রাজ্যশাসন ও প্রজাপালন : ইসলাম কী বলে
রাজ্যশাসন ও প্রজাপালন : ইসলাম কী বলে - সংগৃহীত
প্রজাপালন ও রাজ্যশাসন বিরাট দায়িত্বপূর্ণ কাজ। ন্যায়বিচারের সাথে এ দায়িত্ব পালন প্রকৃতপক্ষে ইহজগতে আল্লাহ্র প্রতিনিধিত্বের বিষয়। সে দায়িত্ব অবিচার এবং করুণাহীনভাবে পালিত হলে তা শয়তানের প্রতিনিধিত্বের শামিল। রাজ্যশাসনের প্রাসঙ্গিক জ্ঞান অতি মহৎ এবং বহু বিস্তৃত। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপতি তথা রাষ্ট্রপরিচালককে অনুধাবন করতে হবে কী প্রয়োজনে বিশ্বপতি আল্লাহ তায়ালা তাকে এ ক্ষণস্থায়ী সংসারে প্রেরণ করেছেন। সে ব্যক্তিই বুদ্ধিমান যিনি ইহসংসারে পারলৌকিক পাথেয় সঞ্চয়ের জন্য রাজ্যশাসন করেন এবং নিজের জীবন ধারণের প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভোগ্যবস্তু হস্তগত না করেই তৃপ্ত থাকেন। মানুষ যত বিত্তবৈভবই সংগ্রহ করুক না কেন, যদি তা হালালও হয়, এর মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সবই অনুতাপ ও সন্তাপের বীজ বপন করে মৃত্যুকালে দুঃসহ যন্ত্রণার কারণ হয়। আর হারাম উপায়ে অর্জিত সম্পদের জন্য পরকালে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। দুঃখ-কষ্ট ভোগ করা ব্যতিরেকে পার্থিব সম্পদের লোভ ত্যাগ করা অসম্ভব। মানুষ যদি বিশ্বাস করে ইহসংসারের ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকার পরিণাম ক্লেশপূর্ণ এবং চিরস্থায়ী পরকালের অনাবিল শান্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া, তা হলেই পার্থিব জীবনের ক্ষণস্থায়ী ভোগবিলাস থেকে বিরত থাকা সহজ। রাজা কিংবা প্রজা হোক সবারই উচিত বিষয়টি গভীরভাবে চিন্তা করা এবং অন্তরে জাগ্রত রাখা।
শাসকের মনে এ সব কথা সদাজাগ্রত থাকলে প্রজাদের প্রতি সদয় ব্যবহার, তাদের রক্ষণাবেক্ষণে সুচারুরূপে মনোনিবেশ, ন্যায়বিচার এবং পৃথিবীতে আল্লাহ্র প্রতিনিধিত্বের দায় পূর্ণভাবে পালন করা সহজ হবে। প্রভুত্ব ও রাজত্বের মতো মহান নেয়ামত লাভের পর প্রজাপীড়ন ও ভোগ-বিলাসে যে শাসনকর্তা মগ্ন, তার অদৃষ্টে ইহকাল ও পরকালে ভীষণ শাস্তি রয়েছে। শাসনকর্তার অবশ্যপালনীয় কিছু নিয়ম-কানুন আছে যা শাসককে ন্যায়বিচার, সত্যনিষ্ঠা ও সদাচারের ভিত্তিতে প্রজার কল্যাণ সাধনে সবিশেষ ভূমিকা পালন করে।
শাসনকর্তার সামনে বিচারার্থে কোনো মামলা হাজির করা হলে বিচারকর্তা প্রথমত মনে করবেন যে, তিনি নিজেই একজন প্রজা। কোনো প্রভাবশালী বাদশাহর সামনে আসামির কাঠগড়ায় নিজেই দণ্ডায়মান। তিনি এমন বিচার করবেন না, যে বিচার তিনি নিজের জন্য অপছন্দ করেন। তা না হলে তিনি বিশ্বাসঘাতকতার অপরাধে অপরাধী হয়ে আল্লাহ্র বিচারে ইহকালে নয়তো পরকালে কিংবা উভয়কালেই শাস্তি পাবেন। আর যে বস্তু কেউ নিজের জন্য অপছন্দ করেন তা অপর মুসলমানের জন্যও অপছন্দ করা কর্তব্য। রাসূল সা: বলেছেন : ‘যে ব্যক্তি সকালে ঘুম থেকে উঠে আল্লাহ্ ভিন্ন অন্য কোনো বিষয়ে মনোনিবেশ করে, সে আল্লাহ্ভক্ত বান্দা নয়। আর যে শাসক মুসলমানদের কাজে ও সেবায় অমনোযোগী হয়, সে মুসলমান নয়।’ বিচারকার্যে শৈথিল্য প্রদর্শন করে এবং বিচারপ্রার্থীকে অপেক্ষমাণ রেখে নফল ইবাদত আদায় করা অপেক্ষা মজলুমের অভাব-অভিযোগ শোনাই শ্রেয়।
