লকডাউন-বিশ্বে নবজাতকে রেকর্ড ভারতের!
লকডাউন-বিশ্বে নবজাতকে রেকর্ড ভারতের! - সংগৃহীত
মৃত্যুমিছিলকে সঙ্গী করেই পৃথিবীর আলো দেখার ‘ছাড়পত্র’ পেতে চলেছে ১১ কোটি ৬০ লক্ষ নবজাতক। আর চলতি বছরে জানুয়ারি-ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি ৪০ লক্ষ ১০ হাজার শিশু জন্ম নেবে ভারতে। অর্থাৎ মহামারী ঘোষণার আগের দু’মাসে নবজাতকের সংখ্যা বাড়বে ৩০ লক্ষ ১০ হাজার।
মহামারীর বিশ্বে নবজীবনের ‘ছাড়পত্র’। মৃত্যুমিছিলকে সঙ্গী করেই পৃথিবীর আলো দেখার ‘ছাড়পত্র’ পেতে চলেছে ১১ কোটি ৬০ লক্ষ নবজাতক। অন্য সব দেশেকে টেক্কা দিয়ে ভারতেই জন্ম নেবে দু’কোটিরও বেশি শিশু। ভারতের পরেই স্থান চীনের। বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর হারের নিরিখে নবজাতকদের এই আগমন বার্তা স্বস্তির সঙ্গে বাড়াচ্ছে উৎকণ্ঠাও। তাই আগেভাগে কোভিড-ধ্বস্ত বিশ্বকে নবযুগের শিশুদের বাসযোগ্য করে তুলতে গুচ্ছ সতর্কবার্তা শুনিয়েছে ইউনিসেফ।
পরশু মাতৃদিবসকে সামনে রেখে গর্ভবতী মায়েদেরও বাড়তি যত্ন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে প্রতিটি দেশকে।
গত ১১ মার্চ কোভিড মহামারী বলে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। সেই দিন থেকে ৪০ সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতে ২ কোটি ১০ লক্ষ শিশু জন্মগ্রহণ করার সম্ভাবনা দেখছে ইউনিসেফ। অর্থাৎ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে তারা ভূমিষ্ঠ হবে। এমনিতেই ভারতে বার্ষিক মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখে নবজন্মের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। বছরে দেশে মৃত্যু হয় এক কোটির কাছাকাছি মানুষের। জন্মগ্রহণ করে প্রায় আড়াই কোটি শিশু। এবার মারণ কোভিডের হানায় মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছে বিভিন্ন মহল। সে দিক দিয়ে ইউনিসেফের হিসেবে খুব একটা হেরফের হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। তারা জানিয়েছে, চলতি বছরে জানুয়ারি-ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ কোটি ৪০ লক্ষ ১০ হাজার শিশু জন্ম নেবে ভারতে। অর্থাৎ মহামারী ঘোষণার আগের দু’মাসে নবজাতকের সংখ্যা বাড়বে ৩০ লক্ষ ১০ হাজার।
কোভিডের মহামারীতে মৃত্যুমিছিল থেমে নেই বিশ্বে। আর সেই মহামারীর সঙ্গে মোকাবিলায় নেমে কঙ্কালসার চেহারা নিয়েছে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। ফলে শিশুদের টিকাকরণসহ একাধিক কর্মসূচি থমকে গেছে। মা ও শিশুদের পুষ্টিকর খাবারের জোগানেও দেখা দিয়েছে ঘাটতি। এ নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল হু। সঙ্গতকারণেই আগামী দিনের নবজাতকদের নিয়ে বাড়তি চিন্তায় পড়েছে ইউনিসেফ। ঠিক কবে থেকে বিশ্ব কোভিড মুক্ত হবে কিংবা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে তাবড় তাবড় গবেষকরা কোনো আশ্বাস দিতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে আগামী প্রজন্মকে কোভিডের হাত থেকে রক্ষা করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ ইউনিসেফের কাছে। বিশেষ করে শিশু মৃত্যুর হার কমানোর উপরই বেশি জোর দিচ্ছে তারা।
ইউনিসেফের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর হেনরিয়েটা ফোর বলেছেন, ‘মহামারীর কঠিন বাস্তবের মধ্যেই নবজাতকদের স্বাগত জানাতে তৈরি হচ্ছি আমরা। কোভিডের গ্রাস থেকে তাদের রক্ষা করতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। যত্নশীল হতে হবে প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্য নিয়েও।’
সূত্র : বর্তমান