বিপুল ক্ষমতার অধিকারী এই ট্যাঙ্ক!

মার্ক ১-এ ‘হান্টার কিলার’ - সংগৃহীত
অনেক বিলম্ব ও ব্যাপক পরীক্ষার পর ভারতীয় সেনাবাহিনী অবশেষে দেশে তৈরী ১১৮টি অর্জুন মার্ক ১-এ ‘হান্টার কিলার’-এর অর্ডার দিতে যাচ্ছে। এগুলো সব আবহাওয়ায় ব্যবহার করা সম্ভব এবং অর্জুন প্রধান ব্যাটল ট্যাংকের চেয়ে গোলাবর্ষণ ও স্থিতিশীলতায় অনেক ভালো।
সেনাবাহিনী সূত্র দি প্রিন্টকে বলেন, মার্ক ১-এ সব পরীক্ষায় পাস করেছে এবং এর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশনের সাথে দামও চূড়ান্ত হয়েছে। ৬৮ টনের ওজনবিশিষ্ট এই ট্যাঙ্কের প্রধান বন্দুটি ১২০এমএমের। সূত্রটি আরো জানায়, সেনাবাহিনী শিগগিরই এসব ট্যাঙ্কের অর্ডার দিতে যাচ্ছে।
এটি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গ্যানাইজেশনের গবেষণাগার চেন্নাইভিত্তিক কমব্যাট ভেহিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্টের (সিভিআরডিই) জন্য একটি খুবই ভালো খবর।
ব্যাপক অগ্রগতি
ভারতীয় সেনাবাহিনীর চাহিদা অনুযায়ী এই ট্যাঙ্কের ১৪টি বিষয়ে ব্যাপক উন্নতি করা হয়। এর ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে এটিই হবে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ও আত্মরক্ষামূলক ট্যাঙ্ক। এ কথা দি প্রিন্টকে জানিয়েছেন সিভিআরডিইর পরিচালক ভি বালামুরাগান।
তিনি বলেন, অর্ডার দেয়ার পর প্রথম ট্যাঙ্কটি ৩০ মাসের মধ্যে হস্তান্তর করা যাবে।
তিনি বলেন, ট্যাঙ্কটির গোলাবর্ষণ ক্ষমতায় চারটি হালনাগাদ করা হয়েছে। তাছাড়া এর ট্রান্সমিশন সিস্টেমেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
মার্ক ১-এ-এর মধ্যে লক্ষ্য পর্যবেক্ষণ করা, স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্তকরণ ব্যবস্থাতেও অগ্রগতি হাসিল করা হয়েছে। এর ফলে ট্যাঙ্কটির ক্রুরা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই টার্গেট শনাক্ত করতে পারবে, এমনকি ট্যাঙ্কটি যখন চলতে থাকবে, তখনো হামলায় নিয়োজিত থাকতে পারবে।
অর্জুন মার্ক-১এ কম্পিউটারে সমন্বিত গোলাবর্ষণ নিয়ন্ত্রণ সিস্টেমসজ্জিত। এর ফলে প্রথমেই গোলাবর্ষণ করার সক্ষমতা দিয়েছে এই ট্যাঙ্ককে। দিনের পাশাপাশি রাতেও এই ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা সম্ভব।
দি প্রিন্ট
হাইপারসোনিক অস্ত্র উৎপাদনের পরিকল্পনা জাপানের
ইয়াহু নিউজ
নিজস্ব প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক হাইপারসনিক অস্ত্র উৎপাদনের রূপকল্প প্রণয়ন ও উন্নয়নের জন্য গবেষণায় অগ্রগতি করছে জাপান। এই পদক্ষেপই নিশ্চিত করে যে দেশটি সামরিক সামর্থ্য আরো বৃদ্ধি করতে চাইছে। ভবিষ্যতে নতুন আরো কী ধরনের হুমকি আসতে পারে তা চিন্তাভাবনা করছে দেশটি। সম্ভাব্য নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলার উপায়ের বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় আরো সমৃদ্ধ অস্ত্র ভাণ্ডার গড়ে তুলতে চাইছে তারা।
প্রযুক্তি ও লজিস্টিকস এজেন্সির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত জাপানি ভাষায় লিখিত একটি নথিতে দেশটির সরকার বলেছে, হাইপারসোনিক ক্রুজ মিসাইল (এইচসিএম) এবং হাইপার ভেলোসিটি গ্লাইডিং প্রজেক্টাইল (এইচভিজিপি) এই দুই ধরনের অত্যাধুনিক হাইপারসোনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
এইচসিএম এমন একটি ব্যবস্থা যেটি স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন দ্বারা চালিত হবে এবং এটি একটি সাধারণ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো দেখাবে। তবে এটি অনেক বেশি দ্রুত গতিতে সমুদ্রে চলাচল করতে পারবে এবং দীর্ঘ পরিসরে ভ্রমণ করতে সক্ষম হবে। অন্য দিকে এইচভিজিপিতে সম্পূর্ণ কঠিন জ্বালানি শক্তি নির্ভর রকেট ইঞ্জিন থাকবে, যা বেশি উচ্চতায় ধারাবাহিকভাবে ওজন বহনের ক্ষমতা ও মিসাইল নিক্ষেপের সময় তার গতি স্বয়ংক্রিয়ভাবেও বাড়িয়ে দেবে।
জাপানের রূপকল্পে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২৪ সাল থেকে ২০২৮ সালের সীমার মধ্যে উভয়ের প্রাথমিক সংস্করণ মাঠে আনার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি, বহন ও নিক্ষেপের জন্য সর্বাধুনিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নে দেশটি এর নকশা তৈরি করেছে এবং কঠিন জ্বালানি ইঞ্জিন প্রযুক্তি বিকাশের ক্ষেত্রে একটি পদ্ধতি গ্রহণ করছে। তারা ২০৩০-এর দশকের গোড়ার দিকে এসব পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জাপান বেশ কয়েক বছর ধরে হাইপারসোনিক অস্ত্র সম্পর্কিত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
তবে বেশ কিছু জায়গাতে হাইপারসোনিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জনের ক্ষেত্রে আরো অনেক কাজ বাকি রয়েছে জাপানের।