করোনার চিকিৎসা বাড়িতে বসে : যা বললেন মীরজাদী সেব্রিনা
মীরজাদী সেব্রিনা - সংগৃহীত
বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ২৬৬ জন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৫ জনে এবং আক্রান্ত ১৮৩৮ জন।
আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনামন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি আরো জানান হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২১৯০টি। এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৯ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ৫৮ জন।
ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, ২১-৩০ বছরের মধ্যে ২১ ভাগ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৯ ভাগ আক্রান্ত।
তিনি জানান, শতকরা ৪৬ ভাগ ঢাকায় সংক্রমিত হয়েছেন। ঢাকার মধ্যে মিরপুরে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
আগের ২৪ ঘণ্টায় মোট ২,১৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী৷ এর মধ্যে ২৬৬ জনের মধ্যে নভেল করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে৷ এ নিয়ে বাংলাদেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮৩৮ জনে৷
নতুন করে নয় জন সুস্থ হয়ে উঠায় মোট সুস্থের সংখ্যা ৫৮ জন৷
সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ঢাকা (৪৬%) ও নারায়ণগঞ্জে (২০%)৷ এছাড়া নতুন করে গাজীপুরে অনেক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন৷ রাজধানী ঢাকার মধ্যে মিরপুরে রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷
রেডিও তরঙ্গ বা মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোন ভাইরাস ছড়ায় না৷ এমন অনেক দেশেই করোনা’র সংক্রমণ হয়েছে, যাদের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক নেই৷
বাংলাদেশে ৪০টির বেশি জেলায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে৷ জেলা পর্যায়ে শনাক্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশ ঢাকা বা নারায়ণগঞ্জ থেকে গেছেন জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জনগণকে ‘কঠোরভাবে লকডাউনের নীতি অনুসরণ’ করে বাড়িতে অবস্থান করার অনুরোধ করেছেন৷
তিনি বলেন, “আমরা যদি কষ্ট করে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঘরে থাকি তবে করোনা ভাইরাস আর বেশি ছড়াতে পারবে না৷ করোনার বিরুদ্ধে আমাদের জয় হবে বলে আশা করি৷”
তিনি প্রশাসনকে মানুষকে ঘরে রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন৷ একই সঙ্গে তিনি সাধারণ মানুষকে ভয় বা আতঙ্কিত না হয়ে বেশি বেশি পরীক্ষা করার অনুরোধও করেছেন৷
আইইডিসিআর-র পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা নিজ বাসা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ব্রিফিংয়ে যোগ দেন৷ তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের বেশিরভাগের বয়স ২১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে৷ তাদের মধ্যে পুরুষ ৬৮ শতাংশ এবং নারী ৬২ শতাংশ৷ আক্রান্তদের মধ্যে ৬৮ শতাংশ বাড়িতে বসে এবং ৩২ শতাংশ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন৷
হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের অনেকে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করাতে পারতেন জানিয়ে অধ্যাপক মীরজাদী আরো বলেন, “মৃদু উপসর্গ হলে হাসপাতালে ভিড় না বাড়িয়ে আমি আপনাদের বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেওয়ার অনুরোধ করছি৷ যাতে গুরুত্ব অসুস্থ অন্য কেউ চিকিৎসার সুযোগ পান৷”
বাড়িতে বসে চিকিৎসার বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্য বাতায়নের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