বেদি, প্রসন্ন, চন্দ্রশেখর ত্রয়ীকে দুরমুশ করেছিলেন মিয়াঁদাদ!

নিজস্ব প্রতিবেদক | May 05, 2020 08:05 am
বেদি, প্রসন্ন, চন্দ্রশেখর ত্রয়ীকে দুরমুশ করেছিলেন মিয়াঁদাদ!

বেদি, প্রসন্ন, চন্দ্রশেখর ত্রয়ীকে দুরমুশ করেছিলেন মিয়াঁদাদ! - সংগৃহীত

 

লকডাউনের মধ্যে স্মৃতিচারণায় ডুব দিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ। ১৯৭৮-৭৯ সালে ভারতের সঙ্গে টেস্ট সিরিজের কথা তুলে ধরলেন তিনি। ভারতীয় দলে তখন বিষান সিং বেদি, এরাপল্লি প্রসন্ন, ভাগবৎ চন্দ্রশেখরের মতো বিশ্বমানের স্পিনার বিরাজ করছেন। তবু তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছিল পাকিস্তান।

সেই প্রসঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মিয়াঁদাদ বলেন, ‘ভারতীয় দলের স্পিন শক্তি তখন দুর্দান্ত ছিল। চন্দ্রশেখর, বেদি, প্রসন্নের মতো বিশ্বমানের স্পিনার ছিল ওদের দলে। তাদের দাপটে অন্যান্য দেশে গিয়েও সিরিজ জিতে নিজের আধিপত্য বিস্তার করছিল ভারত। কিন্তু সেই দলটাই যখন পাকিস্তানে খেলতে এলো তখন সব পাল্টে গেল। আমরা ওদের ক্ষুরধার স্পিন আক্রমণকে টার্গেট করেছিলাম ও প্রচুর রান তুলেছিলাম।’

নিজের স্মৃতিচারণায় মিয়াঁদাদ আরো বলেছেন, ‘জাহির আব্বাস ও আমি ভারতীয় দলের স্পিন বোলিং আক্রমণকে ভোঁতা করে দিয়েছিলাম। আমাদের মধ্যে কেউ বিগ হিট নিতে না পারলে সিঙ্গলস নিয়ে অন্যকে স্ট্রাইক দিয়ে যাচ্ছিলাম। যাতে চাপমুক্ত অবস্থায় খেলা যায়। চন্দ্রশেখরের মতো বোলারকে ফ্রন্টফুটে খেলা বিপজ্জনক ছিল। সেই ব্যাপারগুলোও মাথায় রাখতে হচ্ছিল। ওদের বিরুদ্ধে স্বচ্ছন্দে ব্যটিং করতে পারাটা দলের বাকিদের মধ্যে বাড়তি আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছিল।’

উল্লেখ্য মিয়াঁদাদ ও জাহির আব্বাস প্রথম টেস্টে ২৫৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন, যার সুবাদে পাকিস্তান দল ৫০৩ রানের ইনিংস খাড়া করেছিল। তবে গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের শতরানে ভর করে ওই ম্যাচ ড্র করেছিল ভারত। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে জাহির আব্বাসের দ্বিশতরান ও তৃতীয় ম্যাচে মিয়াঁদাদের শতরান ভারতীয় দলকে হারের মুখে ঠেলে দিয়েছিল।

সূত্র : বর্তমান

গড়াপেটায় ছিল নামীরা, বিস্ফোরক সেই আসিফ

ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিসের পরে শোয়েব আখতারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পাকিস্তান পেস বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তারা। এখন দু’জনেই ক্রিকেট থেকে দূরে। সাত বছর নির্বাসনের পরে জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ পাননি মোহম্মদ আসিফ। অবসর নিয়েছেন রানা নাভেদ উল হাসান। কিন্তু তাদের বলতে দ্বিধা নেই, পাকিস্তান ক্রিকেটে দুর্নীতির মাত্রা কখনোই কম ছিল না।

২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে ইচ্ছাকৃত নো-বল করে সমস্যায় পড়েছিলেন আসিফ। তার পর থেকে কোনো দিন পাকিস্তানের জার্সি পরা হয়নি তার। সোমবার এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “অনেকেই ভুল করে। আমিও করেছি। এ রকম তো নয় যে, আমার পরে কোনো ক্রিকেটার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়নি। আমার আগেও যারা দুর্নীতি করে গিয়েছে, তারাই এখন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত। যারা আমার পরে এই সব করেছে, তারা এখনো খেলছে। শুধু আমাকে ক্ষমা করা হলো না।”

কিন্তু আসিফের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন ছোট হলেও বেশ প্রভাব ফেলেছিল। ২৩টি টেস্ট খেলেছেন। তার উইকেটসংখ্যা ১০৬। ৩৮টি ওয়ান ডে ম্যাচে পেয়েছেন ৪৬ উইকেট। সাবেক এই পেসারের কথায়, “এই ছোট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনে যা প্রভাব ফেলেছি, অনেকেই পারেনি। এখনো এবি ডিভিলিয়ার্স, হাশিম আমলা, কেভিন পিটারসেনরা আমাকে নিয়ে আলোচনা করে। তা হলেই বুঝুন, সবাই কী রকম ভয় পেতে শুরু করেছিল আমাকে।” অন্য দিকে রানা নাভেদ, চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন সোমবার।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us