করোনার বিস্তার : চীনা গোপন গবেষণাগার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক | May 11, 2020 04:14 pm
করোনার বিস্তার : চীনা গোপন গবেষণাগার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য

করোনার বিস্তার : চীনা গোপন গবেষণাগার নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য - সংগৃহীত

 

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার বার চীনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। বিশেষ করে ভাইরাস গবেষণার জন্য প্রতিষ্ঠিত উহানের ল্যাবরেটরি থেকেই করোনা সংক্রমিত হয়েছে কী না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বার বার। এ বার সেই জল্পনাকেই উষ্কে দিলো মার্কিন ও ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থার হাতে আসা মোবাইল ফোনের কিছু গোপন ডেটা।


কেন বন্ধ ছিল উহানের ল্যাব?
মার্কিন ও ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থার হাতে আসা ওই মোবাইল ফোনের গোপন ডেটা অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকেই নাকি বন্ধ রাখা হয়েছিল চীনে উহানের ওই ল্যাব। এ বিষয়ে এনবিসি নিউজের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা এই সব গোপন নথিপত্র খতিয়ে দেখেছে। এনবিসি নিউজের হাতেও রয়েছে সেই তথ্য বলে দাবি করা হয়েছে।

কেন বন্ধ ছিল উহানের ল্যাব?
এই সব গোপন নথিপত্র থেকেই জানা গেছে, গত ৭ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো সেলফোন ব্যবহার করা হয়নি উহানের ওই ল্যাবে। সেলফোন আর স্যাটেলাইট ডেটা থেকেই এই তথ্য পেয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন ও ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থা।

কেন বন্ধ ছিল উহানের ল্যাব?
সম্প্রতি লন্ডনের ‘জেনেটিক ইনস্টিটিউট অব ইউনিভার্সিটি’র একদল গবেষক দাবি করেছেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নয়, অক্টোবর মাসের শুরুর দিক থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে শুরু করেছিল। তাদের মত, এই ভাইরাস চীনেই প্রথম সংক্রমিত হয়েছিল।

কেন বন্ধ ছিল উহানের ল্যাব?
তাহলে কি উহানের ল্যাবরেটরি থেকেই কোনো ভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছিল? লন্ডনের ‘জেনেটিক ইনস্টিটিউট অব ইউনিভার্সিটি’র গবেষকদের সাম্প্রতিক দাবি আর মার্কিন ও ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থার হাতে আসা ওই মোবাইল ফোনের গোপন ডেটা নতুন করে সেই জল্পনাকেই উষ্কে দিলো।


উল্লেখ্য, উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে রয়েছে এশিয়ার সবচেয়ে সুরক্ষিত গবেষণাগার। যেখানে সংরক্ষিত আছে ইবোলার মতো মারণ ভাইরাসও। বলা হয়ে থাকে, এক তরুণী ইন্টার্নের দোষেই সেই গবেষণাগারের চার দেয়ালের বাইরে বেরিয়ে এসেছে বাদুড়ের দেহে থাকা সেই মারণ ভাইরাস।করোনা। তিনিই করোনার ‘পেশেন্ট জিরো’। এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি এমনটাই। কীভাবে এই ভাইরাস বাইরে বেরিয়ে এলো, তার বিবরণ মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০১১ সালের বিখ্যাত হলিউড সিনেমা ‘কন্টাজিয়নে’র কথা। স্টিভেন সোডারবার্গ পরিচালিত ওই সিনেমাটিতেও গোটা বিশ্বে এক অজানা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছিল বাদুড় থেকে। বাস্তবের ঘটনাও তার থেকে কোনো অংশে কম নয়।

সেখানেই শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতেন এক তরুণী। সামান্য ইন্টার্নের জন্য সুরক্ষার তেমন কোনো বন্দোবস্তও ছিল না। করোনা কতটা সংক্রামক ও ভয়ঙ্কর, তখনো তা অজানাই ছিল। কাজ করতেই করতেই আক্রান্ত হন ওই তরুণী। খুব সম্ভবত তিনি তা বুঝতেও পারেননি। গবেষণাগারে অতি সতর্কতা ও নিরাপত্তার অভাব থাকায় সংক্রমণ নিয়ে বাইরেও বেরিয়ে পড়েছিলেন ওই ইন্টার্ন।

ওই তরুণীর থেকেই সংক্রমণ ছড়ায় তার প্রেমিকের শরীরে। বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে উহানের ওই ‘সি ফুড মার্কেটে’ যান তিনি। তার পরের ঘটনা আমাদের সকলেরই জানা। প্রথমে আক্রান্ত হন বাজারের এক মহিলা চিংড়ি বিক্রেতা। তারপর একে একে বিক্রেতাদের অনেকে। সর্দি-জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছড়াতে থাকে সংক্রমণ। তারপর ধাপে ধাপে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে করোনা।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us