করোনাভাইরাসের দেহে ম্যালেরিয়া ও এইডসের জীবাণু!
করোনাভাইরাসের দেহে ম্যালেরিয়া ও এইডসের জীবাণু! - সংগৃহীত
চীনের উহানের ল্যাবরেটরিতেই করোনাভাইরাস নিয়ে পরীক্ষা চলছিল। সেখান থেকেই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন ফ্রান্সের নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী লুক মন্টানিয়ের। এই দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ আরো অনেকে। এবার আরো জোরালোভাবে ওই দাবিটি তুলে ধরলেন এই ফরাসি বিজ্ঞানী।
ফ্রান্সের একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ‘চলতি শতকের গোড়ার দিক থেকেই করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছে উহানের ওই ল্যাবরেটরিতে। ওই গবেষণার সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা প্রত্যেকেই করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সবকিছু জানেন। এই ভাইরাসের কোষে ম্যালেরিয়া এবং এইচআইভির জীবাণু মিলেছে।’ এইডস ভাইরাস চিহ্নিত করার স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৮ সালে নোবেল পুরস্কার পান মন্টানিয়ের।
কিন্তু করোনা ভাইরাস নিয়ে তার এই দাবি অনেকেই মানতে চাইছেন না। অনেকে এই বিজ্ঞানীর সমালোচনাও করছেন। এই দাবি প্রথম নয়। এর আগেও এক মার্কিনি গবেষক এমন দাবি তুলেছেন। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও দাবি করেছেন, উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছে করোনা।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, ‘বাদুড়ের শরীরে স্বাভাবিকভাবেই থাকে করোনা ভাইরাস। এটি জৈব অস্ত্র নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও উহানের ল্যাবে এই ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে বাদুড়ের শরীর থেকে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছিল করোনা ভাইরাস। উহানের ল্যাবে এটা নিয়েই গবেষণা চলছিল। সেই ল্যাবের এক কর্মীর শরীরেই ভুলবশত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তিনি উহানের কয়েকজন বাসিন্দাকে সংক্রামিত করেন। এরপর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস।’
দাবি ট্রাম্পের
নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যায় মোটেই শীর্ষে নেই আমেরিকা। এ ব্যাপারে চীনই এক নম্বরে। মৃতের সংখ্যা নিয়ে বেইজিংয়ের দেয়া সরকারি পরিসংখ্যানকে চ্যালেঞ্জ করে হোয়াইট হাউসে শনিবার এ কথা বলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দিনদু’য়েক আগেই চীনের উহান প্রদেশের প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা গণনায় ভুল হয়েছিল। মৃতের সংখ্যা বাড়ানো হয় প্রায় ১ হাজার ৩০০। এর জের ধরে চীনে এই সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪ হাজার ৬০০ হয়েছে বলে বেইজিংয়ের তরফে দাবি করা হয়।
এরই প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শনিবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমরা শীর্ষে নেই মোটেই। আপনারাও জানেন, চীনই এ ব্যাপারে এক নম্বরে। চীন যে আমাদের খুব ধারেকাছে আছে, তা-ও নয়। আমাদের চেয়ে রয়েছে অনেক এগিয়ে। এটা ওরা (চীন) জানে। আমরাও জানি। জানেন আপনারাও। কিন্তু সে কথা সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে না।’’
ট্রাম্প প্রশ্ন তোলেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ইতালি ও স্পেনের মতো দেশগুলোতে স্বাস্থ্য পরিষেবা সবচেয়ে উন্নত ও সর্বাধুনিক হওয়া সত্ত্বেও সেখানে এই সংক্রমণে যখন বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে ও হচ্ছে, তখন চীনে সেই হার কী ভাবেই বা হতে পারে মাত্র ০.৩৩ শতাংশ?
মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, কোভিড-১৯ সংক্রমণে বেইজিং সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা যা বলছে, আদতে তা অনেক বেশি। তাই এ ব্যাপারে চীনের সরকারি পরিসংখ্যানকে ‘বিশ্বাসযোগ্য’ বলে মনে করছেন না আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।