করোনার নতুন ওষুধ আবিষ্কার চীনে
করোনার নতুন ওষুধ আবিষ্কার চীনে - সংগৃহীত
চীনের গবেষণাগারে নতুন একটি ওষুধ আবিস্কৃত হয়েছে, যা করোনা মহামারীর বিস্তার থামিয়ে দিতে পারবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশ^ব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া এই ভাইরাসের উৎপত্তি গত বছরের শেষের দিকে চীনে। এর চিকিৎসা ও টিকা আবিস্কারে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রীতিমত প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
গবেষকগণ বলেছেন, চীনের খ্যাতনামা পিকিং ইউনিভার্সিটি’র বিজ্ঞানীরা নতুন ওষুধটির পরীক্ষা চালিয়ে
দেখেছেন যে, তা কেবল আক্রান্তের আরোগ্যলাভের সময়ই কমাবে না বরং ভাইরাসের বিরুদ্ধে স্বল্পমাত্রার ইমিউনিটিও তৈরি করবে।
ইউনিভার্সিটি’র বেইজিং এডভান্সড ইনোভেশন সেন্টার ফর জিনোমিক-এর পরিচালক সানি জি এএফপিকে বলেন, ওষুধটি প্রাণীর ওপর প্রয়োগে সাফল্য ধরা দিয়েছে।
জি বলেন,‘কয়েকটি সংক্রমিত ইঁদুরের অ্যান্টিবডি নিস্ক্রিয় করায় প্রয়োগ করার পাঁচ দিন পর সেগুলোর শরীর থেকে ভাইরাস কমে আসতে দেখা গেছে।’
তিনি বলেন, ‘এর মানে যে, এই ওষুধের একটি চিকিৎসা কার্যকারিতা রয়েছে।’
ব্রিটেন, স্পেন, ইতালিকেও ছাড়িয়ে গেল ব্রাজিল
বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে ব্রাজিল তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। সোমবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী তারা এ অবস্থানে এলো।
ক্রমবর্ধমান সংকটের মুখে থাকা দেশটি কোভিড-১৯ ভাইরাস মোকাবেলায় লড়াই করে যাচ্ছে। খবর এএফপি’র।
ব্রাজিলে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৫৪ হাজার ২২০ জনে দাঁড়ানোয় দেশটি গত ৭২ ঘণ্টায় মোট আক্রান্তের তালিকায় ব্রিটেন, স্পেন ও ইতালিকে ছাড়িয়ে গেছে।
এক্ষেত্রে ব্রাজিল কেবলমাত্র যুক্তরাষ্ট্র (১৫ লাখ) ও রাশিয়ার (২ লাখ ৯০ হাজার) পেছনে রয়েছে।
দেশটিতে এ পর্যন্ত কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ১৬ হাজার ৭৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিক থেকে বিশ্বে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ব্রাজিল।
এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাজিলে সরকারিভাবে ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে দেশটিতে করোনাভাইরাসে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ গুণেরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, দেশটিতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম পরীক্ষা করা হচ্ছে।
২১ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত দক্ষিণ আমেরিকার এ বিশাল দেশে কোভিড-১৯ ভাইরাস কিভাবে মোকাবেলা করা হবে সেটা নিয়ে রাজনৈতিক বিভক্তি রয়েছে।
কট্টর ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো এ ভাইরাসকে একটি ‘সামান্য ফ্লু’র’ সাথে তুলনা করেছেন এবং দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি বন্ধে ফের কাজ শুরু করতে দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে রাজ্য ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের ঘরে থাকার এবং জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে গেলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জোরালো আহ্বান জানিয়েছে।
দেশটিতে করোনা মোকাবেলায় এভাবে পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়ায় বিষয়টি আদালতে গড়ালে আদালত রাজ্য ও স্থানীয় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের পক্ষে সমর্থন দেয়।
সূত্র : এএফপি