মহামারি প্রতিরোধে তুরস্ক বারবার এত সফল হয় কিভাবে?
সস্ত্রীক এরদোগান - সংগৃহীত
তুরস্কের অ্যাকাডেমিক নুখিত ভারলিক ওসমানি খেলাফতের আমলে বিভিন্ন মহামারীর প্রার্দুভাব থেকে সালতানাতকে রক্ষার বিষয়ে বই লিখেছেন। তিনি দেখিয়েছেন ওসমানি সাম্রাজ্যের পুরো আমলে সুলতানকে মহামারী প্রতিরোধে বিভিন্ন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। ওসমানি সাম্রাজ্য ১৯২৩ সালে সমাপ্ত হয়, বলতে গেলে ওই সময় পর্যন্ত তারা মহামারী প্রতিরোধে কাজ করেছিলেন। এ থেকে ধারণা লাভ করা যায় যে, তুর্কিদের মহামারী নিয়ন্ত্রণে নিজস্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিশেষ করে ১৬ শতাব্দীতে নিজ জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষা ও মহামারী নিয়ন্ত্রণের জন্য তুর্কিরা প্রাতিষ্ঠানিক, আইনি ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রভূত উন্নতি ঘটায়। যারা মনে করেন ‘জনস্বাস্থ্য’ পশ্চিমাদের সৃষ্টি, তারা এই উদাহরণ থেকে তুর্কিদের অবদান সম্পর্কে জানতে পারবেন। খেলাফত কয়েক শ’ বছর এই স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ও উন্নয়নে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছে। আধুনিক মেডিসিনের অগ্রযাত্রায়ও এই চর্চা যথেষ্ট সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। জাদুঘরে রক্ষিত বিভিন্ন চিত্রকলায় ওসমানি খেলাফত আমলে বিভিন্ন চিকিৎসাপদ্ধতি ও ওষুধের আবিষ্কারের ওপর বর্ণনা পাওয়া যায় যা চিকিৎসা বিজ্ঞান ও তুর্কি সালতানাত আমলের উন্নতির দলিল।
১৮ শতকে খেলাফতে যে মহামারী দেখা দিয়েছিল সে সম্পর্কে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা লেখালেখি করেছেন। মারডক মেকেঞ্জি ইস্তাম্বুলে লেভেন্ট কোম্পানিতে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করতেন। তার চিঠিপত্রগুলো মহামারী নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে ভারলিক মন্তব্য করেন। মেকেঞ্জি ওসমানি সাম্রাজ্যের কোনো কোনো শহর কেন মহামারীতে আক্রান্ত হয়েছিল সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন। তিনি তথ্য সংগ্রহের জন্য নিজস্ব নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছিলেন। এই চিকিৎসক ৩০ বছর ওসমানি সাম্রাজ্যে কাজ করেছিলেন তাই মহামারীর চরিত্র পরিবর্তন, গতিবিধির ধারার ওপর তার পর্যবেক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১৮৩৮ সালে খেলাফত মহামারী প্রতিরোধে কোয়ারেন্টিন পদ্ধতি চালু করেছিলেন। তবে এ আইন ও পদ্ধতি প্রয়োগের পরও মহামারী কয়েক দশক পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। এ বিষয়টির সফলতা ও বিফলতা নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন বলে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা মনে করেন। প্রফেসর ভারলিক মনে করেন, কোয়ারেন্টিন পদ্ধতি প্রয়োগে মহামারী প্রতিরোধ করা যায় না। তার মতের সমর্থনে তিনি অনেক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছেন। তার মতে কোয়ারেন্টিনের কারণে অন্যান্য ছোঁয়াচে রোগ যেমন কলেরা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, কোনো প্লেগ জাতীয় মহামারী নয়।
