করোনাভাইরাসকে হারিয়ে দিয়েছে যে ৬ দেশ
করোনাভাইরাসকে হারিয়ে দিয়েছে যে ৬ দেশ - সংগৃহীত
করোনাভাইরাসে এখন সারাবিশ্ব কাপছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে আর আক্রান্ত হচ্ছে লাখের উপর। তবে অনেক দুঃসংবাদের ভীড়ে আশার আলোও দেখা যায় মাঝে মাঝে। এই ভাইরাসটি মারাত্মক সংক্রমণ ব্যাধি হওয়ায় সত্ত্বেও বিশ্বের ছয়টি দেশ এই ভাইরাসটিকে সম্পূর্ণ নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্ব জরিপ ওয়েব পেইজ ওয়ার্ল্ডোমিটারের বুধবারের তালিকা অনুযায়ী ওই ছয়টি দেশে এখন আর একজনো কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নেই।
দেশ ছয়টি হলো, ইয়েমেন, অ্যাঙ্গুইলা, সেন্ট বার্থেলিয়াম, মাউরিতানিয়া, গ্রিনল্যান্ড, সেন্ট লুসিয়া।
এদিক থেকে এশিয়ায় মহাদেশে প্রথম করোনা মুক্ত দেশ হলো ইয়েমেন ও আফ্রিকা মহাদেশে মাউরিতানিয়া দেশটি প্রথম। আর বাকি দেশগুলোর অবস্থান উওর আমেরিকায়।
ইয়েমেনে প্রথম ১০ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পরপরই দেশটি সরকার কিছু প্রদেশে কারফিউ জারি করে। ইয়েমেনের কঠোর পদক্ষেপ আর চিকিৎসা ব্যবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তি এখন সুস্থ রয়েছেন ও আর নতুন সংক্রমণের খবর এখনো জানা যায়নি। অ্যাঙ্গুইলাতে মোট তিনজন আক্রান্ত রোগীর এখন সবাই সুস্থ আছেন। দেশটিতে সর্বশেষ আক্রান্ত শনাক্ত হয় ২ এপ্রিল। সেন্ট বার্থেলিয়াম, গ্রিনল্যান্ড, সেন্ট লুসিয়া দেশ তিনটেও সামান্য সংখ্যক আক্রান্তের সবাই বর্তমানে করোনাকে পরাজিত করে সুস্থ আছেন। নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটেনি। তবে মাউরিতানিয়ায় মোট সাতজন আক্রান্তের মধ্যে একজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দেশটিতে সর্বশেষ কোভিড-১৯ রোগীর সুস্থতার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে। অন্য দেশগুলো যখন হিমশিম খাচ্ছে, সর্তকতা অবলম্বন করে দেশ ছয়টি খুব সহজেই সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে। তবে অল্প সংখক জনসংখ্যা তাদের রোগটি প্রতিহত করতে সাহায্য করেছে।
ছয়টি দেশই বিদেশিফেরত কারো না কারো মাধ্যমে সংক্রমিত হয়েছিল। এছাড়াও করোনায় সাফল্য অর্জন করেছে অস্ট্রেলিয়াও। দেশটিতে আক্রান্ত সর্বমোট ছয় হাজার ৭৩৬ জনের মধ্যে পাচ হাজার ৬৬৭ জনই বর্তমানে সুস্থ আছেন। বুধবারও দেশটিতে নতুন কোনো আক্রান্তের ঘটনা ঘটেনি।
সূত্র : ওয়ার্ল্ডোমিটার
ইকুয়েডরে করোনায় মৃত্যু : মর্গে ঠাঁই নেই, বাথরুমে লাশের স্তুপ
লাতিন আমেরিকায় করোনা আক্রান্ত ইকুয়েডরিয়ান সিটি গুয়াওকুইলের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পরায় সম্মুখ সারির ডাক্তার ও চিকিৎসাকর্র্মীরা সেখানকার প্রতিদিনের ভয়াবহ পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য কর্মীরা বলেছেন, গুয়াওকুইলের একটি হাসপাতালে করোনা রোগী উপচে পড়ছে, হাসপাতালের মর্গ লাশে পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় কর্মীরা মৃতদেহ বাথরুমে স্তুপ করে রাখছেন।
অপর এক মেডিক্যাল ছাত্র এএফপিকে বলেন, ডাক্তাররা মৃত্যু পথযাত্রীদের জন্য বেড ছেড়ে দিতে মৃতব্যক্তির লাশ দ্রুত সরিয়ে স্তুপ করে রাখছেন।
ইকুয়েডরে ২৩ হাজার লোক করোনা আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে প্রায় ৬০০ জন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে গুয়াওকুইল সিটি। সরকারী হিসাবের চেয়ে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা অনেক বেশী।
নাম প্রকাশে অনিুচ্ছুক এক নার্স (৩৫) বলেছেন, ব্যক্তিগত এবং পেশাগতভাবে তিনি ট্রমায় আক্রান্ত। মার্চ মাসের শুরু থেকেই এখানে স্বাস্থ্য পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়ে। এ সময় একজন নার্সকে ১৫ থেকে ৩০ জন রোগীর পরিচর্যা করতে হতো।
সূত্র : বাসস