ভারতকে ফের হুঁশিয়ারি আমেরিকার
ভারতকে ফের হুঁশিয়ারি আমেরিকার - সংগৃহীত
রাশিয়ার থেকে ৫০০ কোটি ডলার দিয়ে পাঁচটি এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে ভারত। আর এর জেরে ভারতকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে বলে বুধবার মন্তব্য করেন মার্কিন কূটনীতিক অ্যালিস ওয়েলস। আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষা নিয়ে সুসম্পর্ক রাখতে গেলে প্রযুক্তি এবং তার ব্যবহারের বিষয়ে ভারতকে কৌশলগত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিন তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতি ভারতের সামনে বাণিজ্যিক সম্ভাবনার সুযোগ তৈরি করেছে। কিন্তু সংরক্ষণশীল আর্থিক নীতির জন্য ভারত সেই সুযোগ গ্রহণ করতে পারছে না।
এদিন ভারতের বিরুদ্ধে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে অ্যালিসের মন্তব্য ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার সঙ্গে এস-৪০০ কেনা নিয়ে চুক্তি করে ভারত। ভূমি থেকে আকাশে আঘাত হানতে সক্ষম দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি। ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার সম্ভাবনা উড়িয়ে মস্কোকে গত বছর এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম কিস্তির ৮০ কোটি ডলার দিয়ে দেয় দিল্লি। এরপর থেকেই ভারতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হতে পারে বলে নানা সময়ে মার্কিন কূটনীতিকরা মন্তব্য করেছেন।
তাইওয়ানের কাছে টর্পেডো বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
আলজাজিরা
তাইওয়ানের কাছে ১৮ কোটি মার্কিন ডলারের হেভিওয়েট টর্পেডো বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে এই বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের কারণে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সম্পর্কে আরো টানাপড়েন সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
বুধবার টানা দ্বিতীয় মেয়াদে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী সাই ইং ওয়েন। এরপরই চীনের তাইওয়ানবিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র সতর্ক করে দিয়েছেন স্বশাসিত অঞ্চলটির বিচ্ছিন্নতা কখনো সহ্য করবে না বেইজিং। আর তারপরেই তাইওয়ানকে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত এই বিক্রয় অনুমোদনের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। এ ছাড়া বলা হয়েছে এই অস্ত্র পাওয়ার মধ্য দিয়ে গ্রহণকারীর নিরাপত্তার উন্নয়ন হবে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামরিক ভারসাম্য এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়তা করবে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে এমকে-৪৮ এমওডি অ্যাডভান্সড টেকনোলোজির হেভিওয়েট টর্পেডোগুলো মার্কিন নৌবাহিনীর মজুদ থেকে সরবরাহ করা হবে। এই টর্পেডো সাবমেরিন থেকেও নিক্ষেপ করা যায়।
উল্লেখ্য, স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে মনে করে চীন। চীন-তাইওয়ান বিরোধের সূত্রপাত ১৯২৭ সালে। ওই সময়ে চীনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গৃহযুদ্ধ। ১৯৪৯ সালে মাও জে দংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীরা জাতীয়তাবাদী সরকারকে উৎখাতের মধ্য দিয়ে এ গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটায়। জাতীয়তাবাদী নেতারা পালিয়ে তাইওয়ান যান। এখনো তারাই তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রাথমিকভাবে ওই সময় যুদ্ধ বন্ধ হয়ে পড়লেও উভয় দেশই নিজেদের চীনের দাবিদার হিসেবে উত্থাপন শুরু করে। তাইওয়ানভিত্তিক সরকার দাবি করে, চীন কমিউনিস্ট বিপ্লবীদের দ্বারা অবৈধভাবে দখল হয়েছে। আর বেইজিংভিত্তিক চীন সরকার তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্নতাকামী প্রদেশ হিসেবে বিবেচনা করে।