প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে বিচারকের জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান এবং উপাদেয় খাদ্য ভোজনে অভ্যস্ত হওয়া অনুচিত। তার কর্তব্য সর্ববিষয়ে অল্পে পরিতুষ্ট থাকা। যে বিচারক অল্পে তুষ্ট নন, তার কাছ থেকে সুবিচারের আশা দুরাশা মাত্র। শাসকের কর্তব্য হলো, প্রত্যেক কাজে প্রজার সাথে যথাসম্ভব নম্র ব্যবহার করা; কঠোরতা নয়। রাসূল সা: বলেন : ‘হে আল্লাহ্! যে শাসনকর্তা প্রজাদের সাথে সদয় ব্যবহার করে, আপনি তার প্রতি সদয় হোন। আর যে কঠোর ব্যবহার করে, আপনিও তার প্রতি কঠোর হোন।’ বিচারকের উচিত শরিয়াহ মাফিক ন্যায়বিচার করে সবার ভালোবাসা পাওয়া। রাসূল সা: বলেছেন : ‘শাসকদের মধ্যে তারাই সর্বোত্তম যারা তোমাদের ভালোবাসে। সুতরাং তোমরাও তাদের ভালোবেসো।’ বিচারকদের ধর্মবিরুদ্ধ কাজ এবং অপরের বিষয় সম্পত্তি আত্মসাৎ করা নিতান্ত গর্হিত অপরাধ। ধর্মাদেশ মেনে কোনো কাজ করলে যদি কেউ অসন্তুষ্ট হয়, তাতে বিচারকের কিছুই যায় আসে না। আয়েশা রা: বলেন : ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ্র সন্তুষ্টির দিকে না তাকিয়ে মানুষকে সন্তুষ্ট করতে চায়, আল্লাহ্ সব মানুষকে তার প্রতি অসন্তুষ্ট ও অপ্রসন্ন করে দেন।’
সৃষ্টির সেরা মানবজাতিকে শাসন করার বিরাট দায়িত্বপূর্ণ কাজের হক পুরোপুরি আদায় করার সুযোগ ও ক্ষমতা যার ওপর আল্লাহ্ ন্যস্ত করেছেন, তার তুলনায় সৌভাগ্যবান আর কেউ নয়। এই গুরুদায়িত্ব পালনে ত্র“টি করলে কুফর অপেক্ষা এর চেয়ে নিকৃষ্ট পাপ ও দুর্ভাগ্য আর নেই। এ দায়িত্ব সম্পর্কে রাসূল সা: বলেন : ‘কেউ (১) তোমাদের অনুগ্রহপ্রার্থী হলে তার প্রতি অনুগ্রহ করো, (২) বিচারপ্রার্থী হলে তার প্রতি ন্যায়বিচার করো এবং (৩) মানুষের প্রতি যে ওয়াদা করা হয়েছে তা যথাযথভাবে পূর্ণ করো। যে শাসক এ তিনটি কাজে অভ্যস্ত নয়, আল্লাহ্ তার কোনো ফরজ ও সুন্নত ইবাদত কবুল করেন না এবং তাদের প্রতি আল্লাহ্র লানৎ বর্ষিত হোক।’ রাসূল সা: বলেন : ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তিন প্রকার ব্যক্তির প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন না : ১. মিথ্যাবাদী সুলতান ও শাসনকর্তা, ২. ব্যভিচারী বৃদ্ধ এবং ৩. গর্বিত ব্যক্তি ও দর্পকারী।’ তিনি বলেন : ‘সদাচারী হলে অদূরভবিষ্যতে পৃথিবীর পূর্বপ্রান্ত থেকে পশ্চিমপ্রান্ত পর্যন্ত রাজ্যগুলো তোমাদের (মুসলমানদের) দখলে আসবে এবং সেসব দেশের শাসনকর্তারা দোজখে নিক্ষিপ্ত হবে।’ তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন : ‘যদি কোনো শাসনকর্তা প্রজার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং সস্নেহে প্রজাপালন না করে তবে আল্লাহ্ তার জন্য বেহেশতের প্রবেশপথ বন্ধ করে দেবেন। আল্লাহ্ যাকে মুসলমানদের ওপর কর্তৃত্ব ও প্রভুত্ব দান করেছেন সে যদি নিজের পরিবারবর্গের মতো স্নেহ ও যত্নের সাথে মুসলমান প্রজাদের দেখভাল না করে, তবে তাকে বলে দাও, সে যেন নিজের বাসস্থান দোজখের মধ্যে সন্ধান করে।’
