সৌন্দর্যের তত্ত্বকথা
মোনা লিসা - ছবি : সংগ্রহ
সুন্দর, সৌন্দর্য, মনোরম, রমণীয়- এসব শব্দ সম্পর্কে প্রায় সবাই অবগত আছেন। শব্দগুলো সহজ। কঠিন নয়। নয় দুর্বোধ্যও। কিন্তু এগুলোর ব্যাখ্যা দেয়া কঠিন। যদি প্রশ্ন করা হয়, সৌন্দর্য কী? তাহলে এর সরাসরি উত্তর দেয়া কঠিন হবে। পশ্চিমা দেশগুলোতে সৌন্দর্য বিষয়ে ব্যাপক পড়ালেখার রেওয়াজ থাকলেও আমাদের অঞ্চলে নেই। আজ থেকে প্রায় ৭০ বছর আগে আচার্য সুরেন্দ্রনাথ দাসগুপ্ত বলেছেন, সৌন্দর্য কাকে বলে এবং তার স্বরূপই বা কী, এ বিষয়ে আমাদের দেশে কোনো আলোচনাই হয়নি। তবে সাম্প্রতিককালে জগন্নাথ পণ্ডিত রমণীয়তা শব্দের অর্থ করতে গিয়ে বলেছেন, লোকোত্তরাহলাদ জনক জ্ঞান গোচরতা। লোকোত্তরতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, এর বিশেষ কোনো লক্ষণ দেয়া যায় না।
কেবলমাত্র আমাদের অনুভবের দ্বারা বুঝতে পারি। এসব বক্তব্য থেকে এটাই স্পষ্ট হয় যে, প্রকৃত অর্থে সৌন্দর্য সম্পর্কে সরাসরি কোনো উত্তর দেয়া যায় না। তবে সৌন্দর্যের অনুভূতি প্রতিটি মানুষেরই যে রয়েছে সে কথা নির্দ্বিধায় বলা যায়। সৌন্দর্য সম্পর্কে তারা অনুভব করেন। সুন্দর কোনো কিছু পেলে আনন্দিত হন তারা। আনন্দে আত্মহারা হন। যারা আনন্দিত হন, যারা আনন্দে আত্মহারা হন তাদের কাউকে যদি প্রশ্ন করা হয় কেন তিনি আনন্দিত, কেন আনন্দে আত্মহারা তাহলে তার জবাব হবে, তিনি একটি সুন্দর জিনিস পেয়েছেন। তাই আনন্দে আত্মহারা। এবার যদি তাকে আবারো প্রশ্ন করা হয়, প্রাপ্ত জিনিসটির মধ্যে সুন্দরের বা সৌন্দর্যের যে সমাবেশ ঘটেছে যার জন্য এত আনন্দ সেই সুন্দর বা সৌন্দর্য কী? তাহলে তিনি সরাসরি কোনো জবাব দিতে পারবেন না। তিনি পুনরাবৃত্তি করে হয়তো আবারো বলবেন জিনিসটি সুন্দর। অতি সুন্দর। এর চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। অর্থাৎ সুন্দরের সঠিক আকার আকৃতি কিংবা রূপের কোনো ব্যাখ্যা নেই। যেমন ব্যাখ্যা নেই বাতাস, বিভিন্ন বর্ণ, মিষ্টি কিংবা তিতা বা তিক্ততার। বাতাস কী? বাতাস দেখতে কেমন? সৌন্দর্যের মতো এরও কোনো উত্তর নেই। কিন্তু বাতাস মানুষের হৃদয়ে অনুভূতি জাগায়। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ মানুষ বাতাস প্রবাহিত হলে সুখ অনুভব করেন।
লাল কী? হলুদ কী? মধুর কী? কিংবা তিক্ত কী? এসব প্রশ্নের উত্তরে বিষয়গুলোর স্বরূপ লক্ষণ দেয়া সম্ভব হয় না। এই যে রঙের কথা বলা হলো, এই রঙের রয়েছে বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রভা। যেমন লাল, হালকা লাল, গাঢ় লাল, নীলচে লাল, কালচে লাল ইত্যাদি। প্রতিটি রঙের ক্ষেত্রেই এই বিভাজন লক্ষ করা যায়। অর্থাৎ যে রঙ সৌন্দর্য সৃষ্টির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেই রঙের রয়েছে রকমফের। আর এই রকমফেরের কারণে এক-এক রকমের রঙ এক-একজনের পছন্দ হয়ে থাকে। একই রঙ সবাই পছন্দ করে এমন নয়। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে, যা একজনের কাছে পছন্দ তা অন্যজনের অপছন্দ। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকেই মনে করেন যে, প্রকৃত এমন সৌন্দর্যের বিষয় থাকা প্রয়োজন যা সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য। সবাই যাকে পছন্দ করবে। এটাই সৌন্দর্যের জন্য অত্যাবশ্যক। যাকে বলা হয় শর্তহীন সৌন্দর্য। অর্থাৎ যে সৌন্দর্যের জন্য কোনো কিছু যোগ-বিয়োগের প্রয়োজন হয় না। যাকে বাহ্য দৃষ্টিতে সুস্পষ্ট না হলেও অন্তর্দৃষ্টিতে স্পষ্ট হওয়ার কারণে সবাই গ্রহণ করে থাকে।
