যুক্তরাষ্ট্রের ভয়াল অবরোধ

জি. মুনীর | Apr 12, 2020 09:28 pm
ট্রাম্প

ট্রাম্প - সংগৃহীত

 

কোনো একটি দেশ এককভাবে অন্য কোনো এক বা একাধিক দেশের ওপর স্যাঙ্কশন তথা অর্থনৈতিক বা অন্য কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে না। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি পুরোপুরি অবৈধ ও অনৈতিক। জাতিসঙ্ঘ সনদ অনুযায়ী কোনো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার অধিকার রাখে একমাত্র জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। জাতিসঙ্ঘ সনদে কোনো দেশবিশেষকে সে ক্ষমতা বা বৈধতা দেয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে ইরান, উত্তর কোরিয়া, সুদান, কিউবা, ভেনিজুয়েলা, বেলারুশ, বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র, চীন, কমোরস, কঙ্গো, ইকুইটরিয়্যাল গিনি, ইরিত্রিয়া, ইরাক, লেবানন, লিবিয়া, মৌরিতানিয়া, মিয়ানমার, নিকারাগুয়া, পাপুয়া নিউগিনি, রাশিয়া, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, তুর্কমেনিস্তান, ইউক্রেন, ইয়েমেন ও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে।

এ দিকে গোটা মানব পরিবার আজ মোকাবেলা করছে করোনাভাইরাসের এক ভয়ানক পরিস্থিতি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এই ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যেও বদ্ধপরিকর এসব দেশের ওপর কয়েক দশকের নিষেধাজ্ঞা ব্যাপকভাবে অব্যাহত রাখতে। সে নিষেধাজ্ঞা এসব দেশে মানুষের দুর্ভোগ যতই বেড়ে চলুক, কিংবা মারা যাক অগণিত মানুষ- তাতে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু যায়-আসে না। এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে এক দিকে, অন্য দিকে চলবে সরকার বদলের প্রয়াসও।
ছলে-বলে-কৌশলে এবং প্রয়োজনে আরোপিত সশস্ত্র বিদ্রোহ ঘটিয়ে সেসব দেশে পুতুল সরকার বসাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন মরিয়া। এর বিপরীতে এসব দেশের মানুষও দৃঢ়প্রত্যয়ী তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র এককভাবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে শুধু জাতিসঙ্ঘ সনদই লঙ্ঘন করেনি, একই সাথে লঙ্ঘন করে চলেছে চতুর্থ জেনেভা কনভেনশন। এই কনভেনশন মতে, যৌথভাবে শাস্তিদান (কালেকটিভ পানিশমেন্ট) হচ্ছে একটি যুদ্ধাপরাধ। এর ৩৩ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে : ‘ঘড় ঢ়ৎড়ঃবপঃবফ ঢ়বৎংড়হ সধু নব ঢ়ঁহরংযবফ ভড়ৎ ধহ ড়ভভবহপব ঃযধঃ যব ড়ৎ ংযব ফরফ হড়ঃ ঢ়বৎংড়হধষষু পড়সসরঃ.’এর সার কথা হচ্ছে, কোনো সংরক্ষিত ব্যক্তিকে এমন কোনো অপরাধের জন্য শাস্তি দেয়া যাবে না, যে অপরাধ সে নারী বা পুরুষ ব্যক্তগতভাবে করেনি।

যুক্তরাষ্ট্র এখন যে নিষেধাজ্ঞা ইরানের ওপর জারি রেখেছে, তা নিশ্চিতভাবেই একটি ‘কালেকটিভ পানিশমেন্টেরই’ উদাহরণ। এর ফলে ইরানের সাধারণ নাগরিকদের স্বাস্থ্য-বিপর্যয়ের মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে। এসব নাগরিককে সরকারের অবলম্বিত কোনো নীতির জন্য কোনোভাবেই দায়ী করা যায় না। উইকিপিডিয়ার দেয়া তথ্যমতে- ‘ওষুধপত্র ও চিকিৎসা সরঞ্জাম কখনোই কোনো আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে না। কিন্তু ইরানে ক্যান্সার, হৃদরোগ, শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ, থেলাসেমিয়া ও মাল্টিপল স্কে¬রোসিস-সহ ৩০ ধরনের রোগের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ ও ওষুধ তৈরির উপাদানের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। কারণ ইরানকে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে না। তা ছাড়া সেখানে রয়েছে ৪০ হাজার হেমোফাইলিয়াক রোগী, যারা এন্টি-ক্লটিং ওষুধ ব্যবহার করতে পারছে না। এক হিসাব মতে, ২৩ হাজার ইরানি এইডস রোগে আক্রান্ত। এদের বাঁচিয়ে রাখার মতো ওষুধ ইরান আমদানি করতে পারছে না এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে।’

