করোনার সাথে বসবাস : মানতে হবে এই ১০ নিয়ম

নিজস্ব প্রতিবেদক | May 18, 2020 05:29 am
করোনার সাথে বসবাস

করোনার সাথে বসবাস - সংগৃহীত

 

পৃথিবী কবে করোনামুক্ত হবে, এ প্রশ্নের সদুত্তর এখনো চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কাছে নেই। বরং করোনা যে সহজে পিছু ছাড়বে না, সেদিকেই ইঙ্গিত দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আইসিএমআর। কিন্তু, এই অবস্থায় খুব বেশি লাগামহীন হলে বিপদ আসন্ন, এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, জীবনযাত্রা ও রোজকার কাজকর্ম করার পদ্ধতিতে বদল এনে করোনার সঙ্গে থাকতে হবে। এখনো আমাদের হার্ড ইমিউনিটি আসেনি, তাই সতর্ক থেকে রোগ প্রতিরোধ করা ছাড়া গতি নেই।
করোনার হাত থেকে বাঁচতে গেলে কোন ১০টি নিয়ম মানতেই হবে? চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের কথায় :

১) বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক ও গ্লাভস পরা দরকার। বাস, ট্যাক্সি ইত্যাদি গণপরিবহণ ব্যবহার করার সময় গ্লাভস না থাকলে হাতে জীবাণু চলে আসতে পারে

২) নিয়মিত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে হাত বা গ্লাভস জীবাণুমুক্ত করতে হবে

৩) মাথায় টুপি পরা দরকার

৪) কোনো জায়গায় হেঁটে যাওয়া সম্ভব হলে সেটাই করতে হবে

৫) ভিড় এড়াতে হবে

৬) কথা বলার সময় দেড় থেকে দুই মিটার দূরত্ব রাখা দরকার

৭) বাড়িতে ফিরে জামাকাপড় ধুতে হবে। পাশাপাশি সাবান দিয়ে হাত ধোয়া বা গোসল করা জরুরি। মোবাইল, ঘড়ি, চশমাও বাড়ি ফিরে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে

৮) কেনা সব্জি ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে

৯) কর্মীদের ওয়ার্ক ফর্ম হোমের সুবিধা ও বাড়ির সামনে পোস্টিং দেয়া উচিত

১০) কর্মস্থল নিয়মিত স্যানিটাইজ ও গণপরিবহণে যাত্রী সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা উচিত।

করোনা ভাইরাসের সাধারণ লক্ষণগুলো :

জ্বর
শুষ্ক কাশি
শ্বাসকষ্ট
মাংসপেশিতে ব্যথা
ক্লান্তি


করোনা ভাইরাসের সচরাচর দেখা যায় না এমন লক্ষণগুলো :

কফ তৈরি হওয়া
মাথাব্যথা
কফে রক্ত আসা
ডায়রিয়া

করোনা ভাইরাসের বিরল লক্ষণগুলো :

সর্দি
গলা ব্যথা
সর্দি এবং গলা ব্যথা হচ্ছে শ্বাসযন্ত্রের উর্ধাংশের সংক্রমণ৷ ফলে যাদের সর্দি আছে এবং গলাব্যথা করছে তারা সাধারণ কোনো ঠান্ডা বা ফ্লুতে আক্রান্ত বলে ধরে নেয়া যায়৷

শুরুতে অনেকের কোনো লক্ষণই দেয়া যায় না৷

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রাথমিকভাবে অনেকের শরীরেই কোনো লক্ষণ দেখা যায় না৷ জার্মান সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ বিষয়ক সংস্থা রবার্ট-কখ্-ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নতুন এই ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড হচ্ছে ১৪ দিন৷

আপনি যদি অসুস্থ বোধ করার পর নিশ্চিত না হন যে কী হয়েছে তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন৷ একজন চিকিৎসক আপনার কফ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হতে পারবে আপনার ঠিক কী হয়েছে৷

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, অধিকাংশ ঠান্ডা বা ফ্লু হয় ভাইরাসের কারণে৷ ফলে সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়তে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার অর্থহীন৷ এন্টিবায়োটিক শুধু ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কাজে লাগে, ভাইরাস নয়৷


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us