জুন-জুলাইয়ে করোনা থেকে মুক্তি!

নিজস্ব প্রতিবেদক | Apr 27, 2020 10:30 am
করোনা

করোনা - সংগৃহীত

 

কবে শেষ হবে করোনাভাইরাসের প্রকোপ? ভ্যাকসিন খোঁজার পাশাপাশি এই প্রশ্নও এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানী মহলে। সেই উত্তর খুঁজতে গিয়েই সিঙ্গাপুর বিশ্ববিদ্যালয় এবং ডেটা ড্রিভেন ইনোভেশন ল্যাবের গবেষকরা একটা রিপোর্ট প্রস্তুত করেছেন। তাতে বলা হচ্ছে, গোটা বিশ্ব থেকে করোনা সম্পূর্ণ বিদায় নিতে ডিসেম্বর মাস হয়ে যাবে। ব্যতিক্রম থাকবে আরব দুনিয়ার বাহরাইন। সেখানে করোনার প্রভাব সম্পূর্ণ শেষ হতে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাস এসে যাবে।

তবে এরই মধ্যে আশার বাণী একটাই, ঘাতক করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমতে শুরু করবে মে মাস থেকেই। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর ৯৭ থেকে ৯৯ শতাংশ দেশ থেকে করোনা বিদায় নেবে আগামী জুন-জুলাই মাসেই। যে তালিকায় রয়েছে ভারতও। গবেষণা থেকে পাওয়া রিপোর্ট বলছে, কোভিড-১৯’এর প্রকোপ ৯৭ থেকে ৯৯ শতাংশ কম হয়ে যাবে মে মাসের শেষে বা জুন মাসের শুরুতে। আর জুলাই মাসে সম্পূর্ণ করোনমুক্তি ঘটবে ভারতের। আরো স্পষ্টভাবে ওই মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহের উল্লেখ করেছেন গবেষকরা। এই রিপোর্ট যদি বাস্তব রূপ নেয়, তাহলে তা সত্যিই হবে স্বস্তিদায়ক।

প্রায় প্রত্যেকটি দেশের ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা করে এরকম রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তাতেই দাবি করা হয়েছে, এখন পৃথিবীর মধ্যে করোনার প্রভাব সবচেয়ে বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে করোনা আগে হানা দিলেও খুব শিগগিরি তা বিদায় নিচ্ছে না। এমনকি, মার্কিন মুলুক থেকে এই ভাইরাস একেবারে বিদায় নিতে আগস্ট হয়ে যাবে। একইভাবে ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, তুরস্ক, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, কানাডা, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, আর্মেনিয়া, ফিনল্যান্ড, বেলারুস, সিঙ্গাপুর, আফগানিস্তান, জার্মানির মতো দেশও আমেরিকার আশপাশ দিয়েই সম্পূর্ণ করোনামুক্ত হবে। অর্থাৎ, সেই আগস্ট মাসে। করোনা প্রভাবিত ইউরোপের আরো দুই দেশ, সুইজারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের করোনামুক্তি যথাক্রমে জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে ঘটতে পারে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, ইরানে এর প্রভাব শেষ হতে অক্টোবর মাস চলে আসবে। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তা যথাক্রমে জুলাই এবং সেপ্টেম্বর মাস।

গবেষকদের কথায়, দেশগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কত, কী হারে তা রোজ বৃদ্ধি পাচ্ছে, কত রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, কী হারে মানুষ সুস্থ হচ্ছেন প্রভৃতি একাধিক তথ্যকে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেই ভিত্তিতেই রিপোর্ট প্রস্তুত হয়েছে। তবে এরই পাশাপাশি নিয়মিত পরিসংখ্যানের দিকে নজর রাখছেন তারা।

প্রতিনিয়ত দুনিয়াভর পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। দিনকয়েক আগেও যেভাবে বিশ্বজুড়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছিল, তাতে কিন্তু লাগাম পরানো গেহছে। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। এভাবেই যদি পরিস্থিতি বদলাতে থাকে, তাহলে পরিসংখ্যানেও বড়সড় রদবদল হবে। তখন রিপোর্ট একইরকম নাও থাকতে পারে। বদল আসতে পারে।

গবেষকদের কথায়, লকডাউন সহ আমাদের অভ্যাস এই পরিসংখ্যানে বড়সড় প্রভাব ফেলেছে। তাই সেগুলোও কতটা বজায় থাকছে, তা দেখা দরকার। কারণ, পৃথিবী জুড়ে মার্চের শেষ থেকে যে পর্যায়ক্রমে লকডাউন চলছে, তার ফলে সমাজে একটা পরিবর্তন এসেছে। তার উপর ভিত্তি করেই বর্তমান পরিসংখ্যান। অর্থাৎ ভবিষ্যতে যদি তাতে বড়সড় পরিবর্তন হয়, তাহলে করোনার চিত্রটাও বদলে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নতুন করে রিপোর্ট তৈরি হবে।

সূত্র : বর্তমান


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us