সরকার রোগ প্রতিরোধের জন্য এখন অর্থ ও জনস্বাস্থ্য দু’টিই রক্ষা করতে চান। মানুষকে ঘরের মধ্যে আবদ্ধ রেখে করোনা মহামারী প্রতিরোধ এখন অনেক স্থানে প্রশ্নবিদ্ধ। বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, এর ফলে মন্দা আক্রান্ত হবে বিশ্ব, জাতিসঙ্ঘ সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছে এই বলে যে, এর ফলে বিশ্বের অর্থনীতির দুই ট্রিলিয়ন ডলার শুধু চলতি বছরই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মহামারীতে ওসমানি সাম্রাজ্যের অর্থনীতি কোনো নীতির বলে স্থিতিশীল ছিল তা এখন আর এক গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিন্তাবিদরা বলছেন, শুধু ক্যাপিটালিস্ট দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ব্যাখ্যা করা যাবে না।
প্লেগের কারণে জীবনহানি ওসমানি অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা এটি অস্বীকার করা যাবে না, কিন্তু তুর্কিরা অর্থনীতি পুনরুদ্ধারও করেছেন সাম্রাজ্য বিস্তার ও নতুন আয়ের ব্যবস্থা করে, বিশেষ করে ১৬ শতাব্দীতে। তা ছাড়া সালতানাতে বিভিন্ন দক্ষ পেশাজীবীরা অভিবাসী হওয়ায় আর্থিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। তবে ১৭ শতাব্দীতে খরা, ছোট আকারে দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ ও অভিবাসনের ফলে আর্থিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন মহামারী ওসমানি সাম্রাজ্যে ১৮ ও ১৯ শতাব্দীতেও দেখা দেয়, তবে তার তীব্রতা ছিল খুবই কম। এত দিনের অভিজ্ঞতা বর্তমানে তুর্কিদের মহামারী নিয়ন্ত্রণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে শিখিয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দীর্ঘ দিনের এই অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে বলে মনে করেন তুর্কি চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। করোনাভাইরাস নতুন ভাইরাস, তবে মহামারীতে আক্রান্তদের চিকিৎসাপদ্ধতি তুরস্কে নতুন নয়। ওসমানি খেলাফতের অভিজ্ঞতা মহামারী প্রতিরোধে কতটুকু কাজ করছে এখন তা বিশ্লেষণের সময় এসেছে।
এরদোগান সরকার মিডিয়াতে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন নিয়ন্ত্রণের পর করোনাযুদ্ধ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে, যা অন্যান্য দেশের চেয়ে অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছে। বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন, কিন্তু কোনটি গ্রহণ বা বর্জন করবেন, সেটি একটি রাজনৈতিক চিন্তাধারা। এখানে ভুল হলেও চরম বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। সৌভাগ্য, এরদোগান সরকারের মহামারী নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপগুলো দেশে ও বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। তুলনামূলকভাবে একটু দেরিতে করোনাভাইরাস তুরস্কে ঢুুকেছে, ১১ মার্চ প্রথম আক্রান্তের সংবাদ প্রকাশ হয়। সরকার ৬৫ বছরের বেশি ও ২০ বছরের কম বয়সীদের লকডাউনের নির্দেশ দিয়েছে। করোনাভাইরাসের আক্রমণ ঠেকাতে সায়েন্টিফিক কমিটি গঠিত হয়েছিল ১০ জানুয়ারি, ৩১ সদস্য নিয়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তুরস্কের হাসপাতালের সেবাকে বিশেষায়িতকরণ ও রোগাক্রান্তদের চিকিৎসা দানের প্রশংসা করেছে। পশ্চিমারা প্রচার করে যে, ইসলাম সেকেলে। এ ধারণায় আঘাত করেছে তুরস্কের চিকিৎসাব্যবস্থা। তুরস্কে অনেক আগ থেকেই সেকুলার ধারণার পরিবর্তে ইসলামীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে হাত, নাক, চোখ পরিষ্কার রাখা, মাস্ক পরিধান ও নানা প্রক্রিয়ায় ব্যক্তি, পরিবার ও পার্শ¦বর্তী পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ইসলামের মৌলিক দাবি। এটি করোনার সময়ে প্রমাণিত হয়েছে যে, ইসলামী চলমান বিধি কতটুকু স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানসম্মত যা অন্যান্য কোনো ধর্মে নেই। তুরস্কের ইসলামপন্থীরাও সরকারের সাথে এ বিষয়ে প্রচারকার্য চালিয়ে জনগণকে সচেতন করছেন। নিউজউইক ম্যাগাজিনের ১৭ মার্চ সংখ্যায় এক ক্যাথলিক লেখক, মহামারী সম্পর্কে, মুহাম্মদ সা:-এর বাণীগুলো উল্লেখ করে ইসলাম ও মহানবী সা:-এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, ইসলামী স্বাস্থ্যবিধি পশ্চিমা স্বাস্থ্যবিধি থেকে অনেক উন্নত ও টেকসই।
যখন তুরস্ক কোনো কৃতিত্ব দেখায়, যখন তার ক্ষমতা বিকশিত হয়। যখন বিশ্বের সহায়তায় বিস্তারিত কার্যক্রম গ্রহণ করে, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিকাশ ও প্রবৃদ্ধি হয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মঞ্চে অবতীর্ণ হয় তখন ‘শয়তানের চক্র’ প্রতিহত করার জন্য এগিয়ে আসে। ওসমানি খেলাফত থেকে এ পর্যন্ত ইতিহাস তাই বলে। সমালোচকরা বলে চলেন, যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নেয়, ইউরোপ ব্যবস্থা নেয়, সৌদি আরব ও আমিরাতও ব্যবস্থা নেয়, পশ্চিমা মিডিয়া ব্যবস্থা নেয়, তুর্কিবিরোধী আন্তর্জাতিক মোর্চাকে তারা উজ্জীবিত করে। প্রথমে যুক্তির মাধ্যমে চুপ থাকার অনুরোধ আসে, তার পর সাবধানবাণী, এসব শেষ হলে ভীতি প্রদর্শন, সেটিও কাজ না করলে মিডিয়া ‘ক্লোন’ সাজানোর চেষ্টা চলে। এই শক্তি আরো কিছু রাজনৈতিক ও সামরিক দলকে পোষণ করছে যেমন- ফেতুল্লা সন্ত্রাসী সংগঠন (ফেটো) এবং কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। দেশের অভ্যন্তরেও বিরোধী শক্তিকে দাঁড় করানো হয়েছে। এরা ঘরে-বাইরে দুর্গের ভেতর বসে আক্রমণ চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিভিন্ন মতবাদের বিরোধীদের মধ্যে ঐক্য যেমন- রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি), জাতীয়তাবাদী, রক্ষণশীল, ইসলামপন্থী, উদারপন্থী, বামপন্থী মিলিত হয়েছে, যা এর আগে তুরস্কে দেখা যায়নি। কিন্তু বিরোধী শিবিরে যারা রোগাক্রান্ত হয়েছে সিএইচপি, পিকেকে, ফেটো, কানান ওজগুর, আকরাম, জারকল সবাইকে জেল থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এদের অনেকেই এখন অনুতপ্ত।
কোভিড-১৯ মহামারী বিশ্বকে চরম দুর্যোগের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, বিশ্বনেতারা যখন সামাল সামাল রব তুলেছে তখন তুরস্ক নতুন সার্থক ও বিজয়ের কাহিনী লিখছে। তুর্কিরা যে চিকিৎসাপদ্ধতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে অনেক বালাই দমন করা সম্ভব হচ্ছে। সামাজিক প্রতিরোধ সৃষ্টি ও সেটিকে যথাযথ প্রয়োগ করার চেষ্টা চালানো হয়েছে, যা ইতোমধ্যে বিশ্বদরবারে প্রশংসিত হয়েছে।
