জার্মানিতে দুই মাসের লকডাউন আসছে!

নিজস্ব প্রতিবেদক | Apr 19, 2020 03:44 pm
জার্মানিতে দুই মাসের লকডাউন আসছে!

জার্মানিতে দুই মাসের লকডাউন আসছে! - সংগৃহীত

 

করোনাভাইরাসের তাণ্ডবের মধ্যেও এখনো জার্মানিতে ঠিক লকডাউন হয়নি। বলা হচ্ছে ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি। সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং অবশ্যই মেনে চলতে হচ্ছে। কিন্তু আপনি ইচ্ছে করলে কাছাকাছি হাঁটতে বেরোতে পারেন, গাড়িতে কিছুটা ঘুরেও আসতে পারেন। তবে পরিবারের লোক ছাড়া দুজনের বেশি একসঙ্গে ঘোরা নিষিদ্ধ। এছাড়া গ্রসারি বা ওষুধের দোকানে তো যেতেই পারেন। স্কুলকলেজ অবশ্য অনেক দিন আগেই বন্ধ। বেশিরভাগ মানুষ ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছেন।

সরকারি নিয়ম বলছে, যদি তোমার অফিসে কম লোক থাকে, তাহলে যেতে বাধা নেই। কে ঝুঁকি নেবে? যেমন আমি। ছোট বাচ্চা রয়েছে। মার্চের গোড়াতেই ওর কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে। বাড়ির বাইরে বেরোনোর কথা ভাবছিই না। আমার মনে হয়, ইস্টারের কথা মাথায় রেখে সরকার পুরোপুরি লকডাউন করেনি। হয়তো এই সপ্তাহেই ঘোষণা করে দেবে আরও কড়াকড়ির কথা। চারপাশে শুনছি, দু’মাস পর্যন্ত লকডাউন হতে পারে। সাধারণ মানুষ কিন্তু চান বিধিনিষেধগুলো যেন বহাল রাখা হয় আরো কিছুদিন। তা না হলে করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া মুশকিল।

প্রথম যখন চীনে করোনার খবর এলো বাইরের পৃথিবীতে, সবাই ভেবেছিল, ওটা চীনের ব্যাপার। অন্য দেশে ছড়াবে না। যখন জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারি থেকে ইওরোপের নানা দেশে সংক্রমণ দেখা দিতে শুরু করল, তখনও কিন্তু ফ্লু ভেবেছিল প্রশাসন। আসলে এই সময়টা, শীতের শেষে বসন্ত সমাগমে ইওরোপে প্রচুর মানুষের ফ্লু হয়। তাতে মৃত্যুর হারও কম নয়। বিশেষ করে প্রবীণরা এর শিকার। সেজন্যই সরকার কিছুটা নিশ্চিন্ত ছিল। জানুয়ারির শেষদিকে যখন প্রথম জার্মানিতে ধরা পড়ল করোনা, তখনও কেউ ভাবেনি অচিরেই এটা মহামারী হবে। মার্চে টনক নড়ল সবার। ইতালি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেন— আতঙ্ক গ্রাস করল গোটা ইউরোপকে।

এতদিন জার্মান সরকার দাবি করেছে, এই দেশে করোনায় মৃত্যুর হার কম। পরিসংখ্যান বলছে, আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪১,৪৮৩ আর মৃত্যু হয়েছে ৪,৩৬২ জনের। আমাদের স্টুটগার্ট শহরেই হাজারের ওপর আক্রান্ত। এখনও ২০ জনের মৃত্যুর খবর জানি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জার্মানিতে কমবয়সিরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে সেরে ওঠার হার বেশি। প্রায় হাজার বছরের পুরনো শহর স্টুটগার্ট বিখ্যাত গাড়ি কোম্পানিগুলোর জন্য। মার্সিডিজ বেঞ্চ আর পোর্শের সদর দপ্তর এখানে। দারুণ গাড়ি মিউজিয়াম আছে। আর খুব সবুজ চারদিক। অনেক পার্ক, বিরাট বোটানিক্যাল গার্ডেন আছে। অনেক বাঙালি থাকে এখানে। আমি নিজে সফ্‌টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। আমার কোম্পানি খুবই সংবেদনশীল। আমার বাড়িতে ছোট বাচ্চা আছে বলে কাজের সময় এবং চাপ কম রেখেছে।

কাজ আর সংসার সামলে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে রোজই আলোচনা হচ্ছে, করোনার জেরে চাকরির বাজারে খুব কঠিন সময় আসতে চলেছে। ইওরোপ, আমেরিকা, কেউই এড়াতে পারবে না অর্থনৈতিক মন্দা। তার প্রভাব কীভাবে পড়বে বিদেশি কর্মীদের ওপর, সেটা বুঝতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। খবরে দেখেছি, এর মধ্যেই কোম্পানিগুলোকে বাঁচাতে ৫০ হাজার কোটির ইউরো ফান্ডের কথা ঘোষণা করেছে জার্মান সরকার। কিন্তু তা বলে আইটি সেক্টরে কাজ করা বাঙালিরা নিশ্চিন্ত, একথা কি বলা যায়?‌‌‌
সূত্র : আজকাল


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us