আর কে কে দায়ী
আর কে কে দায়ী - ছবি : সংগ্রহ
‘বলির পাঁঠা’ সুন্দর নাদুস-নুদুস হতে হবে সব সময় এমনটি মানা হয় না। সংশ্লিষ্ট ভক্তদের ধর্মীয় গ্রন্থে লেখা আছে যার গায়ে কোনো দাগ লাগেনি, বুড়ো হয়ে যায়নি, একেবারে কচিও নয়- তাকে বলি দিতে হবে। তার রঙটা হতে হবে গাঢ়। যাকে ব্যবহার করা হয়নি কোনো সাংসারিক কাজে। ‘বলি’র ক্ষেত্রে এ নিয়মটা রক্ষা করার কথা। তবে এই প্রথা এখন দুর্বল হয়ে গেছে। বলির পশুও ঠিক থাকছে না। অনেক সময় সেই পশুটা বলি দেয়া হয়, যাকে দিয়ে আর কোনো কাজ হবে না। মানুষকে বলি দানের কুসংস্কারও মানুষের সমাজে ছিল। এখন প্রকাশ্যে আর মানুষ বলি দেয়া হয় না। তবে অপ্রকাশ্যে ও অন্তরালে এমন কিছু হলেও হতে পারে।
মানুষের সমাজে কখনো কখনো বলিদান নাটকের ‘প্রয়োজন’ দেখা দেয়। এ বলিদানের চরিত্র বিভিন্ন রকম। এর মাধ্যমে সব সময় মানুষটাকে পৃথিবী থেকে ‘নাই’ করে দিতে হবে এমনটি নয়। প্রকাশ্যে মানুষটা থাকবে তবে তাকে কিছু দোষত্রুটি ঘাড়ে তুলে নিতে হবে। এ মানুষটি হতে পারে সবচেয়ে বদমাশ কিংবা হতে পারে কিছুটা বদমাশ। ভাগ্য খারাপ হলে নির্দোষ মানুষও এর শিকার হয়ে যেতে পারেন। ক্ষমতা যেখানে নিরঙ্কুশ সেখানে ‘আমার কথাই আইন’। কাউকে অপরাধী হিসেবে ক্ষমতাবানরা যদি সাব্যস্ত করেন, তাহলে তাকে একজন ‘অপরাধী হতেই হবে’।
বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থায় একটি আশ্চর্যজনক ব্যাপার রয়েছে। এ দেশে সাগরচুরি, পুকুরচুরি হচ্ছে; কিন্তু চোরদের পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাংক থেকে আমানতদারদের টাকা বেহাত হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু লুণ্ঠনকারী নেই। সরকারি প্রকল্পে মহাচুরি হচ্ছে। এজন্য কেউ কিন্তু দুর্নীতিবাজ হিসেবে দায়ী হয়ে যাচ্ছে না। একইভাবে সন্ত্রাস ধর্ষণ হত্যা অহরহ হচ্ছে, সেগুলোর অপরাধী নেই। ফলে অপরাধ সব সময় অত্যধিক হারে ঘটছে এ দেশে। দুষ্কৃতকারীরা যেহেতু অভিযুক্ত হচ্ছে না, তারা এখন সিনা জুরি করছে। তাদের এখন বড়গলা। সমাজে তাদের সম্মান-প্রতিপত্তি বেশি। অপরাধের সুনামিকে বৈধ করে নেয়ার দরকার হয়। দায়মুক্তির জন্য চাই ‘আত্মবলিদান’। নিজেদের মধ্য থেকে কাউকে তাই একটু সেক্রিফাইস করতে হয়। সেই ‘বলির পাঁঠা’টিকে কেমন হতে হয়, তার শর্ত অনেক শিথিল করা হয়েছে। কখনো সে হতে পারে পাপিষ্ঠ। কখনো হতে পারে কিছু কম পাপী। পাঁঠা হয়ে যেতে পারেন নির্দোষও। বলির পাঁঠা হয়ে গেলে তিনি তখন এক ‘মহাপাপী’।
ঢাকা শহরের মানুষ বিস্মিত হলেন যখন তারা দেখতে পেলেন, তারা রয়েছেন একটি ক্যাসিনো সাম্রাজ্যের মধ্যে। এমন উঁচু দরের অবৈধ খেলাধুলার মধ্যে তাদের বসবাস তারা আগে টের পাননি। সাধারণ মানুষের ধারণা ক্যাসিনোর মতো উচ্চমানের অবৈধ কর্ম ধনী দেশগুলোর নটোরিয়াস মানুষরা করে থাকে। আমাদের দেশে যারা সাধারণ মানুষের অর্থ লুটপাট করে তারা নিজেদের অঢেল অর্থ খরচ করে বড়জোর বিনোদন করার জন্য ধনী দেশের ওইসব ক্যাসিনো ক্লাবে গিয়ে অংশ নেন। তাদের ঘুণাক্ষরেও এই ধারণা ছিল না যে, তাদের বাসার আশপাশে সব ক্লাবে ক্যাসিনোর বোর্ড চালু হয়ে গেছে। এ দেশ এমন ধনী হয়ে গেছে যে, পাড়ায়-মহল্লায় অনেক ক্যাসিনো প্লেয়ার তৈরি হয়েছে। আগের ধারণা সব পাল্টে গেল। তাহলে বাংলাদেশ এখন অনেক উন্নত ও সমৃদ্ধ!