আমরা যদি বড় দাগে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রভাবের শিকার তিনটি দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় আনি, তবে দেখতে পাব কী করে করোনাভাইরাসজনিত সঙ্কটের সময়েও যুক্তরাষ্ট্র এই নিষেধাজ্ঞা জারি রেখে কতটুকু অমানবিক আচরণ করছে এসব দেশের নাগরিক সাধারণের সাথে। ইরান ১৯৮০ সাল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার শিকার একটি দেশ। এর কারণ ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ইচ্ছামতো সব নির্দেশনা মেনে চলতে অস্বীকার করে আসছে। দেশটি ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য সংগ্রামের পক্ষ নেয়। শুধু কথায় নয়, কাজের মধ্য দিয়ে ইরান তা প্রমাণ করে। এর ফলে ইরান হয়ে ওঠে পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেট। ইরান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, এই করোনাভাইরাস সঙ্কট যত জটিল আকারই ধারণ করুক, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সহায়তা গ্রহণ করবে না। তবে দেশটি আইএমএফের কাছে অর্থসহায়তা চেয়েছে। কিন্তু সূত্র মতে, যুক্তরাষ্ট্র তা বন্ধ করে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র অন্যায়ভাবে প্রবল প্রভাববলয় জারি রেখেছে এই আন্তর্জাতিক সংস্থাটির ওপর। তবে চীন ও কিছু ইউরোপীয় দেশ ইরানকে অর্থসহায়তা দিতে এগিয়ে এসেছে।

এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ইরানের নাগরিকদের সংগঠন হাত বাড়িয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজের অধিকতর গরিব অংশের প্রতি, যারা দুর্ভোগে আছে এই করোনাভাইরাসের সঙ্কট সময়ে। কিউবা আরেকটি দেশ যা, দীর্ঘকাল ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার শিকার- সেই ১৯৬১ সাল থেকে। প্রতি বছর জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল ছাড়া বাকি সব দেশই চায় কিউবার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া হোক। এর পরও এই করোনাভাইরাস মহামারীর প্রেক্ষাপটেও সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়নি। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে প্রাণ গেছে ১০ হাজার আমেরিকানের। উল্লেখ্য প্রয়োজন, কিউবা তার সীমিত সম্পদ নিয়ে বিশ্বের নানা অংশে করোনা সংক্রমিত অনেক দেশে অনেক দেশের চেয়ে বেশি সহায়তা দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার শিকার তৃতীয় আরেকটি দেশ ভেনিজুয়েলা, যেটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে। দেশটিকে এর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে গিয়ে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। ইরান ও কিউবার মতো যুক্তরাষ্ট্র শুধু নিষেধাজ্ঞাই আরোপ করেনি, ২০০২ সালের এপ্রিলে ভেনিজুয়েলার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজের বিরুদ্ধে একটি অভ্যুত্থান প্রয়াসও চালায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দেশটির জনতার কাছে সে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়। এই ২০২০ সালে করোনাভাইরাস সঙ্কট সময়ে এসেও দেশটির বিরুদ্ধে চলছে নানা মিথ্যা অপপ্রচার।
করোনাভাইরাস দমনে প্রয়োজন সমগ্র মানবজাতির ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। প্রয়োজন বৈশ্বিক সংহতি। ভূরাজনৈতিক পদবাচ্যে এখন প্রয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া। সেই সাথে বিশ্বের নানা অঞ্চলে চলা সশস্ত্র দ্বন্দ্ব যুদ্ধের অবসান ঘটানো। এ দাবি মানবিকতার, নৈতিকতার ও একই সাথে বৈধতারও।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখা রীতিমতো নিষ্ঠুরতা ও অমানবিকতা। আন্তর্জাতিকভাবেও অবৈধ ও অনৈতিক। করোনাভাইরাসের শিকার দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য প্রয়োজন ফেস-মাস্ক, রেসপিরেটর ও শ্বাস-প্রশ্বাস যন্ত্রের। এই ভয়ানক জরুরি পরিস্থিতিতে সমগ্র মানবজাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এই মহামারী থেকে বাঁচার জন্য। তাই আজকের এই সময়টা নিষেধাজ্ঞা জারি রাখার সময় নয়, সময় এখন সংহতি প্রকাশের। একে অন্যের পাশে এসে দাঁড়ানোর, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার। মানুষে মানুষে সংহতির উদাহরণ সৃষ্টির। এই সঙ্কট সময়ে আমরা সে উদাহরণ সৃষ্টি করতেও দেখছি। এই সংহতির উদাহরণ সৃষ্টি করার কথা যে বিশ্ব মোড়লদের, তারা সেখানে অনুপস্থিত। বরং তাদের মাথায় খেলছে কী করে নিষেধাজ্ঞার মাত্রা আরো বাড়িয়ে তোলা যায় এই মহামারীর সময়েও।

