকোরাম গিরিপথের কাছে বিচ্ছিন্ন ‘সাবসেক্টর নর্থের’ সাথে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একমাত্র যোগাযোগের পথটি তারা বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। সমালোচকরা বলেন, ভারত তার সব প্রতিবেশীর সাথেই এরূপ আচরণ করে থাকে, সব প্রতিবেশীর সাথে তার সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। ভারত এর আগে হায়দরাবাদ, সিকিম, রান অব কচ্ছ, গোয়া ও জুনাগড় গলাধঃকরণ করেছে এবং জম্মু ও কাশ্মিরের কিছু অংশ ও নাগাল্যান্ড দখলে রেখেছে। শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে সেনা অভিযান চালিয়েছে। চীন ও পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ করেছে। ভুটানে ও সিকিমে ভারতের স্থায়ী সেনাবাহিনী রয়েছে। নেপাল, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাথে অব্যাহত রয়েছে পানি বিরোধ। মিয়ানমারের সাথে সীমান্ত ও পাহাড়ি গোষ্ঠীর সমস্যা রয়েছে।

অভিযোগ, প্রতিবেশী দেশেগুলোর সাথে ভারত চানক্য নীতি অনুসরণ করে অনেক চুক্তির খেলাপ করছে। সম্প্রতি পাকিস্তানের গিলগিট বালতিস্তান ও আজাদ কাশ্মিরের আবহাওয়া বুলেটিন প্রচার নিয়ে আরেক ফ্রন্ট তৈরি হয়েছে। ১৯৫০ সালের ইন্দো-নেপাল চুক্তি ভারতের পক্ষে ছিল। ভারতঘেঁষা তদানীন্তন নেপালি সরকার এই চুক্তিতে সায় দেয়। চুক্তি অনুসারে ভারতীয়রা নেপালে জমি ক্রয়, নিজ নামে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে। তবে নেপালি পাহাড়ি গোষ্ঠী চুক্তিকে নেপালের সার্বভৌমের ওপর আঘাত মনে করে। অবশ্য নেপালের উন্নয়নের জন্যও ভারত অনেক সহায়তা প্রদান করে থাকে। ইকোনমিক টাইমস লিখেছে, ‘কালাপানি এলাকা ভারত, নেপাল ও চীন তিন দেশের মাঝখানে পড়েছে। নেপাল ও ভারত এ অঞ্চল নিজেদের দাবি করে। ভারত বলে এটি উত্তরাখণ্ডের অংশ এবং নেপাল বলে, দারচুলা জেলার অংশ। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ও নেপালের মাঝে ১৮১৬ সালে যে চুক্তি হয় সেখানে মহাকালী নদীকে নেপালের পশ্চিমাংশে দেখানো হয়। ভারত বলে, এই নদীর উৎস কালাপানি গ্রাম থেকে। নেপাল বলে এর উৎস ‘লিপুলেখ পাস’ থেকে।’

ভারতীয় সেনাবাহিনীতে দুর্ধর্ষ যোদ্ধা হিসেবে পরিচিত হাজার হাজার গুর্খা রয়েছে! শিখ যোদ্ধারা অপারেশন ব্লু স্টারের পর বিদ্রোহ করেছিল; মিজোরামের মিজো, নাগারাও বিদ্রোহ করেছিল। নেপালিদের বিষয়ে ভারতের আরো সজাগ হওয়া উচিত। তা ছাড়া পাকিস্তান ও চীনের মতো বৈরী শক্তি তো রয়েছেই। তালেবানরাও এখন ভারতের বিরুদ্ধে বলা শুরু করেছে। তারা বলেছে, ভারত যখনই আফগান বিষয়ে কাজ করেছে, তা তালেবানদের বিরুদ্ধে গেছে। ভারতের জন্য দুর্ধর্ষ তালেবানরা নতুন সমস্যা। মিয়ানমারের সাথে যতই সম্পর্ক থাকুক, চীনের কথার বাইরে একচুলও নড়বে না সে দেশ। হয়তো একমাত্র বাংলাদেশকে ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ হিসেবে পাওয়া যাবে। ভারতের আচরণে নেপাল বলেছে, ‘ভারতীয় ভাইরাস এখন চীন ও ইতালির চেয়েও মারাত্মক।’

