চীনা সেনাবাহিনীর হাতে ‘কিলার রোবট’
চীনা সেনাবাহিনীর হাতে ‘কিলার রোবট’ - সংগৃহীত
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হার্ভার্ড ল স্কুলের ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ক্লিনিকের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলো বারবার ‘ঘাতক রোবট’ তৈরি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে এলেও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র তৈরির প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত রয়েছে।
জেন’স জানিয়েছে যে, চায়না নর্থ ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশানের (নোরিনকো) শার্প ক্ল ওয়ান মনুষ্যহীন স্থল যান (ইউজিভি) এখন পিপলস লিবারেশান আর্মি গ্রাউণ্ড ফোর্সে (পিএলএজিএফ) যুক্ত হয়েছে। চায়না সেন্ট্রাল টেলিভিশন ৭ (সিসিটিভি ৭) এই খবর প্রচার করেছে। তারা বলেছে যে, ট্র্যাকড, কমব্যাট ও রেকনেইশান্স ইউভিজি এখন চীনের সামরিক বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়েছে।
এটা এখনও স্পষ্ট নয় যে কতগুলো শার্প ক্ল ওয়ান ইউজিভি মোতায়েন করা হয়েছে বা কখন এগুলো বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে। ছোট ট্র্যাকিং যানবাহনটি প্রথশ ২০১৪ সালের এয়ারশো চায়নাতে প্রদর্শনী করা হয়। এটারই আপগ্রেডেড ভার্সনের প্রদর্শনী করা হয় ২০১৯ সালের এয়ারশো চায়নাতে। স্বল্পপাল্লার ইলেকট্রো-অপটিক্যাল পেলোড, মেশিন ভিশন, এবং লাইটিং স্যুটসহ বেশ কিছু আপগ্রেড করা হয়েছে এটাতে।
প্রস্তুতকারকরা জানিয়েছেন, শার্প ক্ল ওয়ান স্বচালিত এবং নিজে থেকেই কাজ করতে পারে। কারো কারো কাছে উদ্বেগের কারণ হলো এতে ৭.৬২ মিলিমিটারের হালকা মেশিনগান যুক্ত করা যায়। তবে এটা এখনও স্পষ্ট নয় যে, সে ক্ষেত্রে কোন মানুষের নিয়ন্ত্রণের দরকার পড়বে কি না।
এটা আসলে দ্বৈত সিস্টেমের বড় শার্প ক্ল টু ইউজিভির অংশ। ৬*৬ চাকার এই মনুষ্যবিহীন স্থলযানটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যেটা বিপজ্জনক, নোংরা, একঘেঁয়ে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মহড়া, টহল, আক্রমণ ও পরিবহনের কাজ করতে পারবে। শার্প ক্ল ওয়ান আসলে একটি ছোট স্কাউট যেটাকে শার্প ক্ল টু-এর কার্গোতে বয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
শার্প ক্ল ওয়ান একমাত্র ইউএভি নয়, যেটা পিএলএভিএফের জন্য তৈরি করা হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবু ধাবিতে যে আনম্যানড সিস্টেম এক্সিবিশান অ্যাণ্ড কনফারেন্স ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে ‘মিউল-২০০’ নামের একটি ইউজিভি প্রদর্শনী করে চীনের আরেকটি ফার্ম ঝোং তিয়ান ঝি খোং টেকনোলজি হোল্ডিংস কোম্পানি। এটা একটা মাঝারি আকারের বহুমুখী ক্রলার, যেটা পদাতিক ইউনিটের সাথে চলতে পারে এবং গোলাবারুদ ও সরবরাহ বহন করতে পারে।
ইউজিভি যদিও এখনও উড়ন্ত ড্রোনের মতো ব্যাপকভাবে মোতায়েন করা শুরু হয়নি, তবে এর বাজার বাড়তে পারে। সারা বিশ্বের সামরিক পরিকল্পনাকারীরা ইউজিভি তৈরির পেছনে বিনিয়োগ করছে এবং গ্লোবাল মার্কেট ইনসাইটসের মতে, ২০২৬ সাল নাগাদ ইউজিভির মার্কেট মূল্যমান ৭ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে।
সূত্র : এসএএম