গত ১৪ মার্চ সিএনএন বিজনেসে প্রকাশিত একটি লেখা থেকে জানা যায়- চীনের কোটিপতি ব্যবসায়ী ও আলিবাবার সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মে বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে দান করবেন পাঁচ লাখ করোনাভাইরাস কিট ও ১০ লাখ ফেস-মাস্ক। জ্যাক মে গত ২ মার্চ জাপানকে দান করেছেন ১০ লাখ মাস্ক। একই সাথে তিনি চেষ্টা করছেন ইরানে ১০ লাখ মাস্ক পাঠানোর। উইবো পোস্ট এই খবর জানিয়েছে। তিনি ১১ মার্চের এক পোস্টে জানান, ১৮ লাখ মাস্ক ও এক লাখ টেস্টিং কিট যাবে ইউরোপে। এর প্রথম ব্যাচটি যাবে বেলজিয়ামে। তিনি আরো জানান, তিনি পরিকল্পনা করেছেন প্রবল ভাইরাসাক্রান্ত ইতালি ও স্পেনেও ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর। কিউবা ডাক্তার ও নার্স পাঠিয়েছে ইতালির করোনাভাইরাসাক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য। এ ছাড়া কিউবা ডাক্তার পাঠিয়েছে ভেনিজুয়েলা, নিকারাগুয়া, জ্যামাইকা, সুরিনাম ও গ্রানাডায়। গত ৩ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফ একটি চুক্তির কথা জানিয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে এই সংস্থা দু’টি একযোগে কাজ করবে করোনাভাইরাসবিরোধী অভিযানে। এই অভিযান চলবে ঐতিহাসিক ‘কোভিড-১৯ সলিডারিটি রেসপন্স ফান্ড’-এর মাধ্যমে। এতে তহবিল-সহযোগিতা দেবে ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশন ও সুইস ফিলানথ্রপি ফাউন্ডেশন। ‘কোভিড-১৯ সলিডারিটি রেসপন্স ফান্ড’ গঠন করা হয়েছে ‘ডব্লিউএইচও স্ট্র্যাটেজিক প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্ল্যান’-এর সহায়তায় অভূতপূর্বভাবে করোনাভাইরাসবিরোধী অভিযানে সাড়া দেয়ার জন্য। এই চুক্তির অংশ হিসেবে এই ফান্ডের প্রাথমিক একটি অংশ চলে যাবে ইউনিসেফে বিশ্বব্যাপী অরক্ষিত শিশুদের সুরক্ষার ব্যাপারে কাজ করার জন্য। বর্তমানে এই আংশিক তহবিলের পরিমাণ ১২ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

এ দিকে জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস যুদ্ধবিরতির একটি প্রশংসনীয় প্রস্তাব দিয়েছেন। গত ২৩ মার্চ তিনি বলেছেন, ‘আমাদের গোটা পৃথিবী এখন মুখোমুখি অভিন্ন শত্রু ‘কোভিড-১৯’-এর। এই ভাইরাস কোনো জাতি, নৃগোষ্ঠী কিংবা দল বা ধর্মগোষ্ঠী মানে না। এটি আক্রমণ করে সবার ওপর, অব্যাহতভাবে। এ দিকে বিশ্বব্যাপী চলছে সশস্ত্র দ্বন্দ্ব। এর ফলে সবচেয়ে বেশি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে নারী, শিশু, প্রতিবন্ধী, প্রান্তিক ও বাস্তুচ্যুত মানুষÑ এদেরই দিতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি মূল্য। এরা করোনাভাইরাসের শিকার হওয়ার বেলায়ও সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে। আমাদের ভুললে চলবে না, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে স্বাস্থ্য-ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। স্বাস্থ্যবিষয়ক পেশাজীবীদের সংখ্যাও এসব দেশে অনেক কম। তারাও প্রায়ই করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন। শরণার্থী ও অন্যান্য বাস্তুচ্যুত মানুষ সশস্ত্র দ্বন্দ্বের কারণে দ্বিগুণ ঝুঁকির মুখে। এই ভাইরাসের ক্রোধোন্মত্ততার এ সময়ে যুদ্ধ আসলে নির্বুদ্ধিতাকেই বড় করে তোলে। এ কারণে আজকের এই দিনে আমি আহ্বান রাখছি অবিলম্বে বিশ্বব্যাপী প্রতিটি এলাকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার। এখন সময় হচ্ছে সশস্ত্র-দ্বন্দ্ব লকডাউনের এবং একই সাথে আমাদের সবার জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় সত্যিকারের যুদ্ধে নামার।’

যতই ভয়ানক হোক এই করোনাভাইরাস মহামারী, এর পরও এ থেকে আমাদের কিছু শেখার আছে। করোনাভাইরাস আমাদের এমন এক অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছে, যেখান থেকে মানবজাতিকে এক সাথে কাজ করতে হবে আমাদের অভিন্ন সমস্যা সমাধানে। আমাদের অবশ্যই বাতিল করতে হবে যুদ্ধ আর সশস্ত্র দ্বন্দ্বের মতো নির্বুদ্ধিতা। এখন সময় অস্ত্রের পেছনে বিপুল অর্থ খরচ না করে, তা মানবজাতির কল্যাণে খরচ করা। এ সময়ে অভিযানে নামতে হবে অভিন্ন শত্রু করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে। এই মহামারীর পর নামতে হবে পৃথিবী পুনর্গঠনের কাজে। কেননা এই পৃথিবীকে করে তুলতে হবে টেকসই- পরিবেশগত ও সামাজিকভাবে।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us