এমন কাজ আর করবেন না ডিএসসিসি কর্মকর্তা!
এমন কাজ আর করবেন না ডিএসসিসি কর্মকর্তা! - সংগৃহীত
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সাধারণ ছুটির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বন্ধ হয়ে গেছে আয়ের পথ। এ অবস্থায় নগরীর কর্মহীন, ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে অর্থ বিতরণ করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো: ইমদাদুল হক। বিতরণকালে মানুষের ভিড়ে হিমশিম খেয়ে একপর্যায়ে ১০০ টাকার বান্ডেল ছিটিয়ে দেন তিনি। তখন নোটগুলো কুড়িয়ে নিতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। এমন কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এতে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছেন ওই কর্মকর্তা। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, একটি কালো রঙের গাড়ির ভেতর থেকে কেউ একজন টাকা বিলাচ্ছেন। খেটে খাওয়া ও দরিদ্র শ্রেণীর অনেক মানুষ সেই গাড়ির জানালা দিয়ে টাকা নেয়ার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন।
আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, মাটিতে অনেক টাকা ফেলা হয়েছে। হতদরিদ্র সেসব মানুষ ওই টাকাগুলো কুড়িয়ে নিচ্ছেন। ফেসবুকে এই ছবিগুলো শেয়ার করে অনেকে লিখেছেন, ত্রাণ বিতরণের নামে এমন আচরণ নাগরিকদের সাথে তামাশা। এ আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তবে এ ঘটনাকে পরিস্থিতির শিকার বলে জানিয়েছেন ডিএসসিসির ওই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। শাহ ইমদাদুল হক গতকাল নয়া দিগন্তকে বলেন, আমরা সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ চাল, তেলসহ বিভিন্ন সামগ্রী দরিদ্র, অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করছি। গত মঙ্গলবার সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও ঢাকা কলেজ এলাকায় আমি আমার নিজের উদ্যোগে অসহায় দরিদ্র মানুষের মধ্যে ১০ হাজার টাকা বিতরণ করি। সব ছিল ১০০ টাকার নোট। প্রথমে আট হাজার টাকা বিতরণ করতে কোনো সমস্যা হয়নি; কিন্তু ক্রমেই মানুষের ভিড় বাড়তে থাকলে আমি পুলিশের সহায়তা নিই। সে সময় আট-নয়জন পুলিশ সদস্য আমাকে সহযোগিতা করেন। কিন্তু মানুষের ভিড় এত বেশি ছিল যে, তারাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না।
একযোগে অনেক মানুষ আমার গাড়ির মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দেয়। পরে উপায় না পেয়ে দুই হাজার টাকা তাদের মধ্যে ছেড়ে দিই। না হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ইমদাদুল হক বলেন, মূলত দরিদ্র মানুষকে সহায়তা করতেই গিয়েছিলাম। ভালো কাজ করতে গিয়েও শেষের অংশের কারণে দুর্নামের ভাগি হতে হলো। এতে এখন আমি নিরুসাহিত হয়ে এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া থেকে বিরত রয়েছি।