প্রেম করে বিয়ে, ৫১ বছরের দাম্পত্য জীবন, মৃত্যু ৬ মিনিটের ব্যবধানে

নিজস্ব প্রতিবেদক | Apr 06, 2020 04:20 pm
প্রেম করে বিয়ে, ৫১ বছরের দাম্পত্য জীবন, মৃত্যু ৬ মিনিটের ব্যবধানে

প্রেম করে বিয়ে, ৫১ বছরের দাম্পত্য জীবন, মৃত্যু ৬ মিনিটের ব্যবধানে - সংগৃহীত

 

তারা দীর্ঘ দিন প্রেম করেছিলেন। একে অপরকে জেনেছিলেন, চিনেছিলেন। বুঝতে পেরেছিলেন যে তাদের একজন আরেকজন ছাড়া চলবে না। কাজেই তারা সিদ্ধান্ত নিলেন বিয়ে করবেন। বিয়ের পর একসঙ্গে কেটে গেছে ৫১ বছর। ঝগড়াঝাটি, মন কষাকষি হয়েছে তবে দাম্পত্যে ছেদ পড়েনি। কিন্তু করোনা ভাইরাস সেই সম্পর্কে কাটল ছেদ। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হলো না। স্বামীর মৃত্যুর মাত্র ৬ মিনিটের মধ্যে প্রাণ হারালেন স্ত্রীও। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সমীকরণের কথা ভাগ করে নেন দম্পতির ছেলে। ওই কাহিনি শুনে চোখে পানি নেটিজেনদের।

তারা দীর্ঘ দিন প্রেম করেছিলেন। একে অপরকে জেনেছিলেন, চিনেছিলেন। বুঝতে পেরেছিলেন যে তাদের একজন আরেকজন ছাড়া চলবে না। কাজেই তারা সিদ্ধান্ত নিলেন বিয়ে করবেন। বিয়ের পর একসঙ্গে কেটে গেছে ৫১ বছর। ঝগড়াঝাটি, মন কষাকষি হয়েছে তবে দাম্পত্যে ছেদ পড়েনি। কিন্তু করোনা ভাইরাস সেই সম্পর্কে কাটল ছেদ। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হলো না। স্বামীর মৃত্যুর মাত্র ৬ মিনিটের মধ্যে প্রাণ হারালেন স্ত্রীও। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সমীকরণের কথা ভাগ করে নেন দম্পতির ছেলে। ওই কাহিনি শুনে চোখে পানি নেটিজেনদের।

ফ্লোরিডার বাসিন্দা বছর চুয়াত্তরের স্টুয়ার্ট বেকার এবং বাহাত্তর বছর বয়সী আন্দ্রিয়ান বেকারের একমাত্র ছেলে সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেন। ওই দম্পতির ছেলে ভিডিওর মাধ্যমে বাবা-মায়ের জীবনের শেষ দিন কটার কথা উল্লেখ করেছেন।

বাড্ডি বেকার জানান, “বেশ কয়েক দিন আগে থেকেই তার বাবার জ্বর আসছিল। ওষুধপত্র খাচ্ছিলেন তিনি। ভেবেছিলেন সুস্থ হয়ে যাবেন। মা প্রতি মুহূর্তে বাবার খেয়াল রাখছিলেন। তারপর এক দিন বাবার অতিরিক্ত জ্বর আসে। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এক দিন আচমকা ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফোন আসে। জানতে পারি বাবার শরীরে বাসা বেঁধেছে মারণ করোনা ভাইরাস। মা তখন সুস্থই ছিলেন। তবু সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যায়, মায়ের শরীরেও অক্সিজেনের মাত্রা কম। তাই তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।”

বাড্ডি আরো বলেন, “বাবার অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছিল। মা-বাবা দুজনে কাউকে ছেড়ে থাকতে চাইছিলেন না। তাই ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা সিদ্ধান্ত নিই তাদের একসঙ্গে রাখব। একই কেবিনে দুটি আলাদা বেডে তাদের রাখা হয়। এক দিন হাসপাতাল থেকে জানানো হয় বাবা মারা গেছেন। সেই শোক সামলে উঠতে পারিনি তখনো তার মাঝেই শুনি মাও মারা গেছেন।”

বয়স বেড়েছিল। তবে বেঁচে থাকাকালীন কোনো অশান্তিই বেকার দম্পতির জীবনে ছেদ কাটতে পারেনি। পরিবর্তে একসঙ্গে হাতে হাত রেখে জীবনের সুখ, দুঃখ ভাগ করে নিয়েছিলেন তারা। মৃত্যুও আলাদা করতে পারল না তাদের।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

 


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us