তুর্কিরা বিশ্ব সহায়তা করার জন্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্য, ইউরোপ থেকে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া থেকে সেন্ট্রাল এশিয়া, বলকান সব খানে তুর্কি সহায়তা অব্যাহত রয়েছে, ফলে মহামারীর সূচালো গতির রেখাকে তুরস্ক বাঁকিয়ে দিয়েছে। পশ্চিমা বিশ্বে অনেক স্থানে আক্রান্তদের মৃত্যুর কোলে ছেড়ে দিয়েছে। কোথাও কোথাও বৃদ্ধদের চিকিৎসা প্রদান বন্ধ করা হয়েছে, এমন অবস্থায় তুরস্ক ঘরে-বাইরে সবার চিকিৎসাসহায়তা করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিশ্বের যেখানে তুর্কি নাগরিকরা রয়েছেন তাদের বিমানের সহায়তায় দেশে নিয়ে এসেছে। এমন ঘটনাও আছে, শুধু একজন আক্রান্তকে দেশে আনার জন্য একটি বিমান পাঠানো হয়েছে। কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা কমিটি প্রতি নাগরিকের বাড়িতে বাড়িতে গিয়েছে। বিশ্ব যখন মাস্কের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছে, তুরস্ক বিনামূল্যে বাড়িতে গিয়ে মাস্ক বিলি করছে। জানা মতে, কোনো দেশ এমনটি করতে সক্ষম হয়নি।
উপরে বলা হয়েছে, মহামারী প্রতিরোধে তুরস্ক লকডাউনের নিজস্ব ধরন প্রয়োগ করেছে। বিভিন্ন শহরে ছুটির দিন ও বন্ধের সময় পুরোপুরি কারফিউ দেয়া হয়েছে। সরকারি বিভিন্ন অফিসের ওপর ছেড়ে দেয়া হয় তারা কর্মচারীদের অফিসে রাখবেন নাকি বাসায় রেখে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে কাজ করাবেন। জিমনেসিয়াম, রেস্টেুরেন্ট ও ক্যাফে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, খাবার সরবরাহের দোকানগুলো শুধু খোলা। কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা করোনার কারণে সাময়িকভাবে বিনা বেতনে ছুটিতে থাকবেন তাদের সরকারের ট্রেজারি থেকে প্রতিদিন ৪০ লিরা করে দেয়া হচ্ছে। প্রতি পরিবার সপ্তাহে পাঁচটি করে মাস্ক পাচ্ছেন বিনামূল্যে। এভাবে দেখা যায়, সরকার আস্তে আস্তে একটি সার্থকতার চিত্র অঙ্কন করছে। করোনার আক্রান্ত দেশের তালিকায় তুরস্ক ৬ নম্বরে ছিল। এখন এটি না বেড়ে আক্রান্তের হার কমেছে ও তালিকায় নিচে নেমে ৯ নম্বরে দাঁড়িয়েছে। তুরস্কে এখনো আক্রান্ত হচ্ছে তবে হার কম।
গত দশকে তুরস্ক প্রত্যক্ষভাবে অনেক সঙ্কটে পড়েছে ও তার মোকাবেলা করে বর্তমান অবস্থায় এসেছে। এসব সমস্যার অনেকগুলো ‘সিস্টেমেটিক সমস্যা’। যেমন বহু দিনের সেনাবাহিনীর কৃতিত্ব, গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, গুলেনবাদীদের যড়যন্ত্র, জটিল আমলাতন্ত্র, ৪০ বছর ধরে পিকেকের সামরিক অভিযান ও নাশকতা এবং ন্যাটো চ্যানেলের কার্যধারা। এসব কিছুকে চাপা দিয়ে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার ঘরে বাইরের যড়যন্ত্র কোণঠাসা করতে সক্ষম হয়েছে।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বলতে হয়, তুরস্ক ২০১১ সালে উঠতি শক্তি হিসেবে প্রকাশ পায়, অর্থনীতি ও গণতন্ত্র বেগবান হতে থাকে। করোনা মহামারী প্রতিরোধ ও জনগণকে বাঁচানোর জন্য তুরস্ক বাইরের সাহায্যের পরিবর্তে নিজের শক্তি দিয়ে মোকাবেলা শুরু করে। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে করোনা মোকাবেলায় ৬৫ শতাংশ মানুষ খুশি।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব ও গ্রন্থকার