রাসূল সা: বলেন : ‘আমার উম্মতের মধ্যে দুই প্রকার লোক আমার শাফা’আত বা সুপারিশ পাবে না : ১. অত্যাচারী বাদশাহ (শাসনকর্তা) এবং ধর্ম-কর্মে অহেতুক বিচ্ছেদ ঘটিয়ে সীমালঙ্ঘনকারী বেদ্আতী।’ তিনি বলেন : ‘পাঁচ প্রকার লোকের প্রতি আল্লাহ্ অসন্তুষ্ট। তিনি ইচ্ছা করলে ইহকালে তাদের শাস্তি শুরু করে পরকালে দোজখের অনন্ত শাস্তি তাদের জন্য নির্ধারিত রাখবেন। এরা হলো : ১. সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি বা শাসক, যে স্বীয় অধীনস্থ লোকদের কাছ থেকে পাওনা পুরোপুরি আদায় করে নেয়, কিন্তু তাদের প্রতি সুবিচার করে না এবং অত্যাচার বন্ধ করে না। ২. সম্প্রদায়ের সর্দার যাকে জনগণ অনুসরণ করে; অথচ সে নিজের অনুসরণকারীদের মধ্যে সবল ও দুর্বলকে এক নজরে না দেখে সবলদের পক্ষাবলম্বন করে থাকে। ৩. যে ব্যক্তি মজুরির অঙ্গীকারে শ্রমিক নিযুক্ত করে; অথচ শ্রমিকের কর্ম সমাপনের পরও তার প্রাপ্য মজুরি পরিশোধ করে না, ৪. যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রী-পুত্র পরিবারকে আল্লাহ্র বিধান মতো চলার হুকুম করে না, ধর্মের বিধান শিক্ষা দেয় না এবং তাদের আহার কোথা থেকে আসবে, সে চিন্তা করে না এবং ৫. যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীর ‘দেন মোহরের’ ব্যাপারে তার প্রতি অন্যায় আচরণ করে।’ প্রজাপালক শাসনকর্তাদের কেউ যদি বিচারে কোনো বান্দাকে অধিক কিংবা কম শাস্তি দেয়, তারা জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।
শাসনকর্তা সৎ কিংবা অসৎই হোক তার প্রশংসা করা অনুচিত। রাসূল সা: বলেছেন : ‘পুলছিরাত পার হওয়ার ওপর নির্ভর করে শাসনকর্তা বিচার মীমাংসায় জুলুম করেছিল, কিংবা ঘুষ নিয়ে অন্যায় করেছিল অথবা একপক্ষের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছিল এবং অপর পক্ষের কথা শোনেনি। যারা পুলছিরাত পার হতে পারবে না, দোজখই হবে তাদের বাসস্থান।’ শাসনকর্তার উচিত নিজ ভরণ-পোষণের জন্য রাজকোষাগার থেকে বেতন-ভাতা না নিয়ে নিজে রোজগার করা। শাসনকর্তাদের হিসাব-নিকাশের ব্যাপারে আল্লাহ্ কঠোর হবেন। যে প্রজাপালক ন্যায়বিচার করে, সে নিঃশঙ্কচিত্তে ঘুমাতে পারে। যে অত্যাচার করে সে সর্বদা উদ্বিগ্ন ও সন্ত্রস্ত থাকে।
শাসনকর্তাদের উচিত সবসময় যথার্থ আলেমদের সংসর্গে থেকে একান্ত আগ্রহ ও মনোযোগের সাথে তাদের উপদেশ গ্রহণ করা। সতর্কতার সাথে সংসারাসক্ত ব্যক্তিদের সংসর্গ এড়িয়ে চলা। সংসারাসক্ত ব্যক্তিরা শাসনকর্তাকে সর্বদা প্রতারিত করবে, প্রশংসা করবে, তার মন জুগিয়ে চলবে যেন চালাকি করে তাদের পার্থিব ভোগ-বিলাসের উপকরণ থেকে উচ্ছিষ্ট লাভ করতে পারে। আর সেসব আলেমই ধর্মপরায়ণ যারা রাজা-বাদশাহ বা শাসকের কাছে কিছুই প্রত্যাশা করেন না এবং তাদের ভুলত্র“টি দেখলে তাদের তিরস্কার করতে ভয় পান না। শাসক নিজে ভালো থাকলে তার কর্মচারীরা ও মন্ত্রীরা ভালো হতে বাধ্য। শাসক মন্দ হলে তার কর্মচারীরা ভালো থাকলেও ক্রমে মন্দ হয়ে যায়। আল্লাহ্ বলেন : ‘যারা মন্দ কাজ করেছে, তারা কি ধারণা করে যে, আমি তাদের ঈমানদার এবং নেক্কার লোকদের সমান মর্যাদা প্রদান করব? তাদের জীবন ও মরণ উভয়ই সমান। তারা যা করছে তা জঘন্য’ (সূরা জাছিয়াহ্ : আয়াত ২১)। শাসকরা তাদের বয়ঃকনিষ্ঠ মুসলমানদের প্রতি পিতার মতো স্নেহপূর্ণ এবং সমবয়স্কদের প্রতি ভ্রাতার ন্যায় আচরণ করতে হবে। প্রত্যেক অপরাধীকে তার অপরাধের পরিমাণ এবং ক্ষমতানুসারে শাস্তি দিতে হবে। ক্রোধের বশীভূত হয়ে কাউকে অতিরিক্ত দণ্ড না দেয়ার জন্য সাবধান করা হয়েছে। বিজ্ঞ লোকের উচিত কোনো বিচারক বা শাসককে দেখামাত্র উপদেশ দেয়া এবং সত্য গোপন না করা। যে আলেম তোষণনীতি অবলম্বন করে রাজা-বাদশাহ বা শাসনকর্তার অহঙ্কার বাড়িয়ে দেন এবং তাদের সামনে সত্য গোপন করেন, সেই শাসনকর্তাদের দিয়ে পৃথিবীতে যেসব অত্যাচার ও অবিচার হবে, সে ব্যক্তিও সে অত্যাচার অবিচারের ভাগী হবেন।
শাসনকর্তা শুধু প্রজাদের ওপর অত্যাচার নিপীড়ন থেকে বিরত থাকাই যথেষ্ট নয়। নিজের চাকর-সেবক, কর্মচারীরা এবং নায়েব-প্রতিনিধিরাও যাতে প্রজাদের ওপর নির্যাতন না করে সে দিকেও মনোযোগী হতে হবে। প্রজাদের ওপর এসব রাজকর্মচারীর নির্যাতন ন্যায়নিষ্ঠ শাসনকর্তা সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিতে পারেন না। রাজকর্মচারী যদি প্রজাদের ওপর নির্যাতন করে, তার জন্য শাসনকর্তাকেও পরকালে আল্লাহ্র দরবারে জবাবদিহি করতে হবে। তাওরাতে বর্ণিত আছে, ‘যে শাসনকর্তা তার প্রতিনিধি ও কর্মচারীদের সাধারণের ওপর অত্যাচার করতে দেখেও চুপ থাকে, বুঝতে হবে স্বয়ং শাসনকর্তাই সে অত্যাচার করল। সে শাসক তার কর্মচারীদের অত্যাচারের জন্য হবে দণ্ডিত।’ অনেকে দুনিয়ার সাফল্য অর্জনের জন্যই রাজদরবারে চাকরি করে থাকে। তারা অত্যাচার ও প্রজা নিপীড়নকে রাজা বা রাষ্ট্রপরিচালকের চোখে আকর্ষণীয় করে দেখায়। রাষ্ট্রপরিচালক একে অত্যাচার বলে ধারণাই করতে পারে না। এভাবে তারা তাকে জাহান্নামের দিকে ধাবিত করে নিজেদের কুমতলব হাসিল করে নেয়। এদের চেয়ে ঘোরতর শত্র“ শাসনকর্তার আর কেউ নয়।
শাসনকর্তা কখনো অহঙ্কারজনিত প্রাধান্য প্রদর্শন করা উচিত হবে না, কারণ অহঙ্কার থেকে ক্রোধের উৎপত্তি হয়।
রাসূল সা: বলেন : ‘মানুষ তিনটি বিষয় আয়ত্তে আনতে পারলেই তার ঈমানের পূর্ণতা লাভ ঘটে। যেমন : ১. ক্রোধের বশে অন্যায় কাজের ইচ্ছা না করা, ২. আনন্দের সময় কারো হক বিস্মৃত না হওয়া এবং ৩. ক্ষমতা হাতে পেলে নিজের প্রাপ্য হকের অধিক গ্রহণ না করা।’ তিনি বলেন : ‘দোজখের একটি বিশেষ দরজা রয়েছে যা দিয়ে শরিয়াহবিরোধী ক্রোধ প্রকাশকারীরাই কেবল দোজখে প্রকাশ করবে।’ আশা করি, দেশী-বিদেশী শাসকরা এসব নীতি মান্য করে চলবে, যাতে কেউ অভিযোগ করে বলতে না পারে : ‘চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী।’ তথ্যসূত্র : ইমাম গাজ্জালি, কিমিয়ায়ে সা’আদাত, ১৯৯৬, দ্বিতীয় জিলদ্, পৃষ্ঠা ২২৯-২৪৭।
লেখক : অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও ভাইস প্রিন্সিপাল, মহিলা সরকারি কলেজ, কুমিল্লা