করোনার আক্রমণ : যা করছেন রাশিয়ার বড়লোকেরা
লকডাউনে বিশ্বের ধনীরা যেভাবে বিলাসব্যসনে মত্ত - সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের সঙ্কটের কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ ঘরে বসে থাকলেও রাশিয়ার বড়লোকেরা চুটিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন৷ আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ থাকার সময়েও প্রাইভেট জেটে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা!
করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বের প্রায় সব আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স বন্ধ থাকলেও এ সময়ে বিশেষ প্রয়োজনে কিছু প্রাইভেট জেট চলেছে৷ লকডাউন শুরুর পর চীনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের বিমানে চড়ে অবকাশযাপন কেন্দ্রে যাওয়ার খবর সংবাদ মাধ্যমে এসেছে৷ এ সময় রাশিয়ার ধনকুবেররা পছন্দ মতো জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন প্রাইভেট জেটে চড়ে৷ প্রতিটি টিকিটের জন্য ব্যয় করেছেন ১৬ হাজার থেকে ২৫ হাজার ইউরো৷অর্থাৎ, কমপক্ষে ১৩ জনের ভাড়া একাই দিয়েছেন তারা৷
৮০টি প্রাইভেট জেট বিমান সংস্থার তথ্য বলছে, গত মার্চে রাশিয়া থেকে জেট বিমানের ২৫০ টি ফ্লাইট গেছে বিভিন্ন গন্তব্যে৷ এপ্রিলে গেছে ৬১টি ফ্লাইট৷ ওই সময়ে রাশিয়ায় করোনার পরিস্থিতি খুব বেশি খারাপ ছিল না৷ মে মাসের শুরু থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে হতে এখন সেখানে ভয়াবহ অবস্থা৷সংক্রমণের দিক থেকে রাশিয়া এখন তৃতীয় স্থানে৷
কিন্তু এমন সময়েও রাশিয়ার বড় লোকদের মধ্যে জেট বিমানে চড়ে দেশের বাইরে যাওয়ার প্রবণতা আবার বাড়ছে৷ ১ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত রাশিয়া থেকে প্রাইভেট জেটের মোট ১০৭টি ফ্লাইট গেছে ফ্রান্স, স্পেন, সাইপ্রাস, ব্রিটেনসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে৷ নিজের দেশে সংক্রমণ বাড়ছে বলে ভিনদেশে নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে থাকাই নাকি নিরাপদ মনে করছেন রাশিয়ার ধনকুবেররা৷
সূত্র : ডয়চে ভেলে
লকডাউনে বিশ্বের ধনীরা যেভাবে বিলাসব্যসনে মত্ত
করোনাভাইরাসের প্রকোপে সারা বিশ্ব যখন ভয়ে গুটিয়ে গেছে, চাকরি হারিয়ে বা হারানোর আশঙ্কায় মাথার চুল ছিঁড়ছে গরিব বা মধ্যবিত্তরা, পেটের দায়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে বিলি করা খাবার নিতে লাইন দিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দরিদ্র মানুষজন তখন এসবের কোনো প্রভাবই পড়েনি বিশ্বের ধনকুবেরদের জীবনযাপনে।
যেমন গত মার্চের শেষেই নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে আমেরিকার মিডিয়া মোগল ডেভিড গেফেন ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের কাছে নিজের বিলাসবহুল ইয়টে ভাসতে ভাসতে সূর্যাস্তের ছবি পোস্ট করে বিশ্ববাসীর সুরক্ষার জন্য চিন্তা প্রকাশ করেছিলেন। মুহূর্তে ভাইরাল হওয়া ওই ছবিতে বিশ্বের গরিব মানুষদের অসহায়তা নিয়ে ধনীদের উন্নাসিকতাকে বিদ্রুপ করে প্রতিক্রিয়ায় ভরিয়ে দেয় নেটিজেনরা।
তবে শুধু গেফেনই নয়, বিভিন্ন দেশের সরকার লকডাউন ঘোষণা করার পরই ধনকুবেররা হয় ব্যক্তিগত বিমানে তাদের বিলাসবহুল খামারবাড়ি বা সমুদ্রপাড়ের রিসর্ট বা ব্যক্তিগত জাহাজে পাড়ি দিয়েছেন। তাদের এই বিলাসবহুল অ্যারিস্টক্র্যাট বাঙ্কারে রয়েছে জিম, সনাবাথ, সুইমিং পুল, জাকুজি, গ্যারাজ, গ্রিন হাউসের মতো আরামদায়ক জিনিসপত্র। এর মধ্যেই কয়েকজন মার্কিন কোটিপতি স্টক মার্কেট কিছুটা উন্নত হওয়ায় সেখানে টাকা খাটিয়ে ১৮ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিলের মধ্যে নিজেদের সম্পত্তি ১০ শতাংশ বা ২৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়িয়েও নিয়েছেন।
তবে এর মধ্যেই কয়েকজন ধনী কোভিড–১৯ খাতে কিছু দানও করেছেন, যেমন টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডর্সি দিয়েছেন এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস আমেরিকার ফুড ব্যাংকে দিয়েছেন ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
কিন্তু ফোর্বস ম্যাগাজিনের মতে, ২০১৯–এ যেখানে ২১৫৩ কোটিপতি এধরের সমস্যায় অনুদান দিয়েছিলেন, সেখানে এবছর এপর্যন্ত ২০৯৫ জন কোটিপতি অনুদান দিয়েছেন।
সূত্র : আজকাল