পেশীর টান! রক্ষা পাওয়ার ৫ উপায়
পেশীর টান! রক্ষা পাওয়ার ৫ উপায় - সংগৃহীত
পেশীর টানে সমস্যায় পড়া খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেকে তো নিয়মিতই এই সমস্যায় পড়েন। দৌড়তে গিয়ে হোক, বা ভারী কিছু তুলতে গিয়ে হোক, হঠাৎই টান লেগে যেতে পারে পা বা পিঠের পেশীতে। এমনকি কিছু না করেও অনেক সময় ব্যথা হয় পেশীর। ঘুমানোর সময় হয়তো টান লেগে গেল ঘাড়ে কিংবা গোসল করে মাথা মোছার সময় কাঁধে।
পেশীর টান বা ব্যথার নিরাময় কীভাবে হবে, সেটা বোঝার জন্য আগে জানতে হবে, এই ব্যাথা কেন হয়। পেশীর মধ্যে পানির পরিমাণ কমে গেলে, পেশি তার ফ্লেক্সিবিলিটি বা স্থিতিস্থাপকতা হারায়। সেই কারণেই প্রয়োজন মতো সংকোচন-প্রসারণ করে উঠতে পারে না। তাই হঠাৎ প্রসারণের ফলে সেখানে আঘাত লাগে। পেশীতে প্রয়োজনীয় মিনারেল বা খনিজ পদার্থের অভাবেও এই সমস্যা হতে পারে। কারণটি থেকেই আন্দাজ করা যায়, কী কী ভাবে পেশীর টান বা ব্যথার হাত থেকে বাঁচা সম্ভব।
১। পেশীর দরকার পানি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি থাকলে কি পেশীর ব্যাথা হবে না? এ নিয়ে চিকিৎসক মহলে মিশ্র মত রয়েছে। কারো মতে, পর্যাপ্ত পানি থাকলেও পেশীর ব্যথা হতে পারে। তবে একটা বিষয়ে উভয় মহলই একমত। শরীর যদি সঠিকভাবে হাইড্রেটেড থাকে, তাহলে টান লাগলেও ব্যথার পরিমাণ খুব বেশি হয় না। তাই যখনই পিপাসা পাবে অল্প করে পানি খান। এতে আপনার পেশি ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়বে। আচমকা টান ধরে গেলেও, সেই ব্যথা কম সময়ের জন্য থাকবে।
২। কার্বোহাইড্রেট-এ না নয় ভাত বা রুটি খেলে শরীর ভারী হয়ে যায় বলে মনে করেন? আসলে এরা কিন্তু আপনার পেশীর জন্য খুবই দরকারি। এই ধরনের হাই-কার্বোহাইড্রেট খাবারগুলো পেশীকে দ্রুত পুষ্টি জোগায়। পেশীর আঘাত সামলে ওঠার জন্য যে প্রয়োজনীয় উপাদানের দরকার হয়, তা-ও পাওয়া যায়, এই কার্বোহাইড্রেট থেকেই।
৩। লবণ-চিনিতে নজর শুধু পানির পক্ষে পেশিকে হাইড্রেট রাখা সম্ভব নয়। পেশির ফ্লেক্সিবিলিটি বা স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখার জন্য দরকার লবণও। কারণ এই নুনে থাকে ইলেকট্রোলাইটস। পেশির কোষের মধ্যে পানি কীভাবে ঢুকবে, কতটা ঢুকবে, কতটাই বা বের করবে, তার পুরোটা নিয়ন্ত্রণ করে এই ইলেকট্রোলাইটস। তাই সোডিয়ামের মতো লবণের শরীরে উপস্থিতিটা খুব দরকারি। না হলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যাবে। তাই নুন-চিনির পানি খেতে পারেন। বা এক লিটার পানি ইলেকট্রল ভিজিয়ে সারা সকাল ধরে অল্প অল্প করে। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট শরীর এই পানীয় থেকে পেয়ে যায়।
৪। মাল্টি ভিটামিনের উপকার চিকিৎসকের পরামর্শে মাল্টিভিটামিন খাওয়াটাও পেশীর টানের হাতে থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম ভালো রাস্তা। কারণ সহজলোভ্য মাল্টি ভিটামিনের মধ্যে সঠিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম আর ম্যাগনেসিয়াম থাকে। এই দুটি যৌগই পেশির স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে সাহায্য করে।
৫। ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং যারা নিয়মিত স্ট্রেচিং বা যোগাসন করেন, তাদের পেশির স্থিতিস্থাপকতা অন্যদের তুলনায় বেশি। এবং শরীরের চাহিদাতেই তারা বেশি পরিমাণে ফ্লুইড নিতে বাধ্য হন। সব মিলিয়ে পেশীর গুণগত মান তাতে ভালো হয়। তাই এই স্ট্রেচিং-এর দিকে নজর দিতে পারেন। এতে পেশীর টান থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।
সূত্র : বোল্ডস্কাই