১ ব্যক্তির স্পর্শে করোনায় আক্রান্ত ৫৩৩ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক | May 12, 2020 08:45 pm
১ ব্যক্তির স্পর্শে করোনায় আক্রান্ত ৫৩৩ জন

১ ব্যক্তির স্পর্শে করোনায় আক্রান্ত ৫৩৩ জন - সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিষয়ে সারা বিশ্ব ইতোমধ্যে অবগত। তবে মহামারি এই ভাইরাস যে কত দ্রুত ছড়িয়ে পরতে পারে তারই এক উদাহরণ পাওয়া গেছে আফ্রিকার দেশ ঘানায়। দেশটির আটলান্টিক সিফ্রন্ট শহরের একটি মাছের আড়তে এক ব্যক্তি থেকে সংক্রমিত হয়েছে ৫৩৩ জন। দেশটির রাষ্ট্রপতি নানা আকুফো-আদ্দো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি রোববার এক সংবাদ সম্প্রচারে বলেছেন, মাছ প্রক্রিয়াজাত করার কারখানায় একজন ব্যক্তি ৫৩৩ জনকে আক্রান্ত করেছেন। নতুন আক্রান্তরা দেশের আক্রান্তকে ১১ দশমিক তিন শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে ওই লোকের মাধ্যমে সবাই কিভাবে আক্রান্ত হয়েছে সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।

আফ্রিকার দেশ ঘানায় এ পর্যন্ত চার হাজার ৭০০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ২২ জন মারা গেছে। সুস্থ হয়েছে ৪৯৪ জন।

অবশ্য দেশটি ইতোমধ্যে ১ লাখ ৬০ হাজার ৫০১ জনের করোনা টেস্ট করিয়েছে। যা আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

নানা আকুফো-আদ্দো বলেছেন, ‘করোনা ক্ষেত্রে আমাদের কৌশল হলো আক্রান্তদের খুঁজে বের করা। টেস্ট করানো ও তাদের চিকিৎসা দেয়া। যাতে এই ভাইরাসের হাত থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।’

সংক্রমণ রোধে দেশটিতে মে মাসের শেষ পর্যন্ত স্কুল-কলেজ ও জন সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সূত্র : ফ্রান্স২৪

লকডাউন শিথিলের পর প্রাত্যহিক হিসাবে ফ্রান্সে করোনায় মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি
ফ্রান্স সোমবার জানিয়েছে, দেশটিতে মহামারি করোনাভাইরাসে নতুন করে আরো ২৬৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। আগের দিনের মৃতের সংখ্যার চেয়ে আজকের এ সংখ্যা অনেক বেশি। রোববার এ সংখ্যা ছিল মাত্র ৭০। দেশটি সোমবার প্রথম প্রায় দুই মাসের লকডাউন শিথিলের ঘোষণা কার্যকর করেছে। খবর এএফপি’র।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এনিয়ে ফ্রান্সের বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে কোভিড-১৯ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে মোট ২৬ হাজার ৬৪৩ জনে দাঁড়ালো। ১৭ মার্চ থেকে প্রাত্যহিক হিসাবে রোববার ফ্রান্সে মৃতের সংখ্যা ছিল সর্বনি¤œ। মন্ত্রণালয়ের দেয়া হিসাব অনুযায়ী, এদিন মাত্র ৭০ জন মারা যায়। দেশটিতে ১৭ মার্চ থেকে লকডাউন আরোপ করা হয়।

ফ্রান্স সোমবার তাদের দেশের লকডাউন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা শুরু করলেও তারা দেশব্যাপী অনেক বিধিনিষেধ বহাল রেখেছে।
কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কোভিড-১৯ ভাইরাস দ্বিতীয় ধাপে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকায় এ ব্যাপারে এখন সাবধান থাকা জরুরি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ‘লকডাউন চলাকালে আমাদের প্রচেষ্টা ফলপ্রসূ হওয়ায় হাজার হাজার মানুষ প্রাণে বেঁচে গেছে।’

সোমবার ফ্রান্সের আইসিইউ’তে করোনা রোগীর সংখ্যা ৬৪ জন কমেছে। গত এপ্রিলে দেশটিতে এ মহামারির চরম সংকটকালে আইসিইউ’তে রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার অতিক্রম করেছিল।
লকডাউন শিথিলের ক্ষেত্রে সরকার ফ্রান্সকে গ্রীন ও রেড জোনে বিভক্ত করেছে। এক্ষেত্রে প্যারিস এবং অপর তিন অঞ্চল রেড জোনের আওতায় পড়ায় এসব এলাকায় একেবারে সীমিত আকারে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে।
এদিকে লকডাউন শিথিলের দায়িত্বে থাকা ফ্রান্সের সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা জিয়ান কাসটেক্স সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বেড়ে গেলে লকডাউন আবারো আরোপ করা হতে পারে। লকডাউন শিথিলের প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, ‘স্বল্প সময়ের মধ্যে করোনার ভ্যাকসিন বা এর যথাযথ চিকিৎসা ব্যবস্থা আসার সম্ভাবনা না থাকায় ফ্রান্সের জনগণের এ ভাইরাসে ফের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির রয়েছে।’

তিনি আরো বলেছেন, এক্ষেত্রে ‘কর্তৃপক্ষের লকডাউন শিথিলের পদক্ষেপ ফের বাতিল করার সম্ভাবনা রয়েছে।’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে ফ্রান্সে জনগণের চলাচলের কিছু ক্ষেত্রে মাস্ক পরার এবং সামাজিক দূরত্ব পালন বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ‘এ ভাইরাস এখনো সক্রিয় রয়েছে এবং তা ছড়াচ্ছে।

সূত্র : এএফপি


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us