দিল্লি কেন পুড়ছে

জি. মুনীর | Mar 01, 2020 05:58 pm
দিল্লি কেন পুড়ছে

দিল্লি কেন পুড়ছে - ছবি : সংগ্রহ

 

পঁচাত্তর দিনেরও বেশি সময় ধরে ভারতজুড়ে চলে আসছে এক বড় ধরনের সরকারবিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলন। এ প্রতিবাদ বিজেপির ইউনিয়ন সরকারের করা জাতিবিভেদকর ও বিপজ্জনক সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (সিএএ) ও আসামের ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনসের (এনআরসি) বিরুদ্ধে। এ আন্দোলনের লক্ষ্য শুধু দেশটিতে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে সবার সমান অধিকার রক্ষা করাই নয়, বরং সেই সাথে গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দেয়া- নাগরিকত্ব কেবল কাগজে লিখে রাখার কোনো বিষয় নয়, বরং এটি একটি সম্মিলিত মূল্যবোধ। আর এটিই হচ্ছে যেকেনো সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক দেশের ভিত্তি।

তা সত্ত্বেও বাস্তবতা হচ্ছে, ভারতের বিজেপি সরকার এই আন্দোলনে খুশি নয়। গত সপ্তাহে দেশটির রাজধানীর শহর দিল্লিতে ঘটে গেল যে ভয়াবহ দাঙ্গা, যেমনি ভয়ঙ্কর তেমনি কোনো বিবেচনায়ই সভ্য জগতের কাছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্ব গণমাধ্যম সূত্রে বিশ্ববাসী এরই মধ্যে জানতে পেরেছে এই ভয়াবহ দাঙ্গার নানা ঘটনা। একজন বিজেপি নেতা যখন ঘোষণা দিলেন, তারা প্রতিবাদকারীদের লাগাতার অবস্থান নেয়া ‘স্ট্রিট ক্লিয়ার’ করার অভিযানে নামবে, সরিয়ে দেবে সব প্রতিবাদকারীকে। আর সাথে সাথেই শুরু হয়ে গেল উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে অভাবনীয় মাত্রার সহিংসতা। তখন দিল্লির অনেক মানুষই দেখেছেন- এক দিকে পুলিশ অলস দাঁড়িয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে, অন্য দিকে দিল্লিজুড়ে চলছে দাঙ্গা, লুটপাট আর অগ্নিসংযোগ। রিপোর্টারদের বর্ণনায় জানা যায়, উত্তর-পূর্ব দিল্লির মৌজপুর, ভজনপুরা, চাঁন্দবাগ, সেলিমপুর, জাফরাবাদ ও অন্যান্য এলাকায় পুলিশ সাধারণ মানুষের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞেস করে করে পথ চলতে দিচ্ছে। বিষয়টি স্পষ্টত প্রমাণ করে, এটি হচ্ছে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী উগ্র সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের পরিচালিত একটি সর্বাত্মক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। এই দাঙ্গা রাজধানী দিল্লিকে পরিণত করে এক মৃত্যুপুরীতে। দাঙ্গার ঝড় বয়ে গেছে এই শহরে। জমেছে ধ্বংসস্তূপ। চার দিনের দাঙ্গায় দিল্লিতে এখন থমথমে অবস্থা। হিংসাত্মক ঘটনা থামলেও এখনো বাড়িঘর ছাড়ছে মানুষ। দাঙ্গায় ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ৩৫০ জনের মধ্যে এখনো কেউ কেউ হাসপাতালে মারা যাচ্ছে। কারো কারো লাশ পাওয়া যাচ্ছে নালা-নর্দমায়।

দাঙ্গার সূত্রপাত ২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে। এ দিনটিতেই ট্রাম্প তার ভারত সফর শুরু করেন। মোটামুটি চার দিন ধরে সে দাঙ্গা থেমে থেমে চলে অনেকটা অবাধে, যেখানে পুলিশের ভূমিকা ছিল নীরব দর্শকের। দাঙ্গা শুরুর দুই দিন আগে দিল্লির জাফরাবাদ এলাকায় সিএএ ও এনআরসির বিরুদ্ধে স্থানীয় লোকরা পথ অবরোধ করে। এর প্রতিবাদে সাবেক বিধায়ক কপিল মিশ্র পুলিশের উপস্থিতিতে জানান, ট্রাম্পের যাওয়া পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করবেন। এর মধ্যে পুলিশ অবরোধ না তুললে সে দায়িত্ব তারা নিজেরাই হাতে তুলে নেবেন। এই হুমকির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। কপিল মিশ্রের এই হুমকির ভিডিও ক্লিপিং আদালত কক্ষে সলিসিটর জেনারেলকে দেখানোর নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। তখন বিচারপতিরা দিল্লি পুলিশের ভূমিকায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। দাঙ্গা শুরুর দুই দিন পর দিল্লি পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলেন দিল্লি হাইকোর্টের দুই বিচারপতি। হিংসায় ইন্ধন জোগাতে উসকানিমূলক ভাষণ দেয়ার পরও বিজেপির চার নেতার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ কেনো মামলা নেয়নি, সেজন্য বিচারপতিরা পুলিশের কড়া সমালোচনা করেন। এক বিচারপতি বলেছিলেন, ‘চোখের সামনে আরেকটা ১৯৮৪ হতে দেয়া যায় না। কিন্তু বিজেপির নেতাদের চোখে বিচারপতির নৈতিক অবস্থান একটি অপরাধ। আর এ জন্য বুধবারই এই বিচারপতিকে পাঞ্জাব-হরিয়ানার হাইকোর্টে বদলি করা হয়। এরই নাম বিজেপি।

চার দিনের এই দাঙ্গায় সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হয় দিল্লি পুলিশ। এই ক’দিনে একবারের জন্য পুলিশ কমিশনারকে কোথাও দেখা যায়নি। দিল্লি পুলিশ সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন। তবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দেখা করে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছিলেন সেনাবাহিনী নামানোর জন্য। দলীয়কর্মী বিধায়কদের শান্তি প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় থাকার নির্দেশও দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু দাঙ্গা চলার এই ক’দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছিলেন নির্বাক আর তার পুলিশবাহিনী ছিল নীরব। এটুকু নিশ্চিত, এই দাঙ্গা সৃষ্টির পেছনে সক্রিয় ছিল বিজেপির হিন্দৃত্ববাদীরা। কয়েক দিন আগে অনুষ্ঠিত দিল্লির ভোটের সময় বিজেপি নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ও সংসদ সদস্য পরভেশ শর্মা আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছিলেন। অনুরাগ শাহীনবাগের আন্দোলনকারীদের দেশবিরোধী অবহিত করে তাদের গুলি করার ইন্ধন জুগিয়েছিলেন। তিনি তাদের ধর্ষণকারী বলেও উল্লেখ করেন।

আগুনের এই হোলিখেলা, হত্যা ও ধ্বংসোন্মাদনা ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর জন্য এক অবিচ্ছেদ্য উপাদান হয়ে আছে। অস্বীকার করার উপায় নেই, হিন্দুত্ববাদীরা ভারতজুড়ে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মাত্রায় শক্তিধর হয়ে উঠেছে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর। শক্তিধর হিন্দুত্ববাদীরা মনে করে- তারা যাই করছে, তা করা হচ্ছে ইতিহাস সংশোধনের জন্য। আর তারা যা বলে, সেটাই সঠিক ইতিহাস।

তাদের সাম্প্রতিক একটি ধ্বংসোন্মাদনার সূচনা ঘটে জওয়াহেরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। তখন বিজেপির অঙ্গ ছাত্রসংগঠন ‘অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের’ কিছু সন্ত্রাসী মধ্যরাতে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকে নির্দয়ভাবে ছাত্রদের মারধর করে। সেখানেও পুলিশের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত। সিসিটিভির ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ সে ঘটনার জন্য দায়ী অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করতে পারেনি বা করেনি। ওই একই সন্ত্রাসীরা ঢুকেছিল জামেয়া মিল্লিয়া ইউনিভার্সিটিতেও। সেখানেও এরা একই কায়দায় নির্লজ্জভাবে মারধর করেছে সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের। ছাত্রীরা অভিযোগ করেছে, সন্ত্রাসীরা তাদের শরীরের একান্ত ব্যক্তিগত অঙ্গেও আঘাত হেনেছে। কিন্তু তাদের মাঝে ছিল না বিন্দুমাত্র অপরাধবোধ। সেখানেও ছিল সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ। এর পরও কোনো অপরাধী ধরা পড়েনি; শাস্তি পাওয়া তো দূরের কথা। এসব সন্ত্রাসী এখানেই থেমে থাকেনি; এরা এবং এদের সাঙ্গোপাঙ্গরাই সর্বশেষ হামলা চালাল দেশটির রাজধানী শহর দিল্লির শাহীনবাগে। এদের থেকে রক্ষা পাননি সেখানে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভরত নারীরাও। কারণ, এরা বহু বিতর্কিত সিএএ এবং এনআরসির বিরুদ্ধে।

এই একই হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসীরা আরেক দিন ঢুকল দিল্লি গার্লস কলেজে। সেখানে কলেজের বার্ষিক অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছিল। এরা ছাত্রীদের স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত চালাল। এরপর এক সময় দৌড়ে পালিয়ে গেল। গেট পাসের ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কলেজের অধ্যক্ষ কিংবা পুলিশ বলতে পারল না, এরা কারা।

ক্ষমতাসীন দলের সহায়তাপুষ্ট এই গোষ্ঠীটির থামার কোনো অবকাশ নেই। সংগঠিত এরাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সফর সময়ে এক দাঙ্গা, আগুনের হোলিখেলা, লুটপাট আর ধ্বংসোন্মাদনার নাটক মঞ্চস্থ করল সম্প্রতি দিল্লিতে। এক দিকে চলছে এই ধ্বংসোন্মাদনা, অপর দিকে নানা চুক্তি স্বাক্ষর চলছে মোদি ও ট্রাম্পের মধ্যে। দুষ্কৃতকারীরা পুলিশের সহায়তাপুষ্ট হয়ে বানরের নাচ নাচল দিল্লির সদর রাস্তায়। এরা পিস্তল হাতে নিয়ে লুট করে চলে একের পর এক দোকান। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় যানবাহন আর দোকানপাট। সেই সাথে নির্বিচারে চলেছে জানমালের বিনাশসাধন। কেন্দ্রীয় ও রাজ্যসরকার এর জন্য দায়ী করে চলেছে পরস্পরকে।

কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ বলছেন, এটি হচ্ছে নরেন্দ্র মোদির একটি মেইডেন গেম। হিন্দুত্ববাদীরা এ ঘটনা ঘটিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখাতে চেয়েছেন, তার সফরের সময় মুসলমান প্রতিবাদকারীরা সিএএ ও এনআরসির প্রতিবাদের আড়ালে এই অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আর এই মুসলমানেরাই হচ্ছে বিশ্বব্যাপী যাবতীয় অশান্তি সৃষ্টির মূল। সে লক্ষ্য পূরণে নরেন্দ্র মোদি মনে হয় পুরোপুরিই সফল হয়েছেন। কারণ, ট্রাম্প খুব সুন্দর করেই বলে গেছেন : ‘সিএএ ইজ ইন্টারনাল ইস্যু অব ইন্ডয়া’। ভারতে দেয়া তার এই বক্তব্য নিশ্চিতভাবেই সেসব হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের হাত শক্তিশালী করবে, যা রাতদিন যুক্তরাষ্ট্রকে বুঝিয়ে আসছে- শুধু মুসলমানরাই সিএএ’র বিরোধিতা করছে। ভারতের অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায় মোদি সরকারের নেয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।

কিন্তু বিবেকবান মানুষের পরামর্শ হচ্ছে, নরেন্দ্র মোদিকে ঠাণ্ডা হয়ে বসে ভাবতে হবে ভারতের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো নিয়ে। বিজেপির আরএসএস নেতাদের অন্যান্য দলের নেতাদের সাথে বসে আলোচনা করতে হবে, দেশের চলমান মুখ্য সমস্যাগুলো কী করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা যায়। দেশটির মানুষ মোদি সরকারকে পাঁচ বছর সময় দিয়েছে দেশের ভাবমর্যাদা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাড়িয়ে তোলার জন্য। ধরা যাক, তার সরকার প্রশংসনীয় কাজের মাধ্যমে বিদেশী সরকারগুলোকে এমনটি ভাবার সুযোগ দিলো যে, ভারতে রয়েছে এক অনন্য ধর্মীয় স্বাধীনতা, কাশ্মির উপত্যকায় এই সরকার সত্যিকারের শান্তি ফিরিয়ে এনেছে, দেশে যারা একের পর এক ধ্বংসোন্মাদনা চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের পেছনে এই সরকারের কোনো পৃষ্ঠপোষকতা নেই, বরং তাদের দমনে সরকারের আছে আন্তরিক পদক্ষেপ, দেশে সত্যিকারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ফিরিয়ে এনেছে এই সরকার- তখন ভারতের মানুষের সাথে সাথে বিদেশীরাও বলতে শুরু করবে : ভারতের প্রয়োজন একজন ‘ভারতীয় মোদি’, কোনো ‘বিদেশী মোদি’ নয় : ইন্ডিয়া নিডস এ ইন্ডিয়ান মোদি, নট এ ফরেনার মোদি। তখন ট্রাম্প কী বললেন না বললেন তা কোনো অর্থবহ হবে না।

মোদি সরকারকে স্বীকার করতেই হবে- সম্প্রতি দিল্লিকে মৃত্যুপুরী করে তোলার বিষয়টি মোটেও কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। কয়েক মাস ধরেই ভারতবাসী দেখে আসছে, দেশটির ক্ষমতাসীন দল ও এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে নানা ভাষায় নানা কথা বলে আসছেন, তাদের ‘অনুপ্রবেশকারী পাকিস্তানি’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। তাদের সম্পর্কে নানা বাজে কথা উচ্চারণ করা হয়েছে। সবশেষে সুপরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। আর খবর বেরিয়েছে, এসব সন্ত্রাসীকে ক্ষমতাসীনরা আগে থেকেই সেখানে জড়ো করেছিল। তা ছাড়া, একজন বিধায়ক উগ্রবাদী হিন্দুদের ‘এসব জাতিবিরোধীদের’ গুলি করে মারার উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার পরপরই এই দাঙ্গা শুরু হয়ে গেল। অতএব, কাদের প্ররোচনায় কারা এমনটি ঘটিয়েছে, তা সবারই জানা। ভারতবাসী যেমন জানে, তেমনই জানে বিশ্ববাসী। অতএব, এ ঘটনা বিদেশে ভারতের ভাবমর্যাদাকেই পতনমুখী করবে। তাই থামাতে হবে ‘তাহাদের ধ্বংসোন্মাদনা’।


 

ko cuce /div>

দৈনিক নয়াদিগন্তের মাসিক প্রকাশনা

সম্পাদক: আলমগীর মহিউদ্দিন
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: সালাহউদ্দিন বাবর
বার্তা সম্পাদক: মাসুমুর রহমান খলিলী


Email: online@dailynayadiganta.com

যোগাযোগ

১ আর. কে মিশন রোড, (মানিক মিয়া ফাউন্ডেশন), ঢাকা-১২০৩।  ফোন: ৫৭১৬৫২৬১-৯

Follow Us