উহানের ‘বিতর্কিত’ ল্যাবে ফ্রান্সের হাত!

নিজস্ব প্রতিবেদক | May 08, 2020 03:57 am
উহানের  ল্যাব

উহানের ল্যাব - সংগৃহীত

 

উহানের ‘বিতর্কিত’ ল্যাবের সঙ্গে ফ্রান্সও যুক্ত রয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করল চীন। তারা জানিয়েছে, ওই ল্যাবটি চীন ও ফ্রান্স যৌথভাবে চালায়। সেখানে কর্মীরাও সকলে ফ্রান্স থেকেই প্রশিক্ষণ পেয়েছেন। পাশাপাশি, এদিন অপ্রত্যাশিতভাবে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তদন্তে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে জি জিনপিং সরকার।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহানের ল্যাবই মারণ ভাইরাসের উৎস। বারবার এই অভিযোগ জানিয়েছেন আমেরিকা। গতকাল আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, চীনের পরীক্ষাগারেই যে করোনা ভাইরাস তৈরি হয়েছিল, সেব্যাপারে তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। এদিন সেই অভিযোগ উড়িয়ে চীনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হু চুনিং বলেন, উহানের ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির ওই ল্যাব চীন ও ফ্রান্স সরকারের যৌথ সহযোগিতায় তৈরি। সমস্ত আন্তর্জাতিক নিয়মকানুন মেনেই এটি তৈরি করা হয়েছে এবং পরিচালনা করা হয়। পম্পেও হয়তো সেকথা জানেন না। বেজিং আরও জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে তারা প্রায় ১৫০টি দেশকে সাহায্য করেছে।

এদিকে, বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এদিন পর্যন্ত করোনা শিকার হয়েছে প্রায় ৩৮ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ। মৃতের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লক্ষ ৬৬ হাজারে। দেশের নিরিখে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমেরিকা। সেখানেও প্রাণহানি সংখ্যা ৭৫ হাজার ছুঁয়ে ফেলেছে। আক্রান্ত ১২ লক্ষ ৬৪ হাজার। তবে স্পেনে মৃত্যুহার অনেকটাই কমছে। বৃহস্পতিবার সেখানে ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সবমিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজারের সামান্য বেশি।

অন্যদিকে, বয়স্ক, কর্মহীন এবং গণপরিবহণ ব্যবহার না করা ব্যক্তিরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। নিউ ইয়র্কে নতুন আক্রান্তদের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্যই উঠে এসেছে। ১১৩টি হাসপাতালের ১ হাজার ২৬৯ জন রোগীর উপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ অবসর নিয়েছে এবং ৪৬ শতাংশ কর্মহীন। পাশাপাশি, করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমেরিকায় অভিবাসন দপ্তরের হেফাজতে থাকা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। আমেরিকায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এই হেফাজতে রয়েছে। এই প্রথম তাদের মধ্যে এক ব্যক্তির মৃত্যু হলো।

সূত্র : বর্তমান

সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ
বিশ্ব বর্তমানে একটি মহামারিকালীন সময় পার করছে। করোনাভাইরাস নামক এই মহামারি ইতোমধ্যে দেখা দিয়েছে বিশ্বের ২১২টি দেশে। আক্রান্তের তালিকায় অনেক আগেই যুক্ত হয়েছে সার্কভুক্ত ৮টি দেশ। মে মাসের ৭ তারিখ (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত শুধু এই ৮টি দেশ মিলেই মোট আক্রান্ত প্রায় এক লাখ ছুই ছুই। অর্থাৎ ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানে সর্বমোট আক্রান্ত ৯৪ হাজার ৬৫৮ জন ও মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজার ৬৬৭ জন।

তবে সার্কভুক্ত দেশগুলোতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যায় অনেক তারতম্য রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, এই দেশগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম করোনা শনাক্ত হয়েছে ভারতে। বর্তমানে ভারত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা এখন লাগাম ছাড়া।

বিবিসি সূত্র মতে, চীনে অধ্যয়নরত এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ভারতে প্রথম করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হয়। তারপর থেকে ধীরে ধীরে সংক্রমণ বেড়েছে দেশটিতে। লকডাউন উপেক্ষা করেই ভারতে বর্তমানে মোট আক্রান্ত ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে ও মৃত্যু এক হাজার ৭৮৭। আর প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানে আক্রান্তের সংখ্যা ঠিক ভারতের অর্ধেক। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ২৪ হাজার ৭৩ জন ও মৃত্যুর সংখ্যা ৫৬৪ জন।

এরপরেই অবস্থান বাংলাদেশের। দেশটিতে এপ্রিলের শুরু থেকে দ্রুত গতিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এখন ১২ হাজার ৪২৫ ও মৃত্যু ১৯৯ জন। আর আফগানিস্তানে মোট আক্রান্ত তিন হাজার ৫৬৩ জন ও এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১০৬ জন। শ্রীলঙ্কায় ফেব্রুয়ারি শেষের দিকে করোনা রোগী শনাক্ত হলেও এখনো দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৮০৪ ও মোট মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ৯ জন।

এছাড়াও দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপে মোট আক্রান্ত ৬৪২ ও গত ৬ মে প্রথম ৮৩ বছরের এক বৃদ্ধার করোনায় মৃত্যু হয়। মালদ্বীপে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর নংখ্যা দুই জন।

এদিকে সংক্রমিত দেশ চীন ও ভারতের মাঝে অবস্থান করার পরও সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে নেপাল ও ভুটানে। নেপালের তুলনায় ভুটানের পরিস্থিতি বেশি ভালো অবস্থায় রয়েছে। বিশ্ব জরিপ ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুসারে, এই দেশ দুটিতে যেন থমকে গেছে করোনা সংক্রমণ। মার্চ মাসে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হলেও বর্তমানে নেপালে মোট আক্রান্ত ৯৯ জন ও ভুটানে মাত্র ৭ জন। এখন পর্যন্ত দেশ দুটিতে করোনায় কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। সীমান্তে ভারতের আক্রান্ত রাজ্য থাকা সত্ত্বেও দেশ দুটি করোনা মোকাবেলায় সাফল্য নিসন্দেহে প্রশংসনীয়। সূত্র : ওয়ার্ল্ডোমিটারস


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us