নিজের তৈরি 'করোনার ওষুধ' খেয়ে মৃত্যু বায়োটেক সংস্থার জেনারেল ম্যানেজারের
নিজের তৈরি 'করোনার ওষুধ' খেয়ে মৃত্যু বায়োটেক সংস্থার জেনারেল ম্যানেজারের - সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের ওষুধের অপেক্ষায় সারা বিশ্ব। দেশে দেশে এই ওষুধ তৈরির জন্য গবেষণা চলছে। এই পরিস্থিতিতে নিজের তৈরি করোনার ওষুধ পরীক্ষা করতে গিয়ে প্রাণ হারালেন একটি ভেষজ পণ্য প্রস্তুতকারক সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের চেন্নাইয়ে। মৃত ব্যক্তির নাম সিভানেসন (৪৭)। তিনি একজন ফার্মাসিস্ট ছিলেন বলে জানা গেছে।
মৃত সিভানেসন সুজাতা বায়োটেক নামে একটি সংস্থার জেনারেল ম্য়ানেজার পদে ছিলেন। এই সংস্থার বেশ কিছু পণ্য স্থানীয় বাজারে বেশ জনপ্রিয়। বৃহস্পতিবার নিজেরই তৈরি করোনার ওষুধ নিজের উপরে প্রয়োগ করেন সিভানেসন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।
পুলিশ জানিয়েছে,সুজাতা বায়োটেকের মালিক ডাক্তার রাজ কুমারের বাসভবনে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। ফার্মাসিস্ট সিভানেসনে সঙ্গে ওষুধ তৈরির কাজে ওই চিকিৎসকও জড়িত কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।
জানা গেছে, দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে সুজাতা বায়োটেক সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন সিভানেসন। এই সংস্থার উত্তরাখণ্ডে একটি ওষুধ তৈরির কারখানা আছে। সেখানে তিনি ২০ বছর কাজ করেছেন। পরে চেন্নাইয়ে ফিরে আসেন এবং ওই একই সংস্থায় যোগ দেন। গত বৃহস্পতিবার সংস্থার মালিকের বাড়িতে নিজের তৈরি করোনার ওষুধ খেয়ে প্রথমে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার চূড়ান্ত অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে রেফার করা হয় অন্য একটি হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হসপাতালে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় এই তরুণ ফার্মাসিস্টের।
সূত্র : এই সময়
হোয়াইট হাউসে করোনা
এবার প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাফতরিক বাসভবন। হোয়াইট হাউজের অন্দরমহলে করোনার হানায় কিছুটা মুষড়ে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আক্রান্ত নৌবাহিনীর উচ্চপদস্থ এ সদস্য প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত। প্রতিনিয়ত প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির কাজ করেন এলিট মিলিটারি ইউনিটের সদস্য। তাদের জন্য খাবার, কাপড় ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস জোগান দেন। এ ছাড়া ট্রাম্পের দেশ ও দেশের বাইরের যাত্রাতেও তার সাথে থাকেন। বিশেষ করে হোয়াইট হাউজের ওয়েস্ট উইংয়ে প্রেসিডেন্টের খাবার দেয়ার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তবে তিনি খুব একটা প্রেসিডেন্টের কাছাকাছি যাননি। এমনকি প্রেসিডেন্টের পরিবারের কোনো সদস্যদের কাছাকাছিও নয়। প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্টের পরিবারের সাথে ঘনিষ্ঠতা থাকা এই কর্মীর শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা দেয় বুধবার সকালে। পরে হোয়াইট হাউজের চিকিৎসকরা একাধিকবার ওই কর্মকর্তার করোনা পরীক্ষা করলেও ফল আসে পজিটিভ। প্রেসিডেন্ট হাউসের এই কর্মকর্তার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর বুধবার পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই খবর পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট কিছুটা বিচলিত-চিন্তিত-মর্মাহত-আতঙ্কিত হয়ে যান। তার শরীরে করোনা ধরা পড়ায় প্রেসিডেন্টের সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। এরপর হোয়াইট হাউজের চিকিৎসকের মাধ্যমে তড়িঘড়ি করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের ফের করোনা পরীক্ষা করা হয়; সেই পরীক্ষায় স্বস্তি জুগিয়ে দু’জনেরই নমুনা নেগেটিভ আসে। তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো।
বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি হোগান গিডলি এক বিবৃতিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এখন থেকে হোয়াইট হাউজের সব স্টাফের প্রতিদিন করোনাভাইরাস টেস্ট করা হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি করোনা আক্রান্ত পরিচারকের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘তার সাথে অবশ্য আমার খুব একটা সাক্ষাৎ হয়নি। উনি ভালো ব্যক্তি। তবে হোয়াইট হাউজের কর্মীর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার বিষয়টি কিছুটা অদ্ভুত।