করোনা দুর্যোগ : আপনার জন্য ৭টি পরামর্শ
করোনা দুর্যোগ : আপনার জন্য ৭টি পরামর্শ - সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে পুরো বিশ্ব জর্জরিত। কোনোভাবেই একে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। কোনো চিকিৎসা নেই। তবে কেউ যাতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত না হন, সেটাই জোর দিয়ে বলা হচ্ছে। কী কী করলে আপনি ও আপনার পরিবার সুরক্ষিত থাকতে পারে, সেটিই জোরালোভাবে বলা হচ্ছে।
সবাইকে বলা হয়েছে, ঘরে থাকতে। তবে এই বিপর্যয়েও অনেককে বাইরে বের হতে হয়। তখন কী করতে হবে, কী করা যাবে না, তার একটি তালিকা দেয়া হয়েছে। তা অনুসরণ করতে পারেন।
তারা যে পরামর্শগুলো দিয়েছেন সেগুলো হলো-
১. জরুরি কাজের তালিকা করা
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন একটি বা দুটি নয় বরং বেশ কয়েকটি জরুরি কাজ হলে তারপরই বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করতে হবে। এক দিনের জন্য পণ্য না কিনে বরং এক সপ্তাহে কী কী লাগবে সে পরিমাণ হিসাব করে বাজার করতে হবে। বাইরে বের হওয়ার আগে সেসব জরুরি কাজের তালিকা তৈরি করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো শেষ করতে হবে। এসময় অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
২.মাস্ক ও গ্লাভস পরা
বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস পরে বের হতে হবে। আর ঘরে ঢোকার পর অবশ্যই মাস্কটি ফেলে দিতে হবে কিংবা সেটি পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। হাতের গ্লাভসটিও প্রয়োজনে সাবান-পানি ব্যবহার করে জীবাণুমুক্ত করে নিতে হবে।
ঘরে প্রবেশের আগে যদি সাবান-পানির মিশ্রণ কিংবা ক্লোরিন মিশ্রিত পানি কোন একটি স্থানে রাখা যায়, যাতে জুতা ও পা ডুবিয়ে প্রবেশ করতে হবে। যে জুতা পরে বাইরে বের হবেন সেটিকে অবশ্যই ঘরের বাইরে রাখতে হবে। জীবাণুমুক্ত না করে কোনোভাবেই সেটিকে ঘরে তোলা যাবে না।
৫. পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে দূরে থাকা
ঘরে প্রবেশের সাথে সাথে পরিবারের লোকজন যাতে কাছে না আসে সেটি মাথায় রাখতে হবে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক সদস্যদের থেকে দূরে থাকতে হবে। সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত এটি কড়াকড়িভাবে মেনে চলতে হবে।
৬. হাত ও মুখ ধোয়া
বাসায় ঢুকেই হাত কনুই পর্যন্ত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সাথে মুখমণ্ডলও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সম্ভব হলে বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে কারো সংস্পর্শে আসার আগে বাথরুমে গিয়ে গোসল করে ফেলতে হবে। পরিহিত পোশাকটিও সাবান-পানি দিয়ে ভিজিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৭. দ্রব্য জীবাণুমুক্ত করা
বাইরে থেকে যে পণ্যদ্রব্য কিনে আনা হবে সেগুলো অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করে তারপর সংরক্ষণ করতে হবে। জীবাণুমুক্ত করার ক্ষেত্রে শাকসবজি ও ফলমূল ভিনেগার মিশ্রিত বা লবণ পানিতে ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর সংরক্ষণ করা যাবে। বাজারের ব্যাগ বা অন্য প্যাকেট সাবান-পানি বা ডেটল-পানি নিয়ে স্প্রে করে বা কাপড় ভিজিয়ে সেটি দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। ওষুধের স্লিপ বা প্যাকেটগুলোও সাবান পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে।
৭. গরম পানির ভাপ নেয়া ও গারগেল করা
বর্তমান পরিস্থিতি খুব কাজে আসবে যদি কেউ বাইরে থেকে এসে ঘরে ঢুকে গরম পানির ভাপ নিতে হবে। কুসুম গরম পানিতে একটু লবণ দিয়ে ভালোভাবে গারগেল করতে হবে।
সূত্র : বিবিসি