যেমন বিশ্ববিখ্যাত শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি অঙ্কিত মোনালিসা। মোনালিসাকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করার জন্য কোনো অলঙ্কার ব্যবহার করা হয়নি। অলঙ্কার ছাড়াই মোনালিসা সুন্দর। মোনালিসার স্পষ্ট হাসি বাহ্যিকভাবে দৃষ্টিগোচর না হলেও তার হাসি নিয়ে অনেকে অনেকভাবে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করেছেন। মোনালিসার হাসি হয়েছে গবেষণার বিষয়। হাসি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান না হওয়া সত্ত্বেও মোনালিসার হাসি সবার অন্তরে স্থান করে নিয়েছে। অলঙ্কারে সজ্জিত করা না হলেও মোনালিসার দৈহিক সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করেছে। আর এ ধরনের সৌন্দর্যকেই বলা হয়েছে, প্রকৃত সৌন্দর্য। ভারতের বিখ্যাত শিল্পী এবং তাত্ত্বিক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন যে, ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে যেমন পার্থক্য ঘটে তেমনি স্থান এবং সময়ের কারণেও পার্থক্য ঘটে। তিনি বলেছেন, সুন্দর একটি অস্পষ্ট বিষয়। অধরা বিষয়। সুন্দরকে ধরা যায় না। এ প্রসঙ্গে ড. সুধীর কুমার নন্দী লিখিত এবং পশ্চিমবঙ্গ পুস্তক পর্ষদ প্রকাশিত নন্দনতত্ত্ব নামক গ্রন্থে বলা হয়েছে যে-
‘চকিত আলোকে কখনো দেখা দেয় সুন্দর
দেয় না তবু ধরা’
এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, তাহলে শিল্পীরা রঙতুলির মাধ্যমে যে সুন্দরকে ধরার জন্য, যে সুন্দরকে সৌন্দর্যপিপাসু বোদ্ধা দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য দিনরাত কাজ করে চলেছেন, সেই সুন্দরের সংজ্ঞা কী? এ প্রশ্নের জবাব অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বক্তব্যে খোঁজা যাক। তিনি বলেছেন, ‘যে আলোয় দোলে অন্ধকারে দোলে, কথায় দোলে সুরে দোলে, ফুলে দোলে ফলে দোলে, বাতাসে দোলে পাতায় দোলে, সে শুকনোই হোক তাজাই হোক, সুন্দর হোক অসুন্দর হোক সে যদি মন দোলাল তো সুন্দর হলো।’ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এ বক্তব্য থেকেও এটাই স্পষ্ট হলো যে, সুন্দর হলো অনুভূতির বিষয়। সুন্দর হলো মনে ধরার বিষয়। সুন্দর হলো হৃদয়কে আন্দোলিত করার বিষয়। কিন্তু এসব বিষয় সবার দৃষ্টিতে ধরা দেয় না কিংবা বলা যায় সবার মনকে আকৃষ্ট করে না কিংবা সবার মনে দোলাও দেয় না। কারণ এগুলো প্রকৃত অর্থে অনুভূতির বিষয়। এই বিষয়কেই তাত্ত্বিক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের সাহায্যে স্পষ্ট করার চেষ্টা করেছেন।
