করোনায় বাংলাদেশে আক্রান্ত ছাড়াল ১০ হাজার
করোনায় বাংলাদেশে আক্রান্ত ছাড়াল ১০ হাজার - সংগৃহীত
মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে ১৮২ জনের মৃত্যু হলো। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরো ৬৮৮ জন। এতে দেশে ভাইরাসটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ১৪৩ জনে। এদিকে এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার ৩৩০ জন। এরমধ্যে দুই লাখ ৪৮ হাজার ২৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ১১ লাখ ৫৪ হাজার ৭২ জন।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে বাংলাদেশের সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ছয় হাজার ৩১৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ছয় হাজার ২৬০টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৮৭ হাজার ৬৯৪টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় আরও ৬৮৮ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এটি গতকালের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও পাঁচজন। এ নিয়ে মারা গেছেন ১৮২ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ১৪৭ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ২১০ জন।
গত রোববারের বুলেটিনে জানানো হয়, বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬৫ জন।
এদিকে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ১১টায় ওয়ার্ল্ডোমিটারের ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য ও বিভিন্ন দেশের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ লাখ ৬৬ হাজার ৩৩০ জন। এরমধ্যে দুই লাখ ৪৮ হাজার ২৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছে ১১ লাখ ৫৪ হাজার ৭২ জন।
ওয়ার্ল্ডোমিটার জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৮৮ হাজার ১২২। মৃত্যু হয়েছে ৬৮ হাজার ৫৯৮ জনের। মৃতের হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২৮ হাজার ৮৮৪। আর আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার ৭১৭ জন। মৃতের হিসাবে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ২৫ হাজার ২৬৪। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ৪৭ হাজার ১২২ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ২৪ হাজার ৮৯৫, যুক্তরাজ্যে ২৮ হাজার ৪৪৬, বেলজিয়ামে ৭ হাজার ৮৪৪, ইরানে ৬ হাজার ২০৩, জার্মানিতে ৬ হাজার ৮৬৬, চীনে ৪ হাজার ৬৩৩, নেদারল্যান্ডসে ৫ হাজার ৫৬, ব্রাজিলে ৭ হাজার ৫১, ইন্দোনেশিয়ায় ৮৪৫, ভারতে ১৩৯১, পাকিস্তানে ৪৫৭ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। উৎপত্তিস্থল চীনে ৮৩ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এই ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে। চীনের বাইরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে গত ১১ মার্চ বিশ্বজুড়ে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।