বিশ্বে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছে ভারত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি - সংগৃহীত
কিভাবে বন্ধুত্ব অর্জন ও লোকজনকে প্রভাবিত করা যায় না, তার একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ হিসেবে একে হয়তো ব্যবহার করা যেতে পারে।
পুরনো বন্ধুরা হঠাৎ করে সমালোচকে পরিণত হতে পারে কিংবা বরফশীতল নীরবতা পালন করতে পারে। কারণটি হলো উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা, যেখানে পুলিশ কোনো পক্ষ নিয়েছে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। আর তা ঘটেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ), সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলুপ্তি ও আসামের জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) প্রেক্ষাপটে। বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন ধরনের অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ভারতের বিরুদ্ধে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ইরান, তুরস্ক এবং অবশ্যই পাকিস্তান। তারপর আসে ব্রিটেনের কথা। ব্রিটেনে পার্লামেন্ট সদস্যরা দীর্ঘ বিতর্কে ভারতের সমালোচনা করেছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় বংশোদ্ভূত কংগ্রেসওম্যান প্রমিলা জয়পাল কাশ্মির থেকে সব ধরনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করানোর চেষ্টা করছেন।
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের বিবৃতির জবাব ভারত সরকার দিয়েছে দেশটি থেকে পাম ওয়েল আমদানি হ্রাস করে ও ইন্দোনেশিয়া থেকে বেশি করে কেনার মধ্য দিয়ে। কিন্তু গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়া সরকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে দিল্লির যে দাঙ্গায় কয়েক ডজন লোক নিহত হয়েছে তা নিয়ে আলোচনার জন্য।
ভারত-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে ঘনিষ্ঠ। সিএএ মামলাটিতে সুপ্রিম কোর্ট যাতে হস্তক্ষেপ করে জেন্য জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনারের উদ্যোগটি চোখে পড়ার মতো। ভারত সরকার এসব প্রতিক্রিয়া উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। আর ইরানের ব্যাপারে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেন, হয়তো এর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারছি, আমাদের সত্যিকারের বন্ধু কারা।
সমালোচনার এই ঢল বাতিল করে দেয়াটা এত সহজ নয়। হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটিতে জয়পালের প্রস্তাবে কো-স্পন্সর হয়েছেন ৪৯ জন। আর আফগান সরকার ইতোমধ্যেই সিএএর প্রতিবাদ জানিয়েছে, তারা ক্ষুব্ধ কণ্ঠে জানিয়েছে যে তারা সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা করে।
দিল্লির দাঙ্গা কাবুল ও হেরাতে ভারতবিরোধী বিক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। আফগানিস্তানবিষয়ক বিক্ষোভ প্রসঙ্গে সাবেক বিশেষ সচিব, র’ বলেন, এটা ছিল এমন এক স্থান যেটাকে আমরা নিজেদেরকে ভারতীয় বলে গর্ব করে বলতে পারতাম এবং আমাদের কাজে উদ্দীপ্ত হতে পারতাম।
হিন্দু বিজনেস লাইন
করোনার চেয়েও মোদি ভয়ঙ্কর : তৃণমূল নেতা
আনন্দবাজার
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভয়ঙ্কর বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির তৃণমূলের নেতা অনুব্রত মণ্ডল। সম্প্রতি বীরভূমের এক জনসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি। রোববার (৮ মার্চ) বীরভূমের সিউড়ির বেনীমাধব মাঠে তৃণমূলের জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অনুব্রত বলেন, ‘লোকে করোনা নিয়ে শঙ্কিত। তবে আমি বলছি, এই মোদির থেকে আর বড় ভাইরাস কী আছে? এই ভাইরাসে ভারতের অর্থনীতি শেষ হয়ে গেছে। ইয়েস ব্যাংক লোপাট হয়ে ডুবে গেছে। এখন করোনার মতো ভারতে চেষ্টা চলছে মোদি ভাইরাসকে কিভাবে নষ্ট করা যায়। এর জন্য পশ্চিমবঙ্গে ওষুধ আবিষ্কারের গবেষণা চলছে। করোনার থেকেও ভয়ঙ্কর হলো মোদি ভাইরাস।’
এরপর বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন অনুব্রত। তিনি বলেন, ‘সারা ভারতের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রথম এনআরসির বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ধর্মে বিভেদকারী এই এনআরসি পশ্চিমবঙ্গ মানবে না। এখন মমতার দেখাদেখি মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উড়িষ্যা, তেলেঙ্গানা, বিহার, রাজস্থান- সব রাজ্যই বলছে মানব না। তাদের এই বোধোদয়কে স্বাগত জানাই।’