আমরা যে শিল্প সমালোচনার কথা বলি কিংবা শিল্পের ভালো-মন্দ বিচারের কথা বলি সেই সমালোচনা এবং বিচারকার্যের ফলে অনেক দর্শক সমালোচক এবং বিচারকের গভীর অন্তর্দৃষ্টির বিবেচনা কিংবা অন্তর্দৃষ্টির আলোকে দেখতে ও বুঝতে চেষ্টা করেন। রহস্য উদঘাটনে সচেষ্ট হন শিল্পসৌন্দর্যের। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে ও বুঝতে চেষ্টা করেন শিল্পের অন্তর্ভুক্ত বিষয়াবলিকে। বিষয়াবলির উপস্থাপন কৌশলকে। অথচ সমালোচক ও বিচারকের সিদ্ধান্ত দেয়ার আগে অসংখ্য দর্শক একই শিল্পের সামনে দিয়ে বহুবার হেঁটে যাওয়া সত্ত্বেও গুরুত্ব দিয়ে দেখেননি। যারা দেখেননি তারাই গুরুত্বসহকারে দেখতে শুরু করেন যখন বিচারক এবং সমালোচক শিল্পকর্মের বিষয়ের গুরুত্ব দেখান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘর বা শিল্প সংগ্রহশালার বিষয় বিবেচনা করলেও একই কথা বলা যায়। সে সব জাদুঘর বা শিল্প সংগ্রহশালায় রক্ষিত শিল্পের সামনে দিয়ে মিছিলের মতো দর্শক হেঁটে যান। কেউ গুরুত্ব দিয়ে কোনো শিল্পকর্ম দেখেন না বা শিল্পের সৌন্দর্য বিষয়ে ভাবেন না।
বিশ্বের বিখ্যাত ‘লুভর’ মিউজিয়ামের কথা অনেকেই জানেন। এই মিউজিয়াম বা চিত্রশালায় যত শিল্পকর্ম সংরক্ষিত আছে সেগুলো দেখতে কয়েক দিন বা কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে। অনেক দর্শক এসব শিল্পকর্ম দেখেন। অগণিত দর্শক মিছিল করে শিল্পকর্মের সামনে দিয়ে চোখ বুলিয়ে হেঁটে যান। কোথাও কোনো ব্যতিক্রম তেমন একটা চোখে পড়ে না। কিন্তু বিশ্ববিখ্যাত ‘মোনালিসা’ চিত্রের সামনে লক্ষ কর যায় ব্যতিক্রমী ঘটনা। বিশ্ববিখ্যাত শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির অমর সৃষ্টি মোনালিসা নামক এ চিত্রের সামনে দেখা যায় জটলা। সবাই চান কিছুটা সময় নিয়ে মোনালিসার সৌন্দর্য উপভোগ করতে কিন্তু প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে সম্ভব হয়ে ওঠে না। তার পরেও যতটা পারা যায় সময় নিয়ে দেখেন। মোনালিসার পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন। কথা বলেন। একে অন্যের সাথে মতবিনিময় করেন। এতসব করেন কারণ সমালোচক বা বিচারকেরা মোনালিসাকে শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের খেতাব দিয়েছেন। দিয়েছেন বিশ্বখ্যাতি। অথচ সেই একই স্থানে আরো অসংখ্য চিত্র ঝুলছে দেয়ালে, সেগুলো সম্পর্কে কারো কেনো আগ্রহ লক্ষ করা যায় না। এরূপ ঘটনা ঘটে দর্শকদের অজ্ঞতার কারণে।
কেননা এসব চিত্রশালা বা জাদুঘরে বিশ্বখ্যাত বহু শিল্পীর শিল্পকর্ম সংগৃহীত রয়েছে। কিন্তু মোনালিসার মতো ব্যাপক আলোচিত না হওয়ায় দর্শকরা ততটা অবহিত নন যতটা মোনালিসা সম্পর্কে অবহিত। এ কারণে শিল্পী রাফায়েল, বতিচেল্লি কিংবা টার্নারের মতো বিশ্বখ্যাত শিল্পীদের শিল্পকর্মের সামনে দিয়ে হেঁটে যান কোনো গুরুত্ব না দিয়েই। বতিচেল্লি অঙ্কিত ভুবনমোহিনী, ‘ভিনাসের জন্ম’ নামক চিত্রের কথা অনেকেই জানেন। তবে সাধারণ দর্শক ততটা জানেন না। চিত্রের বিষয় হচ্ছে সাগর বা সমুদ্র থেকে উত্থিত হয়ে ভিনাস একটি বৃহৎ ঝিনুকের ভেলায় ভেসে ভেসে সমুদ্রপাড়ের ভূমির দিকে অগ্রসর হচ্ছেন। শূন্যে বায়ুদেবতা পুষ্পবৃষ্টি অনুকূল ধারা প্রবাহের সাহায্যে ভিনাসকে এগিয়ে দিচ্ছেন। সমুদ্রতীরে দেবলোকের গায়িকারা সোনা রূপার জরির নকশা করা মূল্যবান রেশমি পোশাক পরে অপেক্ষা করছে। স্বর্গীয় মুখশ্রীর অধিকারী ভিনাস তুলনাবিহীন। স্বর্গীয় মুখশ্রীর অধিকারী ভেনাসের শরীরের এবং অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দোলায়িত ছন্দ শিল্পী বতিচেল্লির সৌন্দর্য সৃষ্টির অপূর্ব নিদর্শন। বতিচেল্লি তার এ চিত্রে ব্যবহৃত নর-নারীর দেহকে অতি মনোরম আকর্ষণীয় ছন্দময়ী করার জন্য কিংবা শরীরের বিভিন্ন অংশে দোলায়িত স্বভাব আনয়নের জন্য শিল্প-স্বাধীনতা প্রয়োগ করেছেন। অর্থাৎ তিনি ইচ্ছেমতো শরীরের সুন্দর গড়ন দিয়েছেন। যেমন ভেনাসের গলা বা গ্রীবাকে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ করেছেন। ভেনাসের আলুলায়িত সোনালি বর্ণের কেশরাশির উপস্থাপন কৌশল, নিরাবরণ অথচ অবিকৃত দেহবল্লরীর গঠন সর্বত্রই শিল্পীর স্বাধীন সৌন্দর্য সৃষ্টির প্রকাশ ঘটেছে। ঘটেছে কম্পোজিশনগত তীব্র অনুভূতির ব্যঞ্জনা। এহেন অপূর্ব সুন্দর চিত্র ফ্লোরেন্সের উফিৎজির চিত্রশালায় দিনের পর দিন দর্শকরা দেখছেন এবং চলে যাচ্ছেন।
কিছুটা হলেও আনন্দ লাভ করছেন, কিন্তু এই মহৎ চিত্রের গুরুত্ব ও মহত্ত্ব বিষয়ে দর্শকদের অজ্ঞতা থেকেই যাচ্ছে। ব্যতিক্রম ঘটছে মোনালিসার ক্ষেত্রে। কারণ মোনালিসা ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে এবং আলোচিত শিল্পে পরিণত হয়েছে। এই পরিচিতি পাওয়া এবং আলোচিত হওয়ার ক্ষেত্রে সমালোচক এবং বিচারকদের ভূমিকাই প্রধান। সমালোচক এবং বিচারকদের দৃষ্টিতে মোনালিসা জীবন অনুভূতিতে সত্য এবং প্রাণস্পন্দময়ী। মোনালিসার দৃষ্টি জীবন্ত। তার দৃষ্টি এবং হাসিতে বিদ্রƒপ এবং বিষাদের মিশেল বিশেষ অনুভূতির সৃষ্টি করে। মোনালিসার হাসি রহস্যপূর্ণ। মোনালিসার প্রতিকৃতিতে অপ্রতিরোধ্য আকর্ষণ সৃষ্টির পেছনে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির অত্যধিক কল্পনা ও বিজ্ঞানমনস্কতা কাজ করেছেন বলে তারা মনে করেছেন। মনে করেছেন শিল্পী ইচ্ছাকৃতভাবে মোনালিসার প্রতিকৃতির কোনো কোনো অংশ অসম্পূর্ণ রেখেছেন। যাতে ওই অসম্পূর্ণ অংশগুলোকে নিয়ে দর্শকরা স্বাধীনভাবে তাদের মতো করে ভাবতে পারেন। যেমন মোনালিসার মুখের কোণ এবং চোখের কোল এই দু’টি অংশকে অস্পষ্ট রেখেছেন শিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। এই অস্পষ্টতার কারণে মোনালিসার হাসি এবং দৃষ্টি সুস্পষ্ট কিংবা নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেয় না। ফলে দর্শক মোনালিসার হাসি এবং দৃষ্টি নিয়ে নানাভাবে ভাবতে পারেন।
এজন্য বলা হয়েছে যে, মোনালিসার অমোঘ আকর্ষণে আমরা যতবার তার কাছে যাই ততবার তাকে নতুন আবিষ্কার করি (পাশ্চাত্য চিত্রশিল্পের কাহিনী, বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়)। উল্লিখিত বিষয়গুলো জানার কারণে অনেক দর্শক মোনালিসা সম্পর্কে বিজ্ঞপণ্ডিতের মতোই কথা বলেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এমনটি ঘটে না এবং এর কারণ যে অজ্ঞতা সে কথা আগেই উল্লেখ করা হয়েছে।