নেপালের নতুন ম্যাপ জনসাধারণের জন্য এবং সরকারি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী পদ্ম আড়িয়াল বলেন, জনগণ খুশি হয়েছে। ভারত ও নেপাল উভয়ে সম্প্রতি প্রকাশ করা রাজনৈতিক ম্যাপে কালাপানি ও লিপুলেখ নিজেদের করে দেখিয়েছে। তবে নেপালের আগের ম্যাপে লিম্পিয়াধুরা দেখানো হয়নি। এ দিকে ভারত ৮ মার্চ উত্তরাখণ্ড থেকে লিপুলেখ ৮০ কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু করে। ভারত কালাপানিতে নিরাপত্তা চৌকি স্থাপন করেছে।

ভারতের সেনাপ্রধান বলেছেন, অন্য দেশের প্ররোচনায় নেপাল ভারতের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। এমন কথায় ‘দ্য রাইজিং নেপাল’ পত্রিকাকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নেপালের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঈশ্বর পোখরেল। তিনি বলেছেন, ‘ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে নেপালের গুর্খাদের ভাবাবেগে আঘাত হেনেছেন। ভারতের জন্য বহু বলিদান দিয়েছেন গোর্খারা। কিন্তু ‘তৃতীয়’ কোনো শক্তির প্ররোচনায় আমরা কালাপানি সীমান্তে বিবাদ করছি বলে যে অভিযোগ করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান, তা নিন্দনীয়। প্রয়োজনে নেপালি সেনারা যুদ্ধ করবে।
প্যাংগং তোসো লেক ও গালোয়ান উপত্যকায় চীন সেনা পাঠিয়েছে, ১০০টি তাঁবুর শিবির তৈরি করেছে। ভারতও সেনা সংখ্যা বাড়িয়েছে। ২০১৭ সালে দোকলামের পর এ ধরনের পরিস্থিতি সীমান্তে তৈরি হয়নি। এবার ৫ মে চীন ও ভারতীয় সেনা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল রড, লাঠি নিয়ে। পাথর ছোড়াও হয়েছিল। আহত হয়েছিল দু’পক্ষের সেনারাই। নেপালের সাথে ভারতের বিরোধ এখন চীনের সাথে বিরোধে পরিণত হয়েছে।

সর্বশেষ খবরে জানা যায়, সীমান্ত অঞ্চল লাদাখে সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং তিন সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। ভারত-চীন সীমান্তের তিনটি সেক্টরই এখন উত্তপ্ত। ইস্টার্ন সেক্টরের উত্তর সিকিমেও এ মাসের শুরুতে দুই সেনাবাহিনীর সঙ্ঘাত বেধেছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে চীন প্রায় হাজার দশেক সেনা মোতায়েন করেছে। তিব্বতের গারি গুনশা ঘাঁটিতে চলছে নির্মাণকাজ। সেখানে হাজির বেশ কিছু যুদ্ধবিমানও। ভারত থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে চীন।

নেপাল ও পাকিস্তান সীমান্তেও ভারত অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে। ‘যে কোনো’ পরিস্থিতির মোকাবেলায় কার্যত চরম প্রস্তুতি নিচ্ছে দিল্লি। ১ জুন থেকে উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস হয়ে যে সীমান্ত বাণিজ্য চীনের সাথে প্রতি বছর শুরু হয়, এবার সেটি বাতিল করা হয়েছে। নেপাল ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ভারতবিরোধী বিবৃতি এবং চীনের সেনা মোতায়েন সবটাই যেন একটি বৃহত্তর পরিকল্পনারই অঙ্গ! তাই চীন, পাকিস্তান ও নেপাল, তিন সীমান্তেই ভারতীয় সেনা কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আলোচনার মাধ্যমে পার্থক্য মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us