আগামী সপ্তাহে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে যুক্তরাষ্ট্রে!

নিজস্ব প্রতিবেদক | Apr 12, 2020 04:16 pm
আগামী সপ্তাহে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে যুক্তরাষ্ট্রে!

আগামী সপ্তাহে ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে যুক্তরাষ্ট্রে! - সংগৃহীত

 

মৃত্যুমিছিল শেষ হচ্ছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। সব দেশকে ছাপিয়ে গেছে আমেরিকার করোনাভাইরাসে ‌মৃত্যুর হিসাব। ইউরোপে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি যে দেশে, সেই ইতালিকেও শনিবার সকালে ছাড়িয়ে গেছে তারা। নিউ ইয়র্কেই এই মুহূর্তে যতজন আক্রান্ত, সেটা বিশ্বের যেকোনো দেশের থেকে বেশি— ১.‌৭ লাখ। আর গোটা আমেরিকায় সংখ্যাটা ৫ লক্ষ ৩৯৯ জন!‌ বলছে জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির শুক্রবার রাতের পরিসংখ্যান।

বৃহস্পতি–শুক্রবারের ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১০৮ আক্রান্ত প্রাণ হারিয়েছেন। মোট মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ১৮,৬৭৯ জন। যেখানে ইতালিতে এখনও মারা গেছেন ১৮,৮৪৮ জন। এখানেই শেষ নয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুক্রবার দেশবাসীকে হুঁশিয়ার করেছেন, পরের সপ্তাহ আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। ‘‌টেরিব্‌ল টেরিব্‌ল উইক!‌’‌ বলেছেন ট্রাম্প। অবশ্য সে শঙ্কা আগেই ছিল। আমেরিকায় করোনা–‌প্রতিরোধে হোয়াইট হাউস যে টাস্ক ফোর্স গড়েছে, এই সপ্তাহের শুরুতে তাদের অনুমান ছিল, দু সপ্তাহে এক থেকে দু লক্ষ মার্কিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাবেন।

আমেরিকার জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান, ও দেশের ‘‌সার্জেন জেনারেল’‌ জেরোম অ্যাডামস শুক্রবার বলেছেন, ৯/‌১১ নাশকতা এবং পার্ল হারবার আক্রান্ত হওয়া— মার্কিন ইতিহাসের দুই ঐতিহাসিক ক্ষতির মুহূর্তের যুগ্ম সমাপতন হতে যাচ্ছে আগামী সপ্তাহে।

লকডাউন বাড়িয়েছে ইতালি

লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল ইতালিতে। ইতালিতে মৃত প্রায় ১৯ হাজার। শনিবার পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৮,৮৪৯ জনের। আক্রান্ত ১৪৭,৫৭৭। সংক্রমণ কমাতে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন চালু রাখার ঘোষণা করেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ্পে কোঁতে। সরকারের বক্তব্য, লকডাউনেই সংক্রমণ একটু একটু করে কমছে।

স্পেনে এখন পর্যন্ত মৃত ১৬,৩৫৩। আক্রান্ত ১,৬১,৮৫২। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদের দক্ষিণের শহরতলি তোমেলসো। ৩৬,০০০ মানুষ বসবাস করেন সাজানো–গোছানো ওই শহরতলিতে। অন্য সময় সেখানে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। এখন করোনার দাপটে গোটা এলাকা নিস্তব্ধ। লোকজনের দেখা নেই। অভাব ডাক্তারের। শহরতলির হাসপাতালে করোনা রোগীদের ভিড়। তাদের চিকিৎসা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন ডাক্তার, নার্সরা। সংক্রমণ এখনো অব্যাহত সেখানে। মার্চ মাসেই করোনা সংক্রমণে এই শহরতলিতে ১০৪ জন মারা গেছেন। মৃতদের অন্তিম যাত্রায় যেতে পারছেন না তাদের পরিবারের লোকজন। মৃতদেহ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় প্রত্যেকেই। তোমলসোর এই ছবিই এখন স্পেন জুড়ে।

ফ্রান্সও বেহাল। ফ্রান্সে ১৩,১৯৭ জন মৃত। আক্রান্ত ১,২৪,৮৬৯।

সূত্র : আজকাল


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us