করোনাভাইরাস : অতি জরুরি কিছু তথ্য
করোনাভাইরাস : অতি জরুরি কিছু তথ্য - সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে করোনাভাইরাস। এই প্রেক্ষাপটে কনফেডারেশন অব মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনস অব এশিয়া অ্যান্ড ওশিয়ানিয়া এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া কিছু তথ্য এখানে দেয়া হলো।
করোনাভাইরাস : আতঙ্কিত হবেন না
সাত ধরনের করোনা ভাইরাসের মধ্যে এবারের ‘কোভিড ১৯’-এ মৃত্যুহার তুলনায় অনেক কম। মাত্র ৩.৪ শতাংশ।
২০০২-০৩ সালের সার্স করোনা ভাইরাসে মৃত্যুহার ছিল বেশ বেশি—১০ শতাংশ।
২০১২ সালের মার্স করোনা ভাইরাসে মৃত্যুহার ছিল ৩৪ শতাংশ।
মারণ ভাইরাস ইবোলার মৃত্যুহার অনেকটাই বেশি ৫০ শতাংশ।
আমরা হয়ত জানি না, গুটিবসন্তের মৃত্যুহার ছিল করোনার অনেক বেশি—৩০-৪০ শতাংশ।
উন্নয়নশীল দেশে হামে মৃত্যুহার ১০-১৫ শতাংশ।
বাচ্চাদের মধ্যে পোলিও সংক্রমণে মৃত্যু হয় ২-৫ শতাংশের। বড়দের হলে তা বেড়ে হয় ১৫-৩০ শতাংশ।
ডিপথেরিয়াতেও মৃত্যুহার করোনার তুলনায় বেশি— ৫-১০ শতাংশ।
এও জেনে রাখা ভালো সারা পৃথিবীতে বছরে বিভিন্ন ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লুতে মারা যান ২.৯ লাখ থেকে ৬.৫ লাখ মানুষ। সেখানে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে সারা পৃথিবীর ছয় হাজারের বেশিজনের।
তাই অহেতুক আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সতর্ক থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
করোনা : কতগুলো জরুরি তথ্য
সব বয়সীদেরই এই রোগ হতে পারে।
৩০ থেকে ৭৯ বছর বয়সীদের মধ্যেই আক্রান্ত বেশি— ৮৭ শতাংশ।
২০ বছরের নিচে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১০ শতাংশ।
দেখা গেছে আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫৬ শতাংশ। বাকিরা মহিলা।
পুরুষ ও নারীর মৃত্যুহার ২.৮ এবং ১.৭।
গড় মৃত্যুহার ৩.৪ শতাংশ।
আগের রোগ থাকলে মৃত্যুহার বেড়ে যায় ৭১ শতাংশ ক্ষেত্রে।
স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ (চীনে) ৩.৮ শতাংশ। মৃত্যুহার ০.৩ শতাংশ।
করোনা : কাদের মৃত্যুঝুঁকি বেশি?
যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। যেমন সুগার, হার্ট, প্রেসার, কিডনির অসুখ ইত্যাদি বিভিন্ন রোগে ইতিমধ্যেই যারা ভুগছেন।
এদের মধ্যে হার্টের শিরা-ধমনীর অসুখে ভুগলে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি—১০.৫ শতাংশ।
সুগারে ভুগলে—৭.৩ শতাংশ।
হাঁপানিতে ভুগলে—৬.৩ শতাংশ।
প্রেসারে ভুগলে—৬ শতাংশ।
ক্যান্সারে ভুগলে—৫.৬ শতাংশ।
আগে থেকে কোনো রোগ না থাকলে মৃত্যুহার ০.৯ শতাংশ (১০০ জনে একজনও নয়)।
মৃত্যুহার শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে—শূন্য।
১০-১৯ বছর— ০.২ শতাংশ।
২০-২৯ বছর— ০.২ শতাংশ।
৩০-৩৯ বছর— ০.২ শতাংশ।
৪০-৫০ বছর— ০.৪ শতাংশ।
৫০-৫৯ বছর— ১ শতাংশের একটু বেশি।
৬০-৬৯ বছর— ৫ শতাংশ।
৭০-৭৯ বছর— ৮ শতাংশ।
৮০’র বেশি— ১৫ শতাংশ।
এছাড়া যাদের হাঁপানি, ফুসফুসের অন্যান্য রোগ রয়েছে।
যারা হাঁটলে শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ চার শতাংশ কমে যায়, তাদের আর পাঁচজনের থেকে করোনায় মৃত্যুঝুঁকি বেশি।
সূত্র : বর্তমান