তবুও সমস্যা নেই মিসবাহর
মিসবাহ - সংগৃহীত
সবধরনের প্রোটোকল ও নিয়ম-কানুন মেনে এবং দর্শক শূন্য মাঠে ম্যাচ আয়োজনে কোনো সমস্যা দেখছেন না পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান কোচ মিসবাহ উল হক।
করোনাভাইরাসের কারনে গেল মার্চ থেকেই বিশ্বের সকল খেলাধুলাই বন্ধ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলেও দীর্ঘদিন হয়ে যাওয়ায় মাঠে খেলার ফেরানোর চেষ্টায় বিশ্বের সকল দেশই। অনেকে বলছেন, রুদ্ধদার স্টেডিয়ামে খেলা আয়োজন করলে সংক্রমণ ছড়াবে না। আবার অনেকে বলছে, ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলার উত্তেজনাটা পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে খেলাটা সৌন্দর্য হারাবে।
তবে পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক মিসবাহ, ফাঁকা স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের পক্ষে কথা বললেন। পুনরায় ক্রিকেট শুরু হবে, এতে খুশি মিসবাহ। তবে সকল নিয়ম মেনেই শুরু করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মিসবাহ বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমান সময়টা মোটেও সুখকর নয় এবং অবশ্যই সকলের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। কিন্তু সকল সুরক্ষা মেনে ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলা হয়, তবে এতে আমার কোনো সমস্যা নেই।’
গেল মার্চে করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের পর পাকিস্তান সুপার লিগ স্থগিত হয়ে যায়। ফলে দু‘মাস ধরে ক্রিকেটাররা খেলাধুলা থেকে দূরে রয়েছে। সকলেই গৃহবন্দি। তাই এ অবস্থায় ক্রিকেট ফিরলে সকলের জন্য ভালো হবে বলে মনে করেন মিসবাহ, ‘প্রত্যেকেই আবদ্ধ হয়ে আছে এবং আমি মনে করি, এ অবস্থায় যদি কোনো ক্রিকেট ম্যাচ কিছু মানুষের জন্য আনা সম্ভব হয়, তবে ঘরে বসে থাকা মানুষদের তা খুবই ভালো হবে।’
মিসবাহ আরো বলেন, ‘যখন কারও কিছু করার থাকে না এবং কোভিড-১৯এর খবর শুনতে শুনতে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তাই এই পরিস্থিতিতে আবারো যদি খেলাধুলা শুরু করা যায় এবং তবে মানুষ ঘরে বসে খেলার দেখার সুুযোগ পাবে।’
গেল বছরের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের কোচ ও নির্বাচকের দায়িত্ব নেয়া মিসবাহ আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়, ম্যাচ অফিসিয়াল ও স্টেক হোল্ডারদের জন্য যদি সঠিক সুরক্ষা ও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়, তবে ক্রিকেট বোর্ডগুলো সামনে এগিয়ে যেতে পারে।’
আগামী ১৬ মে থেকে জার্মান বুন্দেস লিগা শুরু হচ্ছে, এটিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন মিসবাহ। তিনি বলেন, ‘তারা প্রথমে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছে। ক্রিকেট বোর্ডগুলোরও এমন করতে হবে। ’
সূত্র : বাসস
আজহারের ব্যাট কিনল ভারতের ক্রিকেট জাদুঘর
সাকিব আল হাসানের ঐতিহাসিক ব্যাট নিলাম থেকে কিনতে চেয়েছিল ভারতের এক ক্রিকেট জাদুঘর। কিন্তু পারেনি। তবে পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক আজহার আলীর ক্রিকেট স্মারক নিলাম থেকে কিনতে পেরেছে ‘ব্লেডস অব গ্লোরি’ নামের এই ক্রিকেট জাদুঘর। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই আজহার নিলামে তুলেছিলেন তার ব্যাট ও জার্সি। এখান থেকে শুধু ব্যাট-ই কিনেছে পুনের ওই জাদুঘর। দাম হয়েছে ১০ লাখ পাকিস্তানি রুপি। এর ভিত্তিমূল্যও ছিল তাই। নিলাম থেকে ব্যাট ও জার্সি মিলে পাওয়া গেছে ২১ লাখ রুপি।
নিলামে ওঠানো আজহারের দু’টি স্মারকই ঐতিহাসিক। এই ব্যাট দিয়েই দিবা-রাত্রির টেস্টে প্রথমবারের মতো ট্রিপল সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন আজহার। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই ব্যাট দিয়ে তিনি করেন ৩০২ রান। আবার ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে যে জার্সিটি তিনি গায়ে দিয়েছিলেন। সেই জার্সিটি-ই এই নিলামে তুলেছেন। দু’টি স্মারকেই সই আছে সতীর্থদের। জার্সিটি অবশ্য কিছুটা বেশি দামেই বিক্রি হয়েছে। পাকিস্তানের এক ক্যালিফোর্নিয়া প্রবাসী জার্সিটি কিনে নেন ১১ লাখ রুপিতে। এ ছাড়া মহৎ এ কাজের জন্য বাড়তি ১ লাখ রুপি দান করেন নিউজার্সির আরেক প্রবাসী পাকিস্তানি।