মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কায় যুদ্ধ বিমান বিক্রির মহাপরিকল্পনা ভারতের

তেজ বিমান - সংগৃহীত
ভারতের হালকা যুদ্ধবিমান জেত ও সামরিক হেলিকপ্টার কেনার জন্য অন্যান্য দেশকে প্রলুব্ধ করার লক্ষ্যে দেশটির রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত বিশালাকার মহাকাশ হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (এইচএএল) মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কায় লজিস্টিকস ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা করছে।
এইচএএলের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর মাধবন বলেন, তার প্রতিষ্ঠান চারটি দেশে লজিস্টিকস ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই চার দেশ রুশ-নির্মিত সামরিক বিমান ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। তবে এগুলোর সেবার মান খুবই খারাপ।
তিনি বলেন, সরকার তেজ, অ্যাটাক্ট হেলিকপ্টার রুদ্র ও উন্নত হালকা হেলিকপ্টার ধ্রুবর মতো প্রধান প্রধান প্লাটফর্ম বিক্রির জন্য দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকাকে অগ্রাধিকার ও শনাক্ত করার প্রেক্ষাপটে সংস্থাটি এই চার দেশে লজিস্টিকস ঘাঁটি নির্মাণ করার কথা বিবেচনা করছে।
গত মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ৫ বছরের মধ্যে ৫ বিলিয়ণ ডলারের উচ্চাভিলাষী প্রতিরক্ষা রফতানির টার্গেট নির্ধারণ করেছেন। তিনি এই টার্গেট হাসিলের জন্য সব প্রধান সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণকারীদের কঠোর পরিশ্রম করতে বলেছেন।
তিনি পিটিআইকে বলেন, আমরা মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কায় রক্ষাণাবেক্ষণ স্থাপনা নির্মাণ করব। ভারতে পাওয়া যায় এমন অনেক প্লাটফর্ম ব্যবহারকারী এসব দেশকে সহায়তা দিতে পারব আমরা।
এইচএএলের শীর্ষ নির্বাহী বলেন, তার কোম্পানি পণ্য বিক্রি ও বিক্রয়-পরবর্তী সেবা প্রদানের জন্য এই চার দেশে তারা রক্ষণাবেক্ষণ স্থাপনা স্থাপন করতে চাচ্ছেন।
বিস্তারিত প্রকাশ না করে মাধবন বলেন, পশ্চিম এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ এর প্রধান প্রধান পণ্য কেনা নিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করেছে।
তিনি বলেন, আমরা রফতানির বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। প্লাটফর্মের ব্যাপারে অনেক দেশই আগ্রহ দেখিয়েছে। আমরা বিশ্বমানের সরঞ্জাম নির্মাণ করছি। আমরা অনেক দেশের সাথে কথা বলেছি।
তিনি সুনির্দিষ্টভাবে বলেন, তেজের রফতানি সম্ভাবনা খুবই ভালো। এটি সাড়ে চতুর্থ প্রজন্মের বিমান। আমরা এই শ্রেণীর বিখ্যাত সামরিক বিমানের অনেকের সাথে একে তুলনা করতে পারি।
তেজ নির্মাণ করেছে অ্যারোনটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি ও এইচএএল। এই বিমানের জীবনমেয়াদ ৩০ বছর। অন্যান্য ফ্রন্টলাইন জঙ্গি বিমানের মেয়াদও এমনই হয়ে থাকে।
উড্ডয়নক্ষ ক্ষমতা, সক্ষমতা ও অস্ত্রব্যবস্থার আলোকে যুদ্ধ বিমানকে নানা প্রজন্মে বিভক্ত করা হয়ে থাকে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর হাতে থাকা বিমানগুলো সাড়ে তিন থেকে চতুর্থ প্রজন্মের।
ভারতীয় বিমান বাহিনী ৪০টি তেজ বিমানের অর্ডার দিয়েছে। এইচএএল শিগগিরই আরো ৮৩টি বিমানের অর্ডার দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর ব্যয় হবে ৩৮ হাজার কোটি রুপি।
ভারত বিশ্বের অন্যতম অস্ত্র ও সামরিক প্লাটফর্মের আমদানিকারক। সরকার দেশেই অস্ত্র তৈরীর উপর গুরুত্বারোপ করেছে। এই লক্ষ্যে প্রতিরক্ষা খাতে এফডিআই উদারিকরণসহ নানা ধরনের সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
পিটিআই