যুক্তরাষ্ট্র ব্যস্ত করোনা নিয়ে, সুযোগ পেয়ে সাগরে চীনের আধিপত্য
সুযোগ পেয়ে সাগরে চীনের আধিপত্য - সংগৃহীত
সারা দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে নাস্তানাবুদ আমেরিকা। মোকাবিলা করতে দিশাহারা ট্রাম্প সরকার ওষুধ চেয়ে আগে ভারতকে অনুরোধ তারপর হুমকি দিয়েছে। এমনকি প্রশান্ত মহাসাগরের উপর মোতায়েন তাদের যুদ্ধবিমানেও কোভিড–১৯–এর সংক্রমণ আরও উদ্বেগ বাড়িয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের। আর এই ফাঁকেই দক্ষিণ চীন সাগরে নিজেদের উপস্থিতি আরও জোরদার করছে চীন।
গত সপ্তাহেই চীন সেনার ওয়েবসাইটে তারা লিখেছে, দক্ষিণ চীন সাগরে তাদের নৌবাহিনীর বড় ধরনের মহড়া চলছে। মহড়া চলাকালীন ভিয়েৎনামের একটা মৎস্যজীবীদের নৌকা ডুবে গিয়েছে। এমনকি করোনাভাইরাসের প্রথম উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ফের সামরিক সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় উৎপাদন অনেকাংশে বাড়ানো হয়েছে।
দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের এই সামরিক মহড়ার খবর তখনই সামনে আসে যখন মার্কিন যুদ্ধবিমান ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্ট ওই অঞ্চলের উপর দিয়ে গুয়ামে উড়ে যায়। ওই বিমানে ১৭০ জন কোভিড–১৯ আক্রান্ত। রুজভেল্টের কমান্ডার ক্যাপ্টেন ব্রেট ক্রোজিয়ের তার সহকর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অবিলম্বে মার্কিন সরকার পদক্ষেপ করতে বলে চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরই তাকে বরখাস্ত করা হয়। মার্কিন নৌবাহিনীর অনেকেই কোভিড–১৯ আক্রান্ত। এপর্যন্ত শুধু মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরেই ১৫০০ জনের বেশি কোভিড–১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছেন। সংক্রমণ রুখতে এত দিনে পদক্ষেপ করেছে পেন্টাগন। বাহিনীর স্থান পরিবর্তন, বদলি, নিয়োগ বা প্রশিক্ষণ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।
সূত্র : আজকাল
কাশ্মির নিয়ে ভারতের নতুন আইন প্রত্যাখ্যান ওআইসির
আনাদোলু এজেন্সি
ভারত সরকারের নতুন স্থায়ী বাসিন্দা আইন ‘জম্মু ও কাশ্মির পুনর্গঠন আদেশ, ২০২০’-এর নিন্দা জানিয়েছে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। আইনটিকে ‘অবৈধ’ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে মুসলিম দেশগুলোর এ সংস্থাটি।
ওআইসির স্বতন্ত্র স্থায়ী মানবাধিকার কমিশন (আইপিএইচআরসি) একটি টুইটে বলেছে, তারা ভারত সরকারের এই নতুন আইন প্রণয়নের নিন্দা জানাচ্ছে। আইটির মাধ্যমে অধিকৃত কাশ্মিরের ‘জনমিতিক ও ভৌগোলিক’ অবস্থান পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছে।
এটিকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল ও ওআইসির প্রস্তাবের লঙ্ঘন উল্লেখ করে ভারতকে এই অঞ্চলে আরোপিত ‘কঠোর আইন’ বাতিল ও মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করার আহ্বান জানায়।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে গভীর রাতে একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। তাতে কাশ্মিদের বাসিন্দাদের নতুন পরিচয় দেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যারা জম্মু-কাশ্মিরে ১৫ বছর ধরে বসবাস করছেন বা সাত বছর সেখানে পড়াশোনা করে সেখান থেকেই দশম বা দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়েছেন, তারাই কেবল স্থায়ী বাসিন্দার (ডোমিসাইল) সনদ পেতে পারেন। কেন্দ্রীয় সরকার, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি গবেষণাগারের যেসব কর্মী জম্মু-কাশ্মিরে কাজ করেছেন, তাদের সন্তানরাও এ সুযোগ পাবেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, শুধু এই স্থায়ী বাসিন্দারাই জম্মু-কাশ্মির সরকারের নন-গেজেটেড স্তরের লেভেল ফোর পর্যন্ত সব পদে আবেদন করতে পারবেন। লেভেল ফোরের পদের মধ্যে আছে কনস্টেবল, জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট।
জম্মু-কাশ্মির সরকারের বাকি পদগুলোর জন্য সব ভারতীয় নাগরিকই আবেদন করতে পারবেন বলে নতুন এ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। এতে মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ হিমালয় অঞ্চলটির জনমিতির অবস্থান বদলে যাবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
অর্থাৎ রাজ্যটি আর মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ না থাকতে পারে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও এই নতুন আইনটিকে ‘সব আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।