করোনাভাইরাস সম্পর্কে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ৫ তথ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক | Apr 23, 2020 07:52 am
করোনাভাইরাস

করোনাভাইরাস - সংগৃহীত

 

মস্কোতে নিযুক্ত চীনা দূত ঝাঙ হানহুই সম্প্রতি করোনাভাইরাসের উৎপত্তি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘোষণা দিয়েছেন। এতে করে কোভিড-১৯ নামে পরিচিত ভাইরাসটি সম্পর্কে নতুন করে জানা যেতে পারে। এখানে তাসের সাথে সাক্ষাতকারে রাষ্ট্রদূতের তথ্যগুলোর কিছু বিষয় প্রকাশ করা হলো।

• চীনের শীর্ষস্থানীয় ৫টি বৈজ্ঞানিক সংস্থা কোভিড-১৯-এর ৯৩টি জিনোম নমুনা সংগ্রহ করেছে। এগুলো চারটি মহামহাদেশের ১২টি দেশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে পাওয়া গেছে।

• গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিড-১৯-এর প্রাচীনতম ‘পূর্বপূরুষ’ হলো এমভি১ নামে পরিচিত একটি ভাইরাস। পরে এটি হ্যালোটাইপ এইচ১৩ ও এইচ৩৮-এ পরিণত হয়।

• এইচ১৩ ও এইচ৩৮-এ পরে দ্বিতীয় প্রজন্মের হ্যালোটাইপ এইচ৩-এ পরিণত হয় এবং এটি আবার পরে বিবর্তিত হয়ে হয় এইচ১ (কোভিড-১৯)।

• সাদামাটাভাবে বলা চলে কোভিড-১৯-এর পিতা হলো এইচ৩, এর দাদা হলো এইচ১৩ ও এইচ৩৮, দাদার দাদা হলো এমভি১।

• আর ওহানের সিফুড মার্কেটে যে ভাইরাসটি পাওয়া গেছে, সেটি এইচ১ (কোভিড-১৯)। এর ‘বাবা’ এইচ৩-কেও পাওয়া গেছে ওহানে, তবে সিফুড মার্কেটে নয়।

• আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কোভিড-১৯-এর ‘দাদা’ এইচ৩ কিন্তু ওহানে পাওয়া যায়নি।

চীনা দূত বলেন, এতে বোঝা যাচ্ছে যে এইচ১-এর নমুনা কোনো সংক্রমিত ব্যক্তি ওই সিফুডের মার্কেটে নিয়ে এসেছিল এবং সেখান থেকেই মহামারিটি ছড়িয়ে পড়ে। মনে রাখতে হবে জিন সিকুয়েন্স কখনো মিথ্যা বলে না।
ফলে বলা যেতেই পরে, কোভিড-১৯ কিভাবে বিস্তৃত হলো, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি এবং তা যেকোনো দিকে নিয়ে যেতে পারে। কোভিড-১৯ পাওয়া গেছে ওহানে, এর শেকড় এখনো পাওয়া যায়নি।
ফলে অনেক কিছুই বের হয়ে আসছে। রাষ্ট্রদূত ঝাঙ বলেন-

১. জাপানের এক বিবাহিত দম্পতি ২৮ জানুয়ারি ও ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে হাওয়াইতে (এখানেই ইউএস প্যাসিফিক ঘাঁটি অবস্থিত) কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হন। তারা চীন সফর করেননি বা কোনো চীনা ব্যক্তির সংস্পর্শেও আসেননি। উল্লেখ্য, স্বামীটির লক্ষণ দেখা গিয়েছিল ৩ ফেব্রুয়ারি।

২. মিডিয়ার খবরে বলা হয়, কোভিড-১৯ উত্তর ইতালির লম্বারদিতে প্রথম দেখা গিয়েছিল ১ জানুয়ারি।

৩. ইতালির বিখ্যাত চিকিৎসাবিদ গুইসেপে রেমুজির মতে, কোভিড-১৯ মহামারি ইতালিতে ছড়িয়ে পড়ছিল চীনেরও আগে।

৪. বিখ্যাত আমেরিকান ভাইরাসবিদ রবার্ট রেডফিল্ড (বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গণস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও ফেডারেল এজেন্সি সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পরিচালক) অনুমান করছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুলসংখ্যক ফ্লু মৃত্যুর আসল কারণ কোভিড-১৯। ওই সময় যুক্তরাষ্ট্র এই পরীক্ষা করেনি। উল্লেখ্য, গত শীতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮০ হাজার লোক ফ্লু ও এর জটিলতায় মারা গিয়েছিল।

৫. আরো আশ্চার্যের ব্যাপার হলো, ইতালি প্রথম কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে চেয়েছিল তথাকথিত ফ্লুতে আক্রান্ত এক মার্কিনির ময়নাতদন্তের মাধ্যমে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তখন সরাসরি তা প্রত্যাখ্যান করে।
রাষ্ট্রদূত ঝাঙ বলেন, সমসাময়িক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বেশ দক্ষ। তারা অবশ্যই কোভিড-১৯-এর উৎস নিশ্চিতভাবেই খুঁজে বের করতে পারবে। হয়তো একটু সময় লাগবে।

ইন্ডিয়ান পাঞ্চলাইন


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us