রাজধানীর বড় বড় কয়েকজন সন্ত্রাসী বা টেররের নাম শোনা গেল যাদের মানুষ আগে থেকে চেনেন, তাদের বিশেষ ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির জন্য। এদের ব্যাপারে টুঁ-শব্দ করার মানুষ তল্লাটে নেই। তারা এসব ক্যাসিনো বিনোদনের উদ্যোক্তা। নিজেরা লাস ভেগাস কিংবা সিঙ্গাপুর গিয়ে জুয়া খেলেন আর দেশবাসীর জন্য ‘কিছুটা সস্তায়’ বাড়ির পাশেই এর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এসব উচ্চমানের ব্যক্তিত্ব মাত্র কয়েকজন। এরা আবার নাকি অতীতের কোনো কোনো সরকারের দহরম-মহরম দোস্ত। তারাই নটোরিয়াস এ গেমের উদ্যোক্তা। নব-উত্থিত ধনীদের বদ নেশা ধরিয়ে দিয়েছেন। এটা ছিল সরকারের অত্যন্ত সফল একটি অভিযান। সরকার এটি পরিচালনা করেছে দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে। বছরের পর বছর জনসাধারণ এদের দৌরাত্ম্য শোষণ ও ত্রাসের শিকার। অবশেষে একটা বিহিত হয়েছে।
এমন লোককেও ক্যাসিনো অপরাধে ফাঁসানো হলো, যিনি একেবারে মেগা মেট্রোপলিটন ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড হিরো। কথিত আছে, তার কাছে সরকারের ওপরের তলার মানুষরাও নিয়মিত ধরনা দিত। কারণ এ হিরোর এতই ক্ষমতা ছিল যে, অসম্ভব বলে তার কাছে কিছু ছিল না। সরকারও বুঝিয়ে দিয়েছে, সরকারের ক্ষমতা কত! তার সাথে আরো এক-দু’জনকে বন্দী করা হলো। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অবৈধভাবে ক্যাসিনো বোর্ড চালানোর অভিযোগ। অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিকরা কেউ কেউ খুঁটিয়ে বের করে আনলেন তাদের আরো কত অপরাধ। এসব খবর সবার জানা ছিল, তবে ‘পাবলিক’ ছিল না। এ অপরাধীদের অপরাধ এবং তাদের সাম্রাজ্যের খতরনাক সব কর্মকাণ্ড ছিল ওপেন সিক্রেট। শুধু মিডিয়ার জানা ছিল না, এসব অপরাধ কিভাবে সামনে আনা যাবে তার কৌশল। এখন সব দোষ এই মুষ্টিমেয় ক’জনের।
যেসব অপরাধের অভিযোগ ক’জনের বিরুদ্ধে আনা হলো, একই অপরাধ সারা দেশে হচ্ছে। ঢাকার আন্ডারগ্রাউন্ড হিরোদের অনুসরণে সারা দেশে ডন মাফিয়াদের কার্যক্রম বিস্তৃত। এমন অপরাধে দেশের হাজার হাজার মানুষ জড়িত। তাদের অর্থ ক্ষমতা প্রতিপত্তি সবই অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বর্তমান সরকারের একটানা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষমতায় থাকার সুযোগে ক্ষমতাসীনদের নাম ভাঙিয়ে হেন অপরাধ নেই, যা সারা দেশে বিস্তৃত হয়নি। সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাত্র এ কয়েকজনের বিপুল অপরাধ হয়েছে বলে শোরগোল তুললেন। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি এর মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় করার চেষ্টা করা হলো। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সরকারের ওই অভিযান শেষ হয়ে যায়। কারণ ‘আসল’ অপরাধীদের তো পাকড়াও করা হয়েছে!
এর অনেক দিন পর হঠাৎ একজন ‘পাপিয়া’কে আবিষ্কার করা হলো। তার অপরাধের যে ফিরিস্তি পাওয়া গেল সেটি বিশাল। হেন কোনো অপকর্ম নেই, যা তিনি করছিলেন না। সেটা তিনি খোদ রাজধানীর একেবারে হার্টের মধ্যে বসেই অবাধে করছিলেন। এমনকি, সেটা এক যুগের বেশি সময় ধরে করে আসছিলেন। পাপিয়া এতটাই দুর্ধর্ষ যে, তিনি পাঁচ তারকা হোটেলে বসে দিনদুপুরে অপরাধ করে গেছেন। এ ধরনের হোটেলে সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর নিয়মিত নজরদারি থাকে। একসাথে হোটেলের প্রাসাদোপম কয়েকটি স্যুট ভাড়া নিয়ে বিলাসবহুল অবৈধ কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছিলেন তিনি। তার ‘খদ্দের’ ছিলেন সরকারের ওপরের মহলের অনেকেই।
আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্র অঞ্চলের সেরা বাহিনী হিসেবে পরিচিত। অন্ততপক্ষে বিগত এক দশকে আমাদের বাহিনীগুলো যে দক্ষতা ও সামর্থ্য দেখিয়েছে, সেটা অসাধারণ। তাদের চোখে ধুলা দিয়ে বড় বড় জঙ্গিও বাঁচতে পারেনি। সরকারবিরোধীরা একেবারে ‘রক্তশূন্য’ হয়ে গেছে পুলিশের উপর্যুপরি ‘সাঁড়াশি’ অভিযানে। এমন বজ্র আঁটুনি অবস্থায় কিভাবে একজন অপরাধী দেশে এমন অপরাধ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করলেন? আবার এ অপরাধী একজন নারী!
অপরাধ বিষয়টি বাংলাদেশে বিষম ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। পাপিয়ার ব্যাপারটিই ধরা যাক। একজন মাফিয়া সম্রাজ্ঞী রাজধানী নগরীতে বসে বড় বড় ক্রাইম করে যাচ্ছিলেন। তার ব্যাপারে পুলিশ, সাংবাদিক কেউ কোনো খবর দিতে পারেনি এত দিনেও। এখন হঠাৎ করে সবার কাছে তার ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনি নিজের এবং জাতির বিশাল ক্ষতি করেই ফেলেছেন। চোর পালানোর পর বুদ্ধি বাড়িয়ে এত খবর চাউর করে জাতির কী লাভ? এক যুগ আগে যখন এই লম্পট ললনার উত্থান শুরু হয়েছিল, তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংবাদমাধ্যমে তার অপরাধের বিস্তারিত চিত্র জাতির সামনে আনলে দীর্ঘ দিন ধরে হয়তো জাতির এতটা ক্ষতি হতে পারত না। এ নারী নিজেও এত বড়মানের অপরাধী হয়ে যেতেন না। আজ তিনি মাফিয়া সম্রাজ্ঞী!
পাপিয়ার সাথে কার কার সংযোগ আছে, তার বিস্তারিত খবর প্রকাশ করা হচ্ছে প্রতিদিন। এসব খবরের উৎস আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাপিয়ার সাথে সম্পর্কিত সবাই ‘রাঘব বোয়াল’; কিন্তু কারো নাম নেয়া হচ্ছে না। কারো কারো নাম নেয়া হচ্ছে- সেটাও একটা সীমার মধ্যে। কোন নেতার নাম বললে বিপদ নেই- সেটা বুঝেই তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে। অভিযোগ আসছে এমন নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদের ব্যাপারে পুলিশ দ্বিধান্বিত। বিশেষ মহলের নির্দেশ বা সম্মতি না পেলে তাদের জিজ্ঞসাবাদ করার এখতিয়ার কেউ রাখে না। তবে ‘সব দোষ পাপিয়ার’। মনে করা হচ্ছে, তিনি করেননি এমন কোনো পাপ নেই। এই বক্তব্যে চার দিক এখন মুখর।
সরকারের পক্ষ থেকে সব সময় বলা হয়, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। পুলিশের পক্ষ থেকেও কর্তাব্যক্তিরা জোর দিয়ে একই কথা বলে থাকেন। কিন্তু অপরাধ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সময় আমরা দেখি এর উল্টো। আইনকে নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাসীনরা বা যাদের হাতে ক্ষমতা রয়েছে তারা। এমনকি কোন অপরাধীকে জিজ্ঞাসা করা হবে, ধরা হবে- সেটা একটা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বিবেচনা করা হয়। অর্থাৎ অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আগে সেটা বিভিন্ন মাত্রার ক্ষমতার দ্বারা ফিল্টারিং হচ্ছে। এটাকে আইনের নিজস্ব গতি বলা যায় না কোনোভাবেই; বরং এটিকে বলা যায় ক্ষমতাসীনদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আইনের গতি।
পাপিয়া ‘নরসিংদী বিজয়’ করে ঢাকায় এসেছেন। বলা হচ্ছে, ওই জেলার ক্ষমতাবানদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে তার অপরাধ সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে। আমরা দেখেছি, এর আগে নরসিংদীর একজন নারী এমপি বড় ধরনের অপরাধ করেছিলেন। সংরক্ষিত নারী আসনের এই সংসদ সদস্য উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বছর মেয়াদি বিএ ====প্রোগ্রামে ১৩টি পরীক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু একটিতেও তিনি সশরীরে অংশ নেননি। তার হয়ে আটজন পরীক্ষা দিয়ে দিয়েছেন। সংসদের একজন সহকারী সচিবের নেতৃত্বে একটি দল পরীক্ষার হল পাহারা দিত। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের চোখের সামনে এ জঘণ্য অন্যায় হয়ে আসছিল। কেউই সাহস পাচ্ছিলেন না টুঁ শব্দ করার।
একদিন কিংবা দুদিনেরর অনিয়ম বা চুরি নয় এটি। দিনের পর দিন এ দুর্নীতি প্রকাশ্যে হয়েছে। উক্ত এমপি নরসিংদীর মরহুম পৌর মেয়র লোকমান হোসেনের স্ত্রী এবং নরসিংদী-গাজীপুরের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য। তার এক দেবর নরসিংদী পৌরসভার মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি; আরেক দেবর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। প্রায় প্রত্যেকটি জেলা উপজেলায় ক্ষমতাসীন দলের সিন্ডিকেটের রাজত্ব এভাবেই কায়েম হয়েছে। তাদের অপরাধের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি না দিয়ে আমরা একটা মানবিক সমাজ কায়েম করতে চাই। এমন মানবিক সমাজ পৃথিবীর কোনোকালে বাস্তবতা পায়নি।
এখন পাপিয়ার পাপের সীমা পরিসীমা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বলা হচ্ছে, হেন কোনো অপরাধ নেই এ মহিলা করেননি। এককভাবে সব অপরাধ যেন কেবল পাপিয়ার হয়ে গেছে। বাংলাদেশে অপরাধের বিস্তারের কারণ পাওয়া যাবে তার উত্থানের বিষয় গভীরভাবে নিরীক্ষণ করলে। পাপিয়ার মতো অপরাধীদের হঠাৎ দৃশ্যপটে হাজির হওয়ার মধ্যে মানুষ ‘অন্য কিছুর গন্ধ’ পায়। অপরাধ জগৎ এখন একটি বোঝাপড়ার অঙ্গন। এ বোঝাপোড়া কোনো কারণে পন্ড হলেই কেবল একজন অপরাধী শাস্তি পাচ্ছে। এতে সরকারের সুবিধা। কারণ, সরকার তখন দেখাতে পারে, অপরাধীর বিরুদ্ধে সরকার কতটা বেশি কঠোর।
পাপিয়া সাধারণ পরিবারের এক নারী। কিভাবে তিনি এমন সীমাহীন অপরাধী হয়ে উঠলেন পথে পথে তার চিহ্ন রেখে এসেছেন। সেগুলো খতিয়ে দেখলে বর্তমান সমাজ ও সরকার নিজেকে সৎ বলতে পারবে না। বরং এ অপরাধের দায় পাপিয়ার সাথে সাথে সমাজ ও সরকারকেও নিতে হবে। সরকার এখন পাপিয়াকে বলি দিয়ে নিজে সাফসুতরো হয়ে যেতে চায়। একই কায়দায় সরকার বার বার নিজেকে সাফসুতরো করে পাবলিককে দেখাতে চায়।
jjshim146@yahoo.com