তুরস্কের হাতে পারমাণবিক শকওয়েভের মতো অস্ত্র
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান - সংগৃহীত
লিবিয়ার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তুরস্ক নতুন ধরণের বিমান চালনা শুরু করতে পারে। এটি লিবিয়ায় অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায়ের ইঙ্গিত দেবে। দ্বিতীয় পর্যায়টির গন্তব্য হতে চলেছে হাফতার এবং পূর্ব লিবিয়া, বেনগাজি এবং টব্রুক।
লিবিয়ার সূত্রগুলি বলছে যে, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং হাফতার যখন তুরস্ককে লক্ষ্য করে বিমান হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সেই সময়টিতে তুরস্ক হাফতারের সদর দফতরে আঘাত হানতে সক্ষম।
তুরস্কের সর্বশেষ প্রস্তুতিগুলো সম্ভবত বড় ধরনের বিমান অপারেশনের জন্য। অন্য কথায়, তুরস্ক এখন থেকে বিমান এবং সমুদ্র উভয় দিক থেকেই হাফতারের উপর আক্রমণ শুরু করবে।
তারা ক্রমাগত আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বোমাগুলো হাফতারের সদর দফতরে ফেলতে চলেছে, যা ভূমধ্যসাগরে উপকূলসহ সমস্ত দেশে অনুভূত হতে পারে।
তুরস্কের রয়েছে পারমাণবিক শকওয়েভের মতো অস্ত্র
তুরস্ক প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এটিই প্রথমবারের মতো বিশ্বশক্তি হয়ে উঠেছে। এটি তার অঞ্চলের বৃহত্তম সামরিক শক্তি এবং একই সাথে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম সামরিক শক্তি হয়ে উঠেছে।
তবে তুরস্কের অনেক বড় বন্দুকটি হলো : এর ভৌগোলিক মন, ঐতিহাসিক স্মৃতি এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিকল্পনা। এগুলো সম্মিলিতভাবে পারমাণবিক শকওয়েভের মতো পুরো অঞ্চলের সব পরিকল্পনাকে গ্রাস করবে।
এখন আমরা লিবিয়ায় এর উদাহরণগুলো দেখতে পাচ্ছি।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে এই প্রথম কোনো স্থানীয় আঞ্চলিক তত্ত্ব উপস্থাপন করা হচ্ছে। এটি একটি রাজনৈতিক তত্ত্ববক্তৃতা যা সমস্ত বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক আক্রমণ, গৃহযুদ্ধ, উপনিবেশবাদী এবং আধিপত্য বিস্তার প্রকল্পগুলোকে সমাহিত করতে যথেষ্ট শক্তিশালী। অঞ্চলটির সব দেশের জন্য এটি একটি উদাহরণ।
কে সিএইচপি-পিকেকে অংশীদারিত্ব সক্রিয় করেছে, কেন?
তুরস্ক যখনই ঐতিহাসিক এবং আঞ্চলিক গভীরতার সাথে অত্যন্ত সংবেদনশীল কোনো অভিযানের চেষ্টা করে তখনই একটি অদ্ভুত ক্রিয়াকলাপ শুরু হয় দেশের মধ্যে। তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) মাধ্যমে বেশ কয়েকটি সামাজিক উত্তেজনা সৃষ্টির কৌশল প্রয়োগ করা হয়।
তুরস্কে যখন উত্তেজনা বৃদ্ধি পায় এবং তুরস্কের সাফল্য বিশ্বকে সক্রিয় করে, তখন সিএইচপি, পিপলস ডেমোক্রেসি পার্টি (এইচডিপি) এবং সন্ত্রাসী কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) মধ্যে অংশীদারিত্ব সৃষ্টির উস্কানিমূলক চেষ্টা করা হয়েছিল, যেখানে তুর্কি জনগণ এই জায়গাটিতে একটি রেখা এঁকে নেয়।
এই উস্কানির উদ্দেশ্য ছিল লিবিয়া থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেয়া এবং তুরস্কের প্রভাবকে তুচ্ছ করা।
আমি বছরের পর বছর ধরে “অভ্যন্তরীণ ফ্রন্ট” এবং “নেটিভ হানাদার” শব্দ ব্যবহার করে আসছি। এটি রাজনৈতিক পরিচয়ের কোনো বিষয় নয়। এটি বাইরের ফ্রন্টের অভ্যন্তরীণ প্রসার যা “তুরস্ককে থামানোর” লক্ষ্য করে তৈরি।
সিএইচপি-পিকেকে অংশীদারিত্বই এ কারণে তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।
* তুর্কি দৈনিক ইনি সাফাকের সম্পাদক ইব্রাহিম কারাগুলের লেখা থেকে