করোনাভাইরাস : ঢাকার যেসব এলাকায় দ্রুতগতিতে বাড়ছে সংক্রমণ
করোনাভাইরাস : ঢাকার যেসব এলাকায় দ্রুতগতিতে বাড়ছে সংক্রমণ - সংগৃহীত
গত ২০ এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী পুরাতন ঢাকার অনেক এলাকায় অন্য যে কোনো এলাকার তুলনায় সংক্রমণ বেশি।
যেমন আজিমপুরে ১৫ জন শনাক্ত হয়েছেন ইতোমধ্যে। বাবুবাজারে সংখ্যাটা ১১।
বংশালে ৩১ জন শনাক্ত হয়েছেন।
চকবাজারে ১৯ জন শনাক্ত হয়েছেন।
গেন্ডারিয়ায় শনাক্ত হয়েছেন ২১ জন।
যাত্রাবাড়িতে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৩৩ জনের মধ্যে।
লালবাগে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৩১ জনের মধ্যে।
সুত্রাপুরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে ১২ জনের মধ্যে।
ওয়ারীতে ৩০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।
শাখারীবাজারে করোনাভাইরাস রোগী ধরা পড়েছে ১৮ জনের মধ্যে।
অন্য এলাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে মোহাম্মদপুরে ৩৮ জন।
পুরো মিরপুর এলাকায় ৭০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে, যার মধ্যে মিরপুর ১৪ তেই ২১ জন।
টোলারবাগ ১৯
ধানমন্ডি ২৩
বাসাবো ১৯
মহাখালী ১৪
মগবাজার ১৬
রাজারবাগ ২৮
উত্তরা ২৩
শাহবাগ ১১
আইইডিসিআর থেকে নেয়া হয়েছে এলাকাভিত্তিক এই তথ্য।
ঢাকায় 'ভাইরাস শাট আউট' বিক্রেতা গ্রেফতার
তার দাবি এই পণ্য গলায় ঝুলালে একমাস তিনফুটের মধ্যে ভাইরাস আসতে পারবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অনেকে এই পণ্য কিনতেও শুরু করে বলছে পুলিশ।
পরবর্তী সময়ে ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার আইনের ৪৪ ধারায় তাকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
করোনাভাইরাস : স্বস্তির খবর ইউরোপে
করোনাভাইরাস নিয়ে স্বস্তির খবর পাওয়া যাচ্ছে ইউরোপে। সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রথমবারের মতো ইটালিতে আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সোমবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল বা বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন এক লাখ ৮ হাজার ২৩৭ জন। যা আগের দিনের তুলনায় ২০ জন কম।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এই পার্থক্য খুব সামান্য হলেও এটা খুবই "ইতিবাচক অগ্রগতি।"
ইটালির লকডাউন আগামী ৩ মে পর্যন্ত চলবে। কিন্তু এরইমধ্যে কিছু কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছে।
এর মধ্যে রয়েছে বইয়ের দোকান, স্টেশনারি এবং শিশুদের কাপড় বিক্রির দোকান।
তবে এর মাধ্যমে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি কিভাবে নিরাপদে কার্যকর করা যায় তা দেখছে কর্তৃপক্ষ।
স্পেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পর ইটালিতে সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাস আক্রান্ত মানুষ রয়েছে। রোববার দেশটিতে সক্রিয় সংক্রমণ পাওয়া গেছে ৪৮৬টি।
বেসরকারি সুরক্ষা সংস্থার প্রধান অ্যাঙ্গেলো বোরেলি বলেন, "প্রথমবারের মতো আমরা একটি ইতিবাচক অগ্রগতি দেখছি: আর তা হলো আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে।"
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য মতে, ইটালিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার মানুষ মারা গেছে।
যাই হোক, যেসব মানুষ বাড়িতে কিংবা কেয়ার হোমে মারা যাচ্ছেন তাদের হিসাব এই সংখ্যার সাথে সংযুক্ত করা হয়নি।
অনেকে মনে করেন যে, প্রকৃত মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি হিসাবের তুলনায় বেশি।
গুরুত্বপূর্ণ ধাপ
ইতালির কর্তৃপক্ষ বলছে, আক্রান্তের সংখ্যা কমাটা "খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।"
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রথমবারের মতো কমেছে; এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, যদিও আগের দিনের তুলনায় এদিন কম পরীক্ষা করা হয়েছে।
যারা মারা গেছেন এবং যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের সর্বমোট সংখ্যা ১.২% বেড়েছে। দেশটিতে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো এত কম হারে সংক্রমণ বাড়লো।
তবে সোমবার দেশটিতে ৪৫৪ জন মারা গেছে যা রোববারের তুলনায় কিছুটা বেশি।
সূত্র : বিবিসি