বাদুড় থেকে যেভাবে ছড়ায় করোনাভাইরাস

নিজস্ব প্রতিবেদক | May 08, 2020 06:05 am
বাদুর

বাদুর - সংগৃহীত

 

করোনা ভাইরাস কীভাবে বাদুড়ের শরীর থেকে ছড়িয়ে পড়ে, তার আভাস মিলল। একটি বিজ্ঞান জার্নালে এ ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন গবেষকরা। তাদের গবেষণা ছিল মার্স বা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম ভাইরাস নিয়ে। এখন যে করোনা ভাইরাস বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে, সেই কোভিড ১৯ বা সার্স-কোভ-২ ভাইরাস আর মার্সের প্রজাতি একই। ফলে মার্সের এই গবেষণা কোভিড ১৯ সম্পর্কে নতুন তথ্য দেবে বলে আশাবাদী গবেষকরা।

এই গবেষকরা বলছেন, করোনা মানুষের শরীরে প্রবেশ করে কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরিণামে মানুষের মৃত্যু হয়। কিন্তু বাদুড়ের ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না। বরং বাদুড়ের সঙ্গে করোনার একটি সুসম্পর্ক দেখা যায়। বাদুড় করোনা থেকে মুক্তি পায় না। কিন্তু তাদের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এই ভাইরাসকে ঠেকিয়ে রাখে। সেই কারণেই গবেষণায় দেখা গেছে, বাদুড়ের কোষ ধ্বংস না করে মার্স ভাইরাস দিনের পর দিন তাদের সঙ্গে সম্বন্ধ বজায় রাখে। কোভিড ১৯ ভাইরাসের কার্যকারিতাও একইরকম।

গবেষকরা বলছেন, বাদুড় যদি অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হয়, তখন তাদের ভাইরাস সংখ্যায় বাড়ার সুযোগ পায় এবং অন্য প্রজাতিতে ছড়িয়ে পড়ে।

কীভাবে ছড়াল করোনা ভাইরাস :চীনে যেতে চান হু-এর বিশেষজ্ঞরা

কীভাবে ছড়াল করোনা ভাইরাস? এই প্রশ্ন মানুষকে ভাবিয়েছে লকডাউনের প্রথম পর্ব থেকে। এমনকি লকডাউনের প্রভাব কী হতে পারে বা কোয়ারেন্টাইন কী এই শব্দগুলোর সঙ্গে পরিচিত হওয়ার আগেই করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে বিশ্ববাসীর মনে। তবে করোনা ভাইরাসকে কাবু করতে তার প্রতিষেধক প্রস্তুত করতে গেলে যেতে হবে রোগের আঁতুরঘরে, এমনটাই মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর বিশেষজ্ঞরা।

প্রাচীন প্রবাদ, সমস্যার সমাধান করতে গেলে তার শিকড় খুঁজে বার করা প্রয়োজন। সেই আপ্তবাক্যকেই সম্বল করে চীনে করোনার আঁতুরঘরে গিয়ে করোনা নামক ধাঁধাঁর সমাধান খুঁজে বার করতে চান তারা। বিশেজ্ঞদের একটি দল খতিয়ে দেখতে চান, “কোন পথে মানব শরীরে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করল?”

হু-এর মহামারী বিশেষজ্ঞ ডঃ মারিয়া ভ্যান জানান, “ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে চীনে হু-এর শাখায় কর্মরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়েছে। কারণ জানিয়ে সেখানে পর্যবেক্ষণের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে চীনকেও। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।”

এর আগেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য চীনে গিয়েছিলেন হু-এর কর্মকর্তারা। তখনই জানা গিয়েছিল যে, অন্য কোনো প্রাণীর শরীর থেকেই করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে ঢুকেছে। কিন্তু ঠিক কোন প্রাণীর থেকে? বা কী ভাবে তা মানুষের শরীরে ঢুকল? সে বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয় হু-এর কাছে। আর যতক্ষণ তা স্পষ্ট নয় ততক্ষণ তার প্রতিষেধক খুঁজে বের করা সম্ভব নয় বলেই দাবি হু-এর বিশেষজ্ঞদের।

এর আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, “চীনের থেকেই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস।” এই মহামারির জন্য সরাসরি চীনকেই দায়ী করেছেন ট্রাম্প। যদিও এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি তিনি। তাই করোনার প্রতিষেধক তৈরির আগে ঠিক কোন প্রাণীর থেকে বা কী ভাবে তা মানুষের শরীরে ঢুকল, তা খতিয়ে দেখতে চীনে যেতে চান হু-এর বিশেষজ্ঞদের একটি দল।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us