হোয়াইট হাউসে করোনা! আক্রান্ত ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কার সহকারী
হোয়াইট হাউসে করোনা! আক্রান্ত ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কার সহকারী - সংগৃহীত
হোয়াইট হাউসে ঢুকে পড়েছে করোনাভাইরাস। আক্রান্ত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কার ব্যক্তিগত সহকারী। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইভাঙ্কার সঙ্গে ওই মহিলা সহকারীর বেশ কয়েক দিন দেখা হয়নি। তবে দুশ্চিন্তার বিষয় এটাই যে, কোনো করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে না এসেও কী করে তার শরীরে করোনা বাসা বাঁধল।
জানা গেছে, কোনো উপসর্গও নাকি ধরা পড়েনি। নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এসেছে। বেশ কিছুদিন ধরেই ইভাঙ্কার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখছিলেন তিনি। সহকারীর শরীরে করোনা ধরা পড়তেই ইভাঙ্কা ও তার স্বামী জারেড কুশনারের করোনা পরীক্ষা করা হয়। তবে তা নেগেটিভ এসেছে।
কিছুদিন আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেনসের প্রেস সেক্রেটারি কেটি মিলারের শরীরে পাওয়া গিয়েছিল করোনাভাইরাস। এই নিয়ে হোয়াইট হাউসে মোট তিনজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত আমেরিকায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৭৮ হাজার ৬১৬ জনের। নতুন করে আক্রান্ত ২৯ হাজার ৪৩ জন। সব মিলিয়ে আমেরিকায় করোনার শিকার ১৩ লক্ষেরও বেশি।
দেশে করোনা–যুদ্ধ মোকাবিলায় বিদেশি চিকিৎসক, নার্সদের গ্রিন কার্ড দিতে আইন আনছে আমেরিকা
বর্তমানে সারা বিশ্বের মধ্যে আমেরিকাতেই কোভিড–১৯–এর প্রকোপ সব চেয়ে বেশি। জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে মোট আক্রান্তের সংখ্যা শনিবার পর্যন্ত হয়েছে ১২,৮৩,৯০৮জন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৭৭,০০০ জনেরও বেশি মানুষের।
যে হারে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে দেশের বর্তমান কর্মরত চিকিৎসক এবং নার্সদের পক্ষে পরিস্থিতি সামলানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে। অবস্থার গুরুত্ব বুঝে অবশেষে পদক্ষেপ করল ট্রাম্প সরকার। মার্কিন কংগ্রেসে সম্প্রতি ‘দ্য হেল্থকেয়ার ওয়র্কফোর্স রেসিলেন্স অ্যাক্ট’, নামক আইন পেশ হয়েছে এবং তাতে সম্মতিও দিয়েছে কংগ্রেস। ওই আইনে বিদেশি নার্স এবং চিকিৎসকদের স্থায়ীভাবে আমেরিকায় বসবাসের জন্য গ্রিন কার্ড দেয়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এই আইনটি দীর্ঘ দিনের হলেও এতদিন তা অব্যবহৃত ছিল। এই আইন বলবৎ হলে ২৫০০০ নার্স এবং ১৫০০০ চিকিৎসক সহজেই গ্রিন কার্ড পেয়ে যাবেন। মার্কিন কংগ্রেসের এই পদক্ষেপে লাভের গুড় পেতে পারেন বহু ভারতীয় চিকিৎসক এবং নার্সরা যারা এইচ–১বি ভিসা বা জে২ ভিসায় আমেরিকায় আছেন। কারণ এই ভিসাগুলো সেখানে কাজ করার এবং অস্থায়ী বসবাসের জন্যই শুধু অনুমতি দেয় প্রবাসীদের।
সূত্র : আজকাল