পিতামাতার জন্য সবচেয়ে উত্তম দোয়া কোনটি?
পিতামাতার জন্য সবচেয়ে উত্তম দোয়া কোনটি? - সংগৃহীত
প্রশ্ন : মা-বাবা জীবিত বা মৃত থাকলে, তাদের জন্য সহিহ দোয়া কী কী আছে, যা সালাতে বা যেকোনো সময় ব্যবহার করে তাদের জন্য দোয়া করা যায়। অর্থাৎ একটি ওজিফা, যা দিয়ে প্রতিদিন মা-বাবার জন্য রুটিন করে দোয়া করব।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গির : রাব্বির হাম হুমা-কামা- রাব্বাইনী- সগির। এটিই পিতামাতার জন্য সবচেয়ে উত্তম দোয়া। সালাত এবং সালাতের বাইরে এই দোয়া আপনি সর্বদা করতে পারেন।
প্রশ্ন : নিম্নোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে একটু কনফিউশনে আছি। ১. কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত সব দোয়া রুকু, সিজদা ও শেষ বৈঠকে পড়া যাবে কি? রুকু-সিজদাতে কুরআনে বর্ণিত দোয়া করা যাবে না মর্মে কিছু আছে কি? ২. ওই সব অবস্থায় (রুকু, সিজদা, তাশাহুদ) দোয়া করার ক্ষেত্রে একই দোয়া একাধিকবার বা একাধিক দোয়া একই সিজদায় পড়া যাবে কি? ৩. রাহে বেলায়াতে বর্ণিত রুকু-সিজদাহর তাসবিহগুলো এক রুকু বা সিজদাতে একাধিক তাসবিহ পড়া যাবে কি? আর সাধারণত আমরা যেসব তাসবিহ (সুব.......আজিম, সুব.......আ’লা) পড়ে থাকি এই তাসবিহগুলো একেবারে না পড়ে শুধু অন্য তাসবিহ পড়াতে কোনো সমস্যা হবে? ৪. একই সিজদায় একই দোয়া একাধিকবার বা একাধিক দোয়া আমার যতক্ষণ খুশি ততক্ষণ পর্যন্ত সিজদায় থেকে করা যাবে কি? অর্থাৎ এমন কোনো বাধ্যবাধকতা কি আছে যে আমাকে ১০-১৫ বার এর বেশি দোয়া বা তাসবিহ পড়া ঠিক হবে না?
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গির : এক. জি, রুকু ও সাজাদতে কুরআন পড়া যাবে না। নিচের হাদিসটি দেখুন : হজরত আলী রা: বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে রুকু বা সিজদায় কুরআন পড়তে নিষেধ করেছেন। -সহিহ মুসলিম, হাদিস ৪৮০। তাই ফকিহগণ বলেছেন,রুকু-সিজদায় ইচ্ছাকৃত কুরআন পড়লে নামাজ মাকরূহ তাহরিমি হবে। তাই এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক। দুই : হ্যাঁ, যাবে। তিন : এই তাসবিহগুলোই রুকু সিজদাতে পাঠ করা উচিত। তবে অন্যগুলোও পড়লেও সমস্যা নেই। চার : না, কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
সূত্র : আস্ সুন্নাহ ট্রাস্ট
প্রশ্ন : গর্ভ অবস্থায় কোনো মহিলা অজু করলে (পানি স্পর্শ করলে) অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তা হলে তিনি কি তায়াম্মুম করতে পারবেন?
শায়খ আহমাদুল্লাহ : গর্ভাবস্থায় পানি স্পর্শ করলে যদি ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার ভয় থাকে তা হলে গরম পানি দিয়ে অজু করবে। আর যদি পানি (ঠাণ্ডা বা গরম যেমনই হোক) স্পর্শ করলেই অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তা হলে তিনি তায়াম্মুম করতে পারবেন। কারণ আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেন, যদি তোমরা পানি না পাও (বা পানি ব্যবহার করতে অপারগ হও) তাহলে তায়াম্মুম করো। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন সামান্য অজুহাতেই তায়াম্মুম না করি। পানি না পাওয়া বা পানি ব্যবহারে অপারগতার বিষয়টি ভালোভাবে নিশ্চিত হতে হবে।
প্রশ্ন : ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আমরা পর্দানশিন এবং বেপর্দা দুই ধরনের মহিলার দিকেই তাকিয়ে কথা বলি। এ বিষয়ে ইসলাম কী বলে?
শায়খ আহমাদুল্লাহ : কেনাবেচার জন্য মহিলাদের সাথে কথা বলতেই হবে। এ ক্ষেত্রে ক্রেতা পর্দানশিন বা বেপর্দা যেটাই হোক অবশ্যই আপনাকে যথাসাধ্য দৃষ্টি সংযত রাখতে হবে। ক্রেতার দিকে না তাকিয়ে কথা বলার কারণে অনেক সময় ক্রেতা ভাবতে পারে যে, আপনি (দোকানি) ক্রেতাকে অসম্মান বা অবজ্ঞা করছেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার আচরণ বা কথা দিয়ে বোঝাতে হবে যে, আপনি তাকে অবজ্ঞা বা অসম্মান করছেন না, বরং আপনি নিজের দৃষ্টিকে হেফাজত করতে তার দিকে তাকাচ্ছেন না। এতে আপনার সত্যি কারের খোদাভীতি দেখে ওই মহিলার মধ্যেও খোদাভীতি জন্মাতে পারে। আবার কখনো বেপর্দা মহিলা আপনার দোকান থেকে চলেও যেতে পারে। এরকম ব্যতিক্রম ঘটনাকে আপনি আল্লাহর জন্য কুরবানি করুন। এতে আল্লাহ আপনার ব্যবসায় অন্যভাবে বরকত দেবেন। ইনশা আল্লাহ।