করোনার মধ্যেই চীনের মোকাবিলায় মার্কিন রণতরী

নিজস্ব প্রতিবেদক | Apr 26, 2020 07:40 am
করোনার মধ্যেই চীনের মোকাবিলায় মার্কিন রণতরী

করোনার মধ্যেই চীনের মোকাবিলায় মার্কিন রণতরী - সংগৃহীত

 

পুরো বিশ্ব যখন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ব্যস্ত, তখন দক্ষিণ চীন সাগরের সীমান্ত বিতর্কে নিজেদের লক্ষ্যপূরণে নেমে পড়েছে চীন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর এমন অভিযোগের পরেই সংবেদনশীল তাইওয়ান প্রণালীতে ফের এক মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে দেখা গেল। যা গত এক মাসের মধ্যে দু’বার। ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেইর সঙ্গে পানিসীমা নিয়ে বেইজিংয়ের বিতর্ক রয়েছে।

সম্প্রতি বিতর্কিত দ্বীপ এবং পানিসীমার দখল নিজেদের হাতে রাখতে প্রশাসনিক এলাকা ঘোষণা করেছে চীন। আর তারপরেই নতুন করে আমেরিকার রোষে পড়েছে এই কমিউনিস্টশাসিত দেশ। চীনের এই পদক্ষেপের জেরে তড়িঘড়ি আসিয়ান (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশনস) গ্রুপভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন পম্পেও। সেখানে তিনি চীনের এই প্রশাসনিক এলাকা গঠনের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি, চলতি মাসে দক্ষিণ চীন সাগরে ভিয়েতনামের একটি মাছ ধরার জাহাজ ডুবে যাওয়ার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন পম্পেও। তিনি বলেন, অন্য দেশগুলে যাতে সমুদ্রের বেসিন থেকে গ্যাস ও তেল উত্তোলন করতে ভয় পায়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে সামরিক জাহাজ মোতায়েন করছে চীন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কথায়, ‘তামাম বিশ্বে মহামারীর সুযোগ নিতে চাইছে চীন।’

দক্ষিণ চীন সাগরের জলসীমা নিয়ে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে চীনের দীর্ঘদিনের বিতর্ক। গোটা এলাকাটিকেই তাদের বলে দাবি করে বেইজিং। সেইমতো চলতি মাসের গোড়াতেই পারাসেল আইল্যান্ড এবং স্পার্টলি আইল্যান্ডের দ্বীপ ও প্রণালীগুলোকে নিজেদের দখলে রাখতে দু’টি প্রশাসনিক এলাকা ঘোষণা করেছে চীন। তবে শুধু পম্পেও নন, গত সপ্তাহে জাপান নিয়ন্ত্রিত সেনকাকু আইল্যান্ডের পানিসীমার মধ্যেও চীনা জাহাজ ঢুকে পরার অভিযোগ করেছেন
সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তোশিমিটসু মোতেগি। সেগুলি প্রায় দেড় ঘণ্টা ওই পানিসীমার মধ্যে ছিল। এই
ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে জাপান।

জাপান নিয়ন্ত্রিত ওই দ্বীপকেও নিজেদের বলে দাবি করে চীন। নাম দিয়েছে ডায়ায়ু।

চীনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং পশ্চিম ফিলিপাইনে সমুদ্রে সেদেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার অভিযোগে এনেছে ম্যানিলা। অযাচিত হস্তক্ষেপের জেরে ম্যানিলায় অবস্থিত চীনা দূতাবাসেও দু’বার কূটনৈতিক প্রতিবাদ দেখিয়েছে ফিলিপাইন।

তবে, চীনের এই প্রশাসনিক এলাকা ঘোষণা করা নিয়ে ভারতকে কোনোরকম মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। যদিও, গোটা ঘটনার উপর কড়া নজর রাখছে নয়াদিল্লি। ভারতের প্রায় ৫৫ শতাংশ বাণিজ্য দক্ষিণ চীন সাগরের অংশ মালাক্কা প্রণালী দিয়ে হয়। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, সেই কারণেই হয়তো নয়াদিল্লি খুব একটা কথা বলছে না। যদিও, এর আগে দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলের উদ্বেগ, উত্তেজনা মেটাতে একাধিকবার সর্বদলীয় বৈঠকের পক্ষে জোর দাবি তুলেছে ভারত।

শান্তিপূর্ণ সমাধানের দাবি জানিয়েছে। ভিয়েতনামের সহযোগিতায় ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল ও গ্যাস সংস্থা ওএনজিসি দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে কাজ করছে। ওই এলাকায় চীনের এই সমরসজ্জার ফলে তেল ও গ্যাস উত্তোলনে প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র : বর্তমান

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us