টাকের জন্য কি চিকিৎসা আছে?

প্রফেসর সাঈদ আহমেদ সিদ্দিকী; ডা: ফেরদৌস কাদের মিনু | May 08, 2020 12:15 pm
টাক মাথায় চুল প্রতিস্থাপন

টাক মাথায় চুল প্রতিস্থাপন - সংগৃহীত

 

 

প্রশ্ন : টাকের জন্য কি চিকিৎসা আছে?

উত্তর : টাকের চিকিৎসা বহুকাল ধরেই চিকিৎসকদের জন্য এক বিরাট সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই টাক মাথার পুরুষ ও মহিলারা উইগ ও উইভিংয়ের সাহায্য নিতে বাধ্য হয়েছেন। উইগের ব্যাপারে সবাই জানে। এটা হচ্ছে আলগা চুল যা টাক ঢাকার জন্য মাথার ওপর পরিয়ে দেয়া হয়। Weaving-ও এক ধরনের আলগা চুল যা দিয়ে টাক ঢাকার আরেক পদ্ধতি। কিন্তু Weaving এর পার্থক্য এটাই যে, Weaving এ রোগীর আসল চুলের সাথে আলগা চুল মাথার পাশ ও পেছন দিয়ে Fix করে দেয়া হয়। দুটি পদ্ধতিরই সমস্যা হচ্ছে, এগুলো উপর্যুপরি খুশকি ও Scalp Infection করতে পারে। আরো একটি সমস্যা যা Weaving নিয়ে সংযুক্ত তা হচ্ছে, টাকের ক্ষেত্রে মাথার পাশ দিয়ে প্রচুর চুল ওঠা।

প্রশ্ন : হেয়ার প্রতিস্থাপন কী?
উত্তর : আধুনিক প্লাস্টিক সার্জারি এখন এই সমস্যার এক নিরাপদ, প্রাকৃতিক ও স্থায়ী সমাধান দিচ্ছে। এটা করা হয় হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারির মাধ্যমে। এই চিকিৎসায় রুগীদের মাথার পেছন থেকে চুল নিয়ে টাক জায়গায় প্রতিস্থাপন করা হয়। আধা ইঞ্চি ত্বকের স্ট্রিপ (Strip) নিয়ে তৈরি করা হয় হাজার হাজার Mini ও Micrografts এই grafts টাকের ছোট ছিদ্রতে প্রতিস্থাপন করা হয়।

প্রশ্ন : প্রতিস্থাপিত চুল কি সাধারণ চুলের মতোই গজায়?
উত্তর : হ্যাঁ। ট্রান্সপ্লানটেড চুল সাধারণভাবেই বেড়ে ওঠে। সাধারণ চুলের মতোই এটা পরিচর্যা করা যাবে। আমরা জানি যে, মাথার পেছন ও পাশের চুল, রক্তের অ্যাড্রোজেন হরমোনের ওপর নির্ভর করে না। যা একজন মানুষের নির্দিষ্টি বয়সের পর হতে পারে। ফলে মাথার সামনে এবং উপরের চুল তাড়াতাড়ি পড়ে যায়। কিন্তু পেছনের এবং পাশের চুলের ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না। এ কারণে যখন মাথার পেছন থেকে চুল ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়, এই জায়গায় চুল সাধারণভাবেই রোগীর পুরো জীবন ধরে গজায় এবং হরমোন তারতম্যজনিত কারণেও পরিবর্তিত পড়ে যায় না।

প্রশ্ন : এই চিকিৎসা করতে কত সময় লাগে?
উত্তর : এই অপারেশন করতে প্রায় চার থেকে ছয় ঘণ্টা লাগে। তা অবশ্য কতটি grafts transplanted হবে তার ওপর নির্ভর করে, যেহেকু এই চিকিৎসা Local anesthesia এর মাধ্যমে করা হয় সেহেতু অপারেশনের রোগীরা গান শুনতে বা চা খেতে পারবেন।

প্রশ্ন : হাসপাতালে থাকার কি কোনো প্রয়োজন আছে?
উত্তর : না, হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন হবে না। চিকিৎসার পরেই রোগীরা বাসায় চলে যেতে পারবেন।

প্রশ্ন : কত তাড়াতাড়ি ফলাফল পাওয়া যাবে।
উত্তর : নতুন প্রতিস্থাপিত চুল স্বাভাবিক বেড়ে উঠতে কয়েক মাস সময় লাগে। চিকিৎসার পূর্ণ সুফল পাওয়ার জন্য রোগীদের তিন থেকে চার মাস সময় অপেক্ষা করতে হবে।

প্রশ্ন : কোনো ওষুধে চুল পড়ে যাওয়া রোগের চিকিৎসা করা যায় কি?
উত্তর : হ্যাঁ। Hair Restaurant Program আছে, যা চুল পড়া বন্ধ করে এবং আরো স্বাভাবিক চুল গজাতে সাহায্য করে। এই Program কয়েক মাসের Medicinal treatment কিছু dietary অনুকরণ এবং চুলের যতেœর নিয়মের ব্যাপারে কিছু তথ্য দেয়া হয়। এই Medical চিকিৎসা দিয়ে অনেক ক্ষেত্রেই চুল পড়ে যাওয়া রোধ ও কিছু ক্ষেত্রে নতুন করে চুল বেড়ে ওঠা সম্ভব।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে এই চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে কি?
উত্তর : হ্যাঁ। চুল প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি Hair Restoration Program শুরু করা হয়েছে বেশ কিছু দিন ধরে ধানমণ্ডির কসমেটিক সার্জারি সেন্টারে। বোম্বের Hiranandani হাসপাতালে ও আমাদের সেন্টারে technical সহযোগিতা প্রদান করেছে। এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, Dr. Rajesh Rajput এর সাহায্যে Hiranandani হাসপাতালে Hair প্রতিস্থাপনের ওপর প্রচুর Research করেছে। Dr. Rajesh Rajput পূর্ব দক্ষিণ এশিয়ার একজন Pioneer Hair প্রতিস্থাপন চিকিৎসক এবং আমাদের সেন্টারের একজন Visiting Consultant সম্প্রতি কসমেটিক সার্জারি সেন্টার এর Consultant তার সাহায্যে Extensive training পেয়েছে মুম্বাই থেকে।

প্রশ্ন : চুল প্রতিস্থাপন চিকিৎসার খরচ কেমন?
উত্তর : খরচ নির্ভর করে কতখানি জায়গা ঢাকবার প্রয়োজন এর ওপর অর্থাৎ কয়টা graft ব্যবহার হচ্ছে তার ওপর খরচ প্রায় ৬০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পড়ে। বিদেশী সেন্টারে খরচ আরো অনেক বেশি পড়ে।
যেহেতু হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট একটি অপারেশন এখানে ম্যাগনিফাইং যন্ত্র পাতির প্রয়োজন হয়।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us