করোনার ছোবলে বিপর্যয়ে বিমানশিল্প
করোনার ছোবলে বিপর্যয়ে বিমানশিল্প - সংগৃহীত
নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে গোটা বিশ্বে অ্যাভিয়েশন খাতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কোভিড-১৯-এর সংক্রামণ রোধে প্রায় সব দেশে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে এয়ারলাইনগুলো। একই সাথে বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা ও যাত্রীসঙ্কটের কারণে ফ্লাইটের সংখ্যাও কমাচ্ছে এয়ারলাইনগুলো। পরিস্থিতি চলমান থাকায় আর্থিক সঙ্কটে পড়াসহ আরো নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করছেন এই খাত সংশ্লিষ্টরা।
নাইন ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলার পরও এত কঠিন সঙ্কটে পড়তে হয়নি যেমনটি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের শীর্ষ এয়ারলাইনগুলোতে পড়তে হয়েছে। ডেল্টা এয়ারলাইন্স বলছেÑ এর আগে কখনো এমন যাত্রী খরা তারা দেখেননি। কোম্পানির সিইও এড বাসটিয়ান তার কর্মচারীদের কাছে লিখিত পত্রে বলেছেন, ব্যবসা সক্ষমতার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে হচ্ছে। যা ডেল্টা এয়ারলাইন্সের ইতিহাসে এর আগে কখনো ঘটেনি। পরিস্থিতি দিনকে দিন আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। বাসটিয়ান স্বীকার করেন, গত ছয় মাস ধরে তিনি বেতন নিচ্ছেন না। কোম্পানির মূলধন বাঁচাতেই এ ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। এ পর্যন্ত ৩০০ পার্কিং বাতিল করতে হয়েছে ডেল্টার। তবে এখন পর্যন্ত ছাঁটাইয়ের কোনো আশঙ্কা দেখছেন না তিনি।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোশিয়েশন বলছে, আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনগুলো ইতোমধ্যে ১১৩ বিলিয়ন ডলার (১০ লাখ কোটি টাকা প্রায়) লোকসান গুনেছে। চীন ও ইতালির সাথে ফ্লাইট বাতিলে ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রুজ বলেছেন, পরিস্থিতির কারণেই তারা লোকবল ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছেন এবং তা স্বল্পমেয়াদি না দীর্ঘমেয়াদি তা-ও পরিষ্কারভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আলেকজান্ডার ডি জুনিয়াক বলেন, যাত্রী না থাকায় প্রচণ্ড নগদ-সঙ্কটে পড়তে হয়েছে এয়ারলাইনগুলোকে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এয়ারলাইন্স পরিবহনে যাত্রীর সংখ্যা এতটাই কমে গেছে যে, অর্ধেক ভাড়ায় যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইন্স বলছে, করোনাভাইরাস নিয়ে চলমান পরিস্থিতির কারণে তাদের চার হাজার ফ্লাইট বাতিল করতে হচ্ছে এবং কর্মীদের প্রায় অর্ধেককে সাময়িকভাবে কাজে না আসার জন্য বলা হচ্ছে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইন্সের মতো সমস্যায় পড়তে হয়েছে বিশ্বের আরো অনেক এয়ারলাইনকে।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপ থেকে ৩০ দিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আর এতেই বড় ধাক্কা খেয়েছে নরওয়েজিয়ান এয়ার। আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে স্বল্প খরচে ইউরোপ-আমেরিকা যাতায়াতে এই নরওয়েজিয়ান এয়ারই ছিল অনেকের ভরসা।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, দূরের বিভিন্ন দেশে তাদের যত ফ্লাইট ছিল মে মাসের শেষ পর্যন্ত তার প্রায় ৪০ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়া নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইন্স বর্তমান পরিস্থিতির জন্য করোনাভাইরাসকেই দুষছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাজি জ্যাকব স্খার্ম বৃহস্পতিবার বলেছেন, খরচ কমানোর যত উপায় আছে সব আমাদের দেখতে হবে। শুনতে খারাপ লাগলেও তারই অংশ হিসেবে আমাদের ৫০ শতাংশ কর্মীকে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রাখতে হবে, এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এ প্রতিষ্ঠানের কাজ করেন প্রায় ১১ হাজার কর্মী। ইতোমধ্যে পর্যটক আগমন বন্ধ করে দিয়েছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ। এর ফলে ৩০ শতাংশের বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে বিভিন্ন দেশের সরকারি, বেসরকারি বিমান সংস্থা।
২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সঙ্কটের সময় বিমানশিল্পে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছিল এবার তা-ও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। কর্তৃপক্ষ নাটকীয়ভাবে প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধিতে আসল ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমান দাঁড় করাতে পারছে না। তারা জানায়, খুব শিগগিরই যদি ভাইরাসটি দমন করা না যায় তবে এয়ারলাইনস তাদের ১৯ শতাংশ ব্যবসা হারাতে পারে
নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে গোটা বিশ্বে অ্যাভিয়েশন খাতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। কোভিড-১৯-এর সংক্রামণ রোধে প্রায় সব দেশে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে এয়ারলাইনগুলো। একই সাথে বিভিন্ন দেশের নিষেধাজ্ঞা ও যাত্রীসঙ্কটের কারণে ফ্লাইটের সংখ্যাও কমাচ্ছে এয়ারলাইনগুলো। পরিস্থিতি চলমান থাকায় আর্থিক সঙ্কটে পড়াসহ আরো নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করছেন এই খাত সংশ্লিষ্টরা।
নাইন ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলার পরও এত কঠিন সঙ্কটে পড়তে হয়নি যেমনটি করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বের শীর্ষ এয়ারলাইনগুলোতে পড়তে হয়েছে। ডেল্টা এয়ারলাইন্স বলছেÑ এর আগে কখনো এমন যাত্রী খরা তারা দেখেননি। কোম্পানির সিইও এড বাসটিয়ান তার কর্মচারীদের কাছে লিখিত পত্রে বলেছেন, ব্যবসা সক্ষমতার ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে হচ্ছে। যা ডেল্টা এয়ারলাইন্সের ইতিহাসে এর আগে কখনো ঘটেনি। পরিস্থিতি দিনকে দিন আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। বাসটিয়ান স্বীকার করেন, গত ছয় মাস ধরে তিনি বেতন নিচ্ছেন না। কোম্পানির মূলধন বাঁচাতেই এ ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। এ পর্যন্ত ৩০০ পার্কিং বাতিল করতে হয়েছে ডেল্টার। তবে এখন পর্যন্ত ছাঁটাইয়ের কোনো আশঙ্কা দেখছেন না তিনি।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোশিয়েশন বলছে, আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনগুলো ইতোমধ্যে ১১৩ বিলিয়ন ডলার (১০ লাখ কোটি টাকা প্রায়) লোকসান গুনেছে। চীন ও ইতালির সাথে ফ্লাইট বাতিলে ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রুজ বলেছেন, পরিস্থিতির কারণেই তারা লোকবল ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছেন এবং তা স্বল্পমেয়াদি না দীর্ঘমেয়াদি তা-ও পরিষ্কারভাবে বলা সম্ভব হচ্ছে না।
ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আলেকজান্ডার ডি জুনিয়াক বলেন, যাত্রী না থাকায় প্রচণ্ড নগদ-সঙ্কটে পড়তে হয়েছে এয়ারলাইনগুলোকে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এয়ারলাইন্স পরিবহনে যাত্রীর সংখ্যা এতটাই কমে গেছে যে, অর্ধেক ভাড়ায় যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না।
নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইন্স বলছে, করোনাভাইরাস নিয়ে চলমান পরিস্থিতির কারণে তাদের চার হাজার ফ্লাইট বাতিল করতে হচ্ছে এবং কর্মীদের প্রায় অর্ধেককে সাময়িকভাবে কাজে না আসার জন্য বলা হচ্ছে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইন্সের মতো সমস্যায় পড়তে হয়েছে বিশ্বের আরো অনেক এয়ারলাইনকে।
করোনার বিস্তার ঠেকাতে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপ থেকে ৩০ দিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। আর এতেই বড় ধাক্কা খেয়েছে নরওয়েজিয়ান এয়ার। আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে স্বল্প খরচে ইউরোপ-আমেরিকা যাতায়াতে এই নরওয়েজিয়ান এয়ারই ছিল অনেকের ভরসা।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, দূরের বিভিন্ন দেশে তাদের যত ফ্লাইট ছিল মে মাসের শেষ পর্যন্ত তার প্রায় ৪০ শতাংশ ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়া নরওয়েজিয়ান এয়ারলাইন্স বর্তমান পরিস্থিতির জন্য করোনাভাইরাসকেই দুষছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাজি জ্যাকব স্খার্ম বৃহস্পতিবার বলেছেন, খরচ কমানোর যত উপায় আছে সব আমাদের দেখতে হবে। শুনতে খারাপ লাগলেও তারই অংশ হিসেবে আমাদের ৫০ শতাংশ কর্মীকে সাময়িকভাবে কাজ বন্ধ রাখতে হবে, এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এ প্রতিষ্ঠানের কাজ করেন প্রায় ১১ হাজার কর্মী। ইতোমধ্যে পর্যটক আগমন বন্ধ করে দিয়েছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ। এর ফলে ৩০ শতাংশের বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে বিভিন্ন দেশের সরকারি, বেসরকারি বিমান সংস্থা।
২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সঙ্কটের সময় বিমানশিল্পে যেপরিমাণ ক্ষতি হয়েছিল এবার তা-ও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আন্তর্জাতিক এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। কর্তৃপক্ষ নাটকীয়ভাবে প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধিতে আসল ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমান দাঁড় করাতে পারছে না। তারা জানায়, খুব শিগগিরই যদি ভাইরাসটি দমন করা না যায় তবে এয়ারলাইনস তাদের ১৯ শতাংশ ব্যবসা হারাতে পারে।
সূত্র : সিএনএন ও ডেইলি মেইল