জাপান ফ্লাইট থেকে ফিরেই পাইলট কেবিন ক্রুরা হোম কোয়ারেন্টিনে
জাপান ফ্লাইট থেকে ফিরেই পাইলট কেবিন ক্রুরা হোম কোয়ারেন্টিনে - সংগৃহীত
জাপানের নাগরিকদের নিজ দেশে পৌঁছে দিয়ে দেশে ফিরে আসার পরই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট, কেবিন ক্রু ও গ্রাউন্ড সার্ভিস মিলিয়ে মোট ২২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হেলথ ডেস্কে প্রত্যেককে নির্ধারিত ফরম পূরণ করতে দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ১০টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি (বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর) চার্টার্ড ফ্লাইট ৩২৭ জন জাপানি নাগরিককে নিয়ে নারিতা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্য হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। ফিরতি ফেরি ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় নিরাপদে অবতরণ করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চিফ অব টেকনিক্যাল এবং চিফ অব ক্রু শিডিউলিং ক্যাপ্টেন মাহাতাবের নেতৃত্বে ওই ফ্লাইটে পাইলট হিসেবে আরো ছিলেন ক্যাপ্টেন মাকসুদ এবং ক্যাপ্টেন এস (শাহাদাত) হোসেন। আর ফাস্ট অফিসার ছিলেন মো: বশির। ওই ফ্লাইটে চিফ পার্সারসহ কেবিন ক্রু ছিলেন ১৪ জন।
এ প্রসঙ্গে জানতে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর বিমান বাংলাদেশ এযারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা তাহেরা খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোন ধরেননি।
বিমানের বলাকা ভবন সূত্রে জানা গেছে, জাপান থেকে দেশে ফেরা বিমানের ফেরি ফ্লাইটের চারজন পাইলট, ১৪ জন কেবিন ক্রু ছাড়াও গ্রাউন্ড সার্ভিসে ট্রাফিকের একজন, ফ্লাইট অপারেশনের একজন এবং প্রকৌশল বিভাগের দুইজনসহ ২২ জন ছিলেন। তাদের সবাইকে বিমানবন্দর থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনালের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল আহসান নয়া দিগন্তকে বলেন, বিমানের চার্টার্ড ফ্লাইট থেকে ফেরা পাইলট এবং কেবিন ক্রুদের আমাদের বিমানবন্দর হেলথ ডেস্ক থেকে যে হেলথ ডিসপোজাল দিয়েছে, সেই মোতাবেক তারা হোম কোয়ারেন্টিনে চলে গেছেন বা অন্য কোনো ডিসপোজালও হতে পারে। তবে এটা আমি সিউর না। তবে নিয়ম অনুযায়ী হোম কোয়ারেন্টিনই হওয়ার কথা। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে প্যাসেঞ্জার যারা আসেন অন্য কোনো সমস্যা না থাকলে তাদের তো হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। সেই সূত্রে পাইলট কেবিন ক্রুদেরও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হবে।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাপান দূতাবাসের সরবরাহ করা তথ্য মতে, দেশে ফেরা জাপানি নাগরিকদের বেশির ভাগই দেশটির অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেলসহ বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের কর্মকর্তা। তারা প্রত্যেকেই ছুটি চেয়েছেন, যা জাপান সরকার অনুমোদন করেছে এবং তাদের জরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নিতে উড়োজাহাজ ভাড়া করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার বিশেষ ফ্লাইটে কূটনীতিকসহ ২৬৯ মার্কিন নাগরিকও দেশে